নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের পরিছন্ন রাজনীতিবিদ যাকে সর্বস্তরের জনগন পলিটিক্যাল বিউটি হিসেবে চিনে ও জানে তিনি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোহাম্মাদ শাহ আলম।
নিউজ প্রতিদিনের একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ শাহ আলম বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গতিশীল নেতৃত্ব আর তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমানের ডায়নামিক চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে বিএনপির পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জলাবদ্ধতা নিরসন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জাতীয়তাবাদী আদর্শের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা আমার প্রয়োজন। সবার আন্তরিক সহযোগীতা পেলে আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছানো সহজ হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ জানে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যুরা বিগত সময়ে আমার কাছে প্রশ্রয় পায়নি আগামীতেও পাবে না। আমি সমাজের ভালো মানুষদের নিয়ে ভাল কাজ করবো, আর এই ভালে কাজের জন্য মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে মনে রাখবে।
নিউজ প্রতিদিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সেবা করা, আর মানুষের সার্বিক সেবা করার জন্যই আমার রাজনীতি করা। মহান আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট ভালো রেখছেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হবে না। আমি সবাইকে একটা কথাই বলি, যারা মানুষের সেবা করতে চান তারা আমার কাছে আসবেন, যাদের অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করার ইচ্ছা আছে তারা আমার সাথে রাজনীতি করতে আসবেন না।
এক প্রশ্নের উত্তরে মো. শাহ আলম বলেন, কেউ কেউ বলে আমি ১৬ বছর মাঠে ছিলাম না। যারা এসব কথা বলে তারা হয়তো আমার কাছে তাদের কাঙ্ক্ষিত সুযোগ সুবিধা পায়না। কারণ আমি আগেই বলেছি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও জুট সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেই না। তাই একটা শ্রেণী বলে আমি ১৬ বছর মাঠে ছিলাম না।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা বিভাগে একমাত্র আমি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন সরকার আমার বিজয় কিভাবে ছিনিয়ে নিয়েছে আপনারা তা জানেন। নির্বাচনের পর অনেকের ধারণা ছিল আমি রাজনীতি করবো না। তাদের সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সকল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছিলাম। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে প্রমান করে ছিলাম শহরের কর্মসূচি ফতুল্লার মানুষ ছাড়া সফল হয়না। দলীয় কর্মসূচি গুলোতে আমার অংশ গ্রহণ ছিল।
স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা ছিল। সেই মামলা থাকা সত্বেও প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা গুলো থেকে মুক্তি ও জামিনের ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগে করেছি।
শুধু তাই নয়, সব সময় তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছি। আমাদের পারিবারিক আফিয়া জালাল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আমার ব্যক্তিগত জান্নাহ ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নের মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থানের উন্নয়নে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তৎকালীন আর্থিক সহযোগিতা করেছি।এলাকার মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত আফিয়া জালাল হাসপাতাল নির্মাণ করেছি।
জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অনেক আন্দোলনকারী আহতদের আমি জান্নাহ ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা ও আর্থিক সহযেগিতা করেছি।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ ও প্রকৃত নেতা-কর্মীরা আরো ব্যাপক ভালো কাজের জন্য তারা এমপি হিসেবে আমাকে দেখতে চায়। তাদের অনুপ্রেরণা আর ভালবাসা আমার মুল শক্তি। স্বৈরাচার পতনের পর আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচন হবে জনগনের ভোটের নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগন তাদের মুল্যবান পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজ প্রতিদিনকে বলেন, আমি দলের প্রতি অনুগত। দলীয় প্রধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারুন্যের প্রতীক তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক সংকেত পেয়েছি, তারা নির্বাচনের মাঠ গোছাতে বলেছেন। আমি সে লক্ষ্যে কাজ করছি, মহান আল্লাহ চাইলে ও দল যদি মনোনিত করে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করবো-ইনশা আল্লাহ।








