কূটকৌশলী গিয়াসের প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকর্মীরা

76

আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতাকর্মীরা। পল্টিবাজ খ্যাত গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আশায় ত্যাগী ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকা সত্তেও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন সংগ্রাম, দলীয় কাজ করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার,পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা সিদ্ধিরগঞ্জের আবদুল হাই রাজু ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন না জানিয়ে পল্টি গিয়াস উদ্দিন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীদের ইচ্ছা আকাঙ্খাকে কবর দিয়ে কূটকৌশল করে গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হলেও সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নিবেনা বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কারণ,সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা হয়েও যে গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতি অবিচার করতে পারে সেই সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তার হুকুম মেনে বিএনপির রাজনীতি করবে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার পর সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিন দলীয় কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে দলকে পূর্ণগঠন করতে মাঠে নামে। তারা উল্লেখযোগ্য সারা না পেয়েই জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়। দলকে লেজে গোবরে অবস্থা করলেও মাঠে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী পালন করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্থিত ঠিকিয়ে রেখেছে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সেই তৈমুর আলমের রাজপথের সহকর্মীদের বাদ দিয়ে কালাম ও গিয়াস গোপনে গোপনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার ফন্দি শুরু করে। আবুল কালাম মহানগর ও গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার নীল নকশা তৈরি করে। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গ্রহন করে ঐক্যের নাটক। তাদের নাটকে নেতাকর্মীরা মুগ্ধ না হওয়ায় ভিন্ন পন্থা বেচে নেয়। আগে তারা মহানগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এডভোকেট আবুল কালাম সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি জমা দেয় কেন্দ্রে। এ বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতিবাদী হয়ে উঠে ত্যাগী ও সক্রিয় নেতারা। তাদের অপত্তির কারণে ঝুলে পড়ে মহানগর কমিটর অনুমোদন। মহানগরের প্রাণ কেন্দ্র সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদ রাখার দাবি উঠে। সে লক্ষেই সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল হাই রাজু ও থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হতে লবিং শুরু করে। রাজু ও মামুনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় সিদ্ধিরগঞ্জেরই বাসিন্দা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। তিনি রাজু ও মামুনকে সমর্থন না দিয়ে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেন। এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্রটি জানায়, গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলে আঞ্চলিক বিবেচনায় তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি নাও পেতে পারেন। এ ধারনাতেই গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের কাউকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন করেননি। তার এই কূটকৌশল বুঝতে পেরে নেতাকর্মীরা তার প্রতি ফুঁসে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। অথচ ওই সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ দিতে জেলার কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা পল্টি গিয়াস উদ্দিন।