বন্দরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন

34

বন্দরে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানের জননী দুলালী হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও বাদ আসর নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে মানববন্ধন করে। খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন।

গত ১৬ অক্টোবর নবীগঞ্জ রওশন বাগের বাড়ী থেকে দুলালীকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৭ অক্টোবর দুলালী বেগম (২৫) মারা যায়।

ময়না তদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় নবীগঞ্জ কবরস্থানে দুলালীর লাশ দাফন করা হয়।

মামলার বাদী নিহত দুলালীর চাচা আক্তার হোসেন জানান, বন্দর থানার নবীগঞ্জ রওশনবাগ এলাকার মৃত বাছেদ মিয়ার মেয়ে দুলালী সাথে বন্দর তিনগাঁও সুতারপাড় ভদ্রাসন এলাকার হাসান আলী মিয়ার ছেলে নূর ইসলাম পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ সুবাধে প্রায় সময় প্রেমিক নূর ইসলামের বাড়ীতে যাতায়ত করত।

এ সূত্র ধরে গত ১৬ অক্টবর সন্ধ্যা ৭টায় প্রেমিক নূর ইসলাম প্রেমিকা দুলালীকে কথা আছে বলে রওশনবাগ এলাকা থেকে তার ডেকে নিয়ে যায়। পরে পরকিয়া প্রেমিক নূর ইসলামের ২ স্ত্রী সেলিনা বেগম, হেলেনা বেগম, ছেলে আল আমিন, মা মাফিয়া বেগম মিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত ভেবে কুশিয়ারায় চন্ডিতলা বিলে ফেলে পালিয়ে যায়। ১০ দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। দুলালী খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন রওশনবাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক কামাল বাদশার নেতৃত্বে, লাভলু, সুরুজ, মধূ, সুমন, মহসীন, বাপ্পি, রহিম, আক্তার, আরমান, পাগলা, আক্তার হোসেন, কালুন, আলী আকবর, আন্নাস, রাজু আহাম্মেদ, আঃ করিম, খোরশেদ, রুবেল, রবিউল হোসেন পাখিসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্দর থানার পুলিশ প্রশাসন দুলালীর খুনীদের গ্রেফতারে ও মামলা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন। তাই তারা বন্দর পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

বক্তারা আরও বলেন দুলালী একজন নিরিহ ও অসহায় মহিলা ছিলেন, তার ২টি বাচ্চা। দুলালী খুন হওয়ায় এ বাচ্চা ২টি সম্পূর্ন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ অসহায় নারীর খুনীদের দৃুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ড মূলক শাস্তি দাবি করেন। সেই সাথে এলাকাবাসী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।