সাংবাদিক স্টিকার নিয়ে পুলিশের বাড়াবাড়ি অগ্রহণযোগ্য : ট্রাফিক আইন মানবো : হয়রানি মানব না:-বিএফইউজে ও ডিইউজে’র বিবৃতি

210

গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্টিকার অপসারনের নামে পেশাদার সাংবাদিকদের পুলিশী হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নেতারা। বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুুদ্দিন হারুন ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ঢাকা সাংবাদকি ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে ডিএমপি’র সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে নির্দেশ প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা ট্রাফিক আইন মানতে প্রস্তুত এবং তা মেনেই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ট্রাফিক পুুলিশের অহেতুক হয়রানি সাংবাদিক সমাজ মানবে না। এক শ্রেণীর ট্রাফিক পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই গাড়ি থামিয়ে তল্লাশীর নামে নানা অজুহাতে যানবাহন চালক ও মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। আর একবার গাড়ি সিগনাল দিয়ে থামালে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও বিভিন্ন বাহানায় হেনস্থা করার প্রবণতা সর্বজনবিদিত। সাধারণত গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা বা মামলা করার এখতিয়ার ট্রাফিক কনস্টবলদের না থাকলেও অসৎ উদ্দেশে গাড়ি থামিয়ে হয়রানি ও অবৈধ সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা চালায়। এ ধরনের উটকো হয়রানি এড়ানোর জন্যই পেশাদার সাংবাদিকরা স্টিকার ব্যবহার করেন। আর স্টিকার ব্যবহার করলে প্রয়োজনে নিরাপত্তা তল্লাশী চালানো যাবেনা, এমন দাবীও সাংবাদিকরা করছে না।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতই সাংবাদিকরা ঘটনা-দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে দ্রæত গন্তব্যে যেতে হয়। সে সময় কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক হয়রানির মুখোমুখি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। বাস্তবতা অনুধাবন করে ঢাকা মহাগনর পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন ।