দীর্ঘ ৪৫ বছর পর নাঃগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতি জমে উঠেছে

167
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতি জমে উঠেছে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছরের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ এতোটা ঐক্যবদ্ধ হয়নি এমন মন্তব্য আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। স্বাধীনতার পর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে উত্তর-দক্ষিন মেরুরর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হলেও চলতি বছর তারও অবসান ঘটে। উখল মেরুর নেতাদেও এখন এক মঞ্চে এসে সমাবেত হতে দেখা যাচ্ছে। বিগত দিনের বিভেদ ভুলে উভয় মেরুর নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে। শুধু দলীয় কর্মকান্ডেই নয়, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ও জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন পর সব নেতাদের এক কাতারে দেখে নেতাকর্মীদের মধ্যেও প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগের এ ঐক্য ধরে রাখতে পারলে আগামীদিনে জেলা আওয়ামী লীগ সারা দেশের জন্য মডেল হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরোধ নিরসন হলেও জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো পূর্নগঠন না হওয়ায় নেতাকর্মীদেও মধ্যে ক্ষোভ রয়েই গেছে। এর জন্য জেলার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। কর্মীদের অভিযোগ, মেয়দহীন কমিটিগুলো নতুন করে ঢেলে না সাজানোর ফলে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসছে না। এর ফলে রাজনীতিতে যারা সক্রিয় রয়েছে তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এর জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরাই দায়ি। দলের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নতুন নেতৃত্ব গড়ে না ওাায় পদ আকড়ে থাকা নেতাদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা বাড়ছে। এর ফলে কর্মীদেও মূল্যায়ন কমে গেছে। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে আরো চাঙ্গা রাখতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই এমন দাবি আওয়ামী লীগের তৃনমূলের। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে এতোটা ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায়নি। প্রবীন রাজনীতিকদের মতে, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সামসুজ্জোহা ও পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদ চুনকার সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্তর-দক্ষিন মেরুরর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই বিরোধের অবসান ঘটে চলতি বছল। এখন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে উত্তর-দক্ষিন মেরু নেই। উভয় মেরুর নেতারা মিলেমিশে একাকার হয়ে দলীয় কর্মকান্ডে এক মঞ্চে দাড়িয়ে অংশ নিচ্ছে, বক্তব্য দিচ্ছে। উত্তর-দক্ষিন মেরুর অবসানে আওয়ামী লীগের তৃনমূল চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের বিরোধ দলের সাধারন নেতাকর্মীরা বিব্রত থাকলেও এখন তাদেও মধ্যে কোন ঝড়তা নেই। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী করতে হলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।