বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ

262

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার উদ্বোধনকালে এ পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগে সকাল ৯টায় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ও বি-ব্লকের মধ্যবর্তী স্থান ‘বটতল চত্বর’ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত রোগ। আগাম প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। তবে আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই। রোগটি জন্মগত হলেও সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগীরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা যাতে রক্ত পরীক্ষা, রক্ত গ্রহণ ও চিকিৎসাসহ সমন্বিত সেবা পান সেজন্যই বহির্বিভাগে সমন্বিত সেবা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার চালু করা হলো।
দিবসটি উপলক্ষে থ্যালাসেমিয়া সেন্টার দিনব্যাপী বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন হেমাটোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আগত রোগী ও স্বজনদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং টেস্টও করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘নিশ্চিত হোক নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জলিলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস প্রমুখ।