আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন-নোমান

344

ক্ষমতাসীন সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আজকে দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এটা জাতীয় সঙ্কট। এমতাবস্থায় জাতীয় স্বার্থে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহবান জানান তিনি।

সোমবার এক সভায় তিনি বলেন, কারাগার থেকে নেতাকর্মীদের মুক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা মানুষ চায় পরিবর্তন। ভোটের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ উন্মুখ হয়ে আছেন। বর্তমানে যে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রয়েছে সেখানে জনগণের অধিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই, আইন প্রয়োগের নেই কোনো নির্দেশনা।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই সভা হয়। কলামিস্ট ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পেশাজীবীদের মুক্তি দাবি ও বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে কলম একাডেমি নামক একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি মইনুল আহসান মুন্নার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, ধানের শীর্ষের সম্পাদক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ, বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগ জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আজকে দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এটা জাতীয় সঙ্কট। তাই জাতীয় স্বার্থে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। অন্যথায় অস্থিরতা থেকে শাসক দল আরো বেশি স্বৈরশাসকে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, অপকর্মের জবাবদিহিতার ভয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তবে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা বিএনপি নেবে কিনা জানি না, জনগণ এই সরকারের অপশক্তির আক্রমণের জবাব দিবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হওয়ায় দেশে দু:শাসন নেমে এসেছে। কথা বলার কোনো সুযোগ নেই, ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা এবং জেল।

নোমান বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষক। তিনি সঠিক সময়ে ঘোষণা না দিলে সেটা মুক্তিযুদ্ধ নয়, দেশে বিদেশে গৃহযুদ্ধে রুপান্তরিত হতো।