নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ তরুন নির্ভর হচ্ছে

78

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা সক্রিয়, যারা দলের হয়ে সব সময় মাঠে থাকেন, যে সমস্ত নেতাকর্মী বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে নানা ভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে এবং বিশ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে যখন আগুন সন্ত্রাসকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে দলের হয়ে যারা রাজপথে থেকেছিল সে সমস্ত সক্রিয় নেতাদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি উঠেছে তৃনমূল থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পূর্নগঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রর নিদের্শনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দলকে তৃনমূল থেকে সাজানোর মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া তৈরী করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পৌছে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। জেলা আওয়ামী লীগ পূর্নঙ্গ গঠনের পর কাজ শুরু হবে থানা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। শুধু মূল দলই নয়, অঙ্গ সংগঠনগুলোকেও নতুন করে ঢেলে সাজানোর নিদের্শ রয়েছে দলের হাই কমান্ড থেকে। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর পূর্নগঠন শুরু হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পদ পেতে চলছে লবিং। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব আনার আভাস দিয়েছে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তরুন নেতাদের স্থান দেয়ার ব্যাপারেও তাগিদ রয়েছে কেন্দ্র থেকে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, আগামীদিনে রাজনীতির কথা বিবেচনায় রেখে দলে ক্লিনম্যান ও তরুন নেতাদের রাখার ব্যাপারে তাগিদ রয়েছে দলের নীতিনির্ধারকদের। তবে এ ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে দলে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি উঠেছে তৃনমূল থেকে। এ দাবি ধীরে ধীরে জোরালো হতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক নিদের্শনা অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে। দলের পূর্নগঠনের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন পর জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব দেখতে পাবে দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন গুরুত্বপর্ন পদে চমক থাকবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জে এক ঝুঁকি তরুন নেতৃত্ব দেখতে পাবে দলের নেতাকর্মীরা। যারা বিগত দিনে দলের হয়ে নানা ত্যাগ শিকার করেছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে হামলা, মামলার শিকার হয়েছে, যারা দলের নেতাকর্মীদেও সংগঠিত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে এবং যারা বিশ দলীয় জোট সরকারের সময়ে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সে সমস্ত নেতাদের দলের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত করে মূল্যায়ন করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে শহর কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদ শহিদ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সম্পাদক শওকত আলী, সহ-সভাপতি আ: আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালী মাহমুদ খান, যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক,স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন আব্দুল খালেক, কাঠেরপুলের যুবলীগ নেতা আজমত আলী, নজরুল ইসলাম, ভূইঁগড়ের ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ জুলহাস কাজ করেছেন। এসব নেতারা নানা ভায়ে হয়রানীর শিকারও হয়েছেন। এদিকে, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু নিস্ক্রীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ন পদে আসার প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃনমূলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে দলের হয়ে যারা বিগত দিনে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন সে সমস্ত নেতাদের মূল্যায়নে ভুল করলে আওয়ামী লীগে অস্থিরতা দেখা দিবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।