র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের পদত্যাগ সময়ের দাবি-জাফরুল্লাহ চৌধুরী

139

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন।

র‌্যাব মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গুলশানে জঙ্গি অভিযানে ব্যর্থ হলেন। সরকারের বর্তমান অবস্থা হিটলারের ১৯৩৯ সালের নাৎসি বাহিনীর মতো। এক হাজার পুলিশ র‌্যাব ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধরতে পারলো না? তাই আপনার পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, জনগণ পুলিশের কথা বিশ্বাস করতে চায়। কিন্তু বিভিন্ন ধরণের ঘটনায় জনগণ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।

তিনি বলেন, গুলশানের ঘটনার পর সরকারের উচিত ছিল জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সব ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া। উচিত ছিল সাংবাদিক শফিক রহমান, মাহমুদুর রহমান ও রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে জামিনে মুক্তি দেয়া।

জঙ্গি হামলাসহ-সাম্প্রতিককালে দেশে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা দেখতে চাই সকল ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত। জনগণ জানতে চায় দুর্নীতিবাজ বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীন গুলশানে কেন? সেখানেও কি তিনি মিষ্টির গন্ধ পেয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদেরকে নিষিদ্ধ করলেই পারে। দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে জঙ্গিবাদকেও সরকার রাজনৈতিক কার্ড হিসাবে ব্যবহার করছে কি না?

তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের মত ভারতীয় প্রশাসন আমাদের সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে  রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের দেশের মাটিকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

গুম, খুন, গুপ্ত হত্যা ও ক্রসফায়ার বন্ধ না হলে জঙ্গি দমন সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন- সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মেজবাহুর রহমান প্রমুখ।