প্রাণহীন নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ

83

নিউজ প্রতিদিন: দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের ব্যানারে সব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। ভুলতে বসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কথা। জেলা যুবলীগের ব্যানারে সর্বশেষ কবে, কখন, কোথায় কর্মসূচি পালন করেছে তা অনেকেরই মনে নেই। যে কারণে ভুলতে বসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কথা। যারা যুবলীগের পদ দখল করে আছেন, তারা এখন মূল দলের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। যে কারণে মূল দলের কর্মকান্ড নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে জেলা যুবলীগের পদ আকড়ে থাকা নেতারা। এদিকে মেয়াদ উর্ত্তীণ জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠন করা এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। যুবলীগের পদের বাইরে থাকা নিপু,শরীফ,সানি,মান্নানদের কারণেই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের অস্থিত্ব টিকে রয়েছে।ফলে তাদের হাতেই জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে তুলে দেয়ার জোড় দাবি তৃণমূলের।

তবে দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবলীগকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন পদের বাইরে থাকা বেশ কিছু নেতা। যুবলীগের কমিটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা কিংবা গুঞ্জন থাকলেও এখনি সময়ই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করার এমন দাবি যুবলীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের বয়স ১৪ বছর। মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগে। কিন্তু তারপরও জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠন নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা মূল দলে চলে গেলেও নতুন করে জেলা যুবলীগ গঠনের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল ও হেলাল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারপরও তারা যুবলীগ ছাড়ছেন না।

এ নিয়ে যুবলীগের মাঠ পর্যায়ে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। কেউ কেউ প্রকাশ্যে জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সমালোচনা করছেন। কিন্তু তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের ব্যানারে কোন কর্মকান্ড নেই। অথচ এক সময় নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ রাজপথ প্রকম্পিত করতেন। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জেলা যুবলীগই যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবলীগের কোন অস্থিত্ব নেই। তবে জেলা যুবলীগের রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন পদের বাইরে থাকা বেশ কিছু নেতা। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক, জানে আলম বিপ্লব,ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী, সাব্বির আহমেদ জুলহাস অন্যতম বেশ কিছু নেতা। যুবলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আহসানুল হক নিপু ও শরীফুল হকের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন।

এই দুই নেতা জেলা আওয়ামী লীগের নানা কর্মকান্ড সফল করতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। যে কারণে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার এই দুই নেতা। অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের শীর্ষ পদে আনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন যুবলীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে আবদুল কাদির সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৈরি সময়ে ওই সম্মেলনে ছিল আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের অবস্থান। এছাড়াও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা জাকিরুল আলম হেলালকে করা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসিফ হোসেন মানুকে সহ-সভাপতি ও শাহ নিজামকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।