নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতির নাটকীয় মোড়

119

মোঃ আব্দুর রহিমঃ পাল্টে যাচ্ছে বিএনপির ভোটের হিসেব। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এক টেবিলে বসতে যাচ্ছে। নির্বাচনে কাউনডাউন শুরুর পর বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিভাজন থাকলেও মান অভিমানের পাট সমাপ্তি ঘটিয়ে পূর্বের ঐক্য ফিরে এসেছে নেতারা। দলীয় প্যানেলকে নির্বাচিত করতে এক টেবিলে বসেছে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবী নেতারা। শুধু আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়েই নয়। বিএনপি নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দলের বিভাজন মিটিয়ে নেতারা এক টেবিলে বসে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে তা সময়ের ব্যাপার মাত্র বিএনপির একাধিক সূত্র এমনই আভাস দিয়েছে। বিএনপির নেতার নজরে জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ও রয়েছে বলে ওই সূত্রগুলোর দাবি। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা চাচ্ছেন বিএনপি নির্বাচনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। আর এসব দিক নিদের্শনা রয়েছে বল বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। বিএনপির ভিন্নি ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, আগামীতে সবগুলো নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহন থাকছে। আর এ লক্ষ্যেই বিএনপির বিরোধ মিটানোসহ ঐক্য হয়ে নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামবে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপি যদি নিজেদের ঐক্যে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয় তা আসন্ন নির্বাচনগুলোতে চরম ভরাডুব ঘটবে। পাশাপাশি বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে অস্থিত্ব সংকটে পরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় নিতে শুরু করেছে। যে কোন সময় দলের নেতারা এক মঞ্চে চলে আসতে পারে তা অনেকটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইতোমধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি বেশ কিছু নেতা এককাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর ও এড.শাখাওয়াত হোসেন খান এখন এককাতারে রয়েছে। আইনজীবীদেও বিভাবজ অনেকটাই মিটে গেছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় প্যানেলকে বিজয়ী করতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে নামবে বলেও বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের বিশ্বাস। এদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি পন্থি শীর্ষ আইনজীবীদের বিরোশ নিস্পত্তি হওয়ায় বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বিএনপির অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির বিরোধ যে কোন সময় মিটে যাবে। আসন্ন নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা যে কোন সময় এক মঞ্চে এসে দাঁড়াবে। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকারকে নির্বাচনের আগের রাতে নির্বাচনী মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হলেও বিএনপি এবার নির্বাচনী মাঠ ছাড়তে চাচ্ছে না। নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ জন্য জেলা বিএনপির বিভাজন মিটাতেও কেন্দ্রীয় নেতারা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানগেছে। এবারের নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার আবারো প্রার্থী হতে পারেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তৈমুর আলম খন্দকারকে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। যদিও এড. তৈমুর বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি নারায়নগঞ্জ সিটি করপারেশনের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তবে দল চাইলে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন বলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, বিএনপির নজরে জেলা পরিষদের নির্বাচনও রয়েছে। অবস্থা বুঝে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিবেন। তবে পরিস্থিতি তাদের অনুকুল না থাকলে এ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা যদি দলের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় তা হলে আগামী নির্বাচনগুলোতে বিএনপির চরম ভরাডুবি ঘটবে। এর ফলে বিএনপি নতুন করে অস্থিত্ব সংকটে পরবে।