পাহাড়ে পাকিস্তানি আইএসআই এখনও সক্রিয় : এইচ টি ইমাম

96

পাহাড়ে এখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অ্যাক্টিভ আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আইএসআই ১৯৬৯ সালে পাহাড়ে হান্টিং গ্রাউন্ড স্থাপন করে পাহাড়ি মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়। এরপর প্রায় চার যুগ অতিক্রম করলেও কাজের ধরণ পরিবর্তন করে আজও তারা পাহাড়ে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে ক্ষুদ্র যথাযথ সম্পৃক্তিকরণের ক্ষেত্র তৈরিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, প্রফেনর ড. মেজবা কামাল, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অব) আ. রহমান প্রমুখ।

এইচ টি ইমাম বলেন, কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার পাম্প প্রতিষ্ঠা করার সময় পাহাড়ী মানুষ তাদের বিরোধিতা করেন। ওই কাপ্তাই হ্রদের ৪৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিপুল সংখ্যাক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায়। তলিয়ে যায় জনপদ, জীবন-জীবিকা, আবাদী জমি এবং মনুষ্যত্ব। এই সব প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য আইএসআই- আর্মি পাহাড়িদের বিরুদ্ধে অ্যাক্টিভ ছিল। উদ্বাস্তু এই সব মানুষ শেষ পর্যন্ত ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব আইএসআই পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতো। এখন আইএসআই অপতৎপরতার ধরণ বদলেছে। তারা পাহাড়িতে বিভেদ সৃষ্টি, পাহাড়ি-বাঙালি দ্বন্দ্ব তৈরি এবং স্থানীয় রাজনীতিকদের প্রভাবিত করে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় কর্য়া। স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-কে উৎসাহিত করে। এ জন্য তারা প্রশিক্ষণদেয়, অর্থ ব্যয় করে। সরকারি কর্মকর্তা, বনরক্ষীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে।

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা দেশের বাইরেও আত্মপরিচয়সহ নানা অজুহাতে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নামে, পরিচয়ে পাহাড়িদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করে। সূত্র-আমাদের সময়.কম