ফতুল্লা ছাত্রদল নিয়ে তৈমুরের রাজনীতি

169

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গত শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার দোয়া মাহফিলে অশ নিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে বিভাজন তৈরী করে দিয়েছে। বিশেষ কওে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের রাজনীতিতে। ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেও অভিযোগ, তৈমুর ছাত্রদলের যে সব নেতাদের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছিলেন, তারা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা আগেই নিষেধ করেছিল। কিন্তু তৈমুর আলম খন্দকার ওনসব নেতা নিদের্শ অমান্য করে শনিবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিএনপির রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে বলে ফতুল্লা থানা বিএনপির বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

জানা গেছে, শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের ব্যানারে বিসিক এলাকায় ইফতার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন ছাত্রদল নেতা রাসেল মাহামুদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জুয়েল রানা, ফতুল্লা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, জেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তৈমূর আলম খন্দকার নিজেই। ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি থানা বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের। ছাত্রদলের ব্যানারে ওই অনুষ্ঠান হলেও সেখানে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কিংবা যুগ্ম আহ্বায়কদের দাওয়াত না করা হলেও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমানকে করা হয়েছে প্রধান বক্তা ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুকে করা হয়েছে বিশেষ বক্তা। যাতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের চরম চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করা হয়েছে। তবে এ আয়োজনের পিছনের কারণ হিসেবে জানা গেছে বর্তমানে তৈমূর আলমকে আগের মত মুহাম্মদ শাহআলম তোয়াজ করেন না। তৈমূরের হাতে হাতও মিলান না শাহআলম। মুহাম্মদ শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন ডোনার হিসেবে এ জেলায় পরিচিত। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকার শাহআলমকে শোকজ করলেও কোন জবান দেননি শাহআলম। তৈমূরকে আমলেই নিচ্ছেন না শাহআলম। যে কারণে তৈমূর আলম অনেকটা ক্ষুব্দই শাহআলমের প্রতি। যে কারষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিয়েই শাহআলমকে সাইজ করলেন তৈমূর। এক সময় মুহাম্মদ শাহআলম তৈমুরকে খুবই তোয়াজ করতেন। কিন্তু তৈমুরকে পাস কাটানোর কারণে এবার তৈমূরও শাহআলমকে পাস কাটিয়েই ওই অনুষ্ঠানে গিযে হাজির হয়েছেন। সাথে যাদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে তাদেরকেও নিয়ে গেছেন সেখানে তৈমূর। তবে শাহআলমের ভীত নাড়াতে গিয়ে ছাত্রদলের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা কানাঘুষা। ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। একই সঙ্গে ছাত্রদলের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টিতে উস্কানি দিয়েছেন তিনি। আর ওই অনুষ্ঠানে হোচট খেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও মশিউর রহমান রনি। একজন আনাড়ি ধাচের ছাত্রদলের কর্মীর কাছে এ দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক অনেকটাই মানসিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ওই অনুষ্ঠানের আগের দিন শুক্রবার বিকেলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনির সমর্থক অর্ধশত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে তৈমুুর আলমকে উপস্থিত না হতে অনুরোধ করেন। ওই সময় তৈমূর আলম খন্দকার ছাত্রদলের ওই সব নেতাকর্মীদের ধমক দেন।