বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সেন্টুকে দলে ফেরাচ্ছে না শীর্ষ নেতারা

130

দলীয় শৃংখলা ভঙ্গকারী বেঈমান আখ্যায়িত ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে সহজেই দলে ফিরিয়ে নিচ্ছেন না স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। সেন্টুর আবেদনের প্রেক্ষিতে মতামত জানতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহআলম ও সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের কাছে একটি পত্র পাঠিয়ে এক মাসেও এর জবাব পায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সেন্টু যে আবেদন করেছে তার এক মাস অতিক্রম হলেও কিছুই জানেন না থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। মো. মনিরুল আলম সেন্টু বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনে সেন্টু উল্লেখ করেন যে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিএনপির অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। আমি সেই মতে নির্বাচন করতে থাকি।
এ ব্যাপারে তৈমুর আলম খন্দকার যুগান্তরকে জানান, মনিরুল আলম সেন্টু তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের সম্মতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছেন। এ জন্য থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে মতামত জানতে পত্র লিখেছি। তাদের মতামত পেলে প্রতিবেদন তৈরি করে তা কেন্দ্রে পাঠাব। যদি কেন্দ্র তা গ্রহণ করেন তাহলে সেন্টু তার সিনিয়র সহসভাপতি পদ ফিরে পাবেন। এদিকে সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস যুগান্তরকে জানান, আমার সঙ্গে কেউ কোনো বিষয়ে আলোচনা করেনি। আর তৈমুর আলম খন্দকারের পাঠানো কোনো পত্র আমি পাইনি। এছাড়া দলীয় কোনো বিষয়ে মন্তব্যও করতে চাই না। উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফতুল্লার মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে কর্মিসভায় ৬ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন তৈমুর আলম খন্দকার। বহিষ্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু। এ সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলে ছিলেন, যারা দলের মধ্যে থেকে বেঈমানী করেছে এবং সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান দুর্বল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের দলে কোনো ঠাঁই নেই। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে অঢেল টাকা খরচে মনিরুল আলম সেন্টু কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে চলা ফেরা করতে থাকেন। যার ফলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেকের মুখেই আলোচনায় উঠে এসেছে মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।যুগান্তর