পুলিশের অস্ত্র লুটকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী খান মাসুদ ৩ দিনের রিমান্ডে

216

বন্দরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাই ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় থানায় ২টি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী খান মাসুদকে প্রধান আসামী করে মামলা ২টি রুজু করা হয়। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার মামলা পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামীদের আদালতে পাঠালে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গত শনিবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী খান মাসুদের নেতৃত্বে তার বাহিনী পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র লুট করে। এ ঘটনার পর পুলিশ শাড়াশি অভিযান চালিয়ে তার কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি ধারালো অস্ত্রসহ পুলিশের কাছ থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদ সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ অখিল সরকার ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামীকে মামলা রুজু করে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার দারোগা এহসান চৌধুরী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র মামলা রুজু করে। এ ছড়াও শুক্রবার সকালে বন্দর ডক ইয়ার্ডের মালিক আবুল কালাম বাসুকে পিটিয়ে আহতসহ মাসুম নামে এক শিশু গুলি বিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ডক মালিক আরও একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী খান মাসুদ, তার সহযোগি মোশারফ, এলিন, সাচ্চু, শামীম, রাকিবকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এ ব্যপারে এলাকাবাসী বলেন, সন্ত্রাসী খান মাসুদ বেপোরোয়া হয়ে ভাবে বন্দর খেয়াঘাট জিম্মি করে অটো চালকেদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে বেড়াত। তরে একটি বাহিনী ছিল যারা খেয়াঘাট এলাকায় ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে যেত। সামাস্য কিছু হলেই তারা অটো সিএনজি বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের দুভোর্গে ফেলে দিল। তার অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। তাকে ভাভ ভাবে জিজ্ঞাসাব করলে তার কাছ থেকে আরও অস্ত্র উদ্ধার হবে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।