হাসপাতালের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ৭ সাংবাদিক কারাগারে

78

তানিয়া আক্তার(ছদ্মনাম) নামের মহিলার বাড়ি মিজমিজি কান্দাপাড়ায়। তিন মাস আগে সাইনবোর্ড এলাকার ফ্যামিলি ল্যাব নামে হসপিটালে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। সন্তান সম্ভববা এ নারীকে প্রথমে সিজারের কথা বলে ১৪ হাজার টাকা ও পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নাকানি চুবানী দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
এমনি ভাবে শুধু তানিয়াই নয় আরো ডজন খানেক মহিলার সাথে হাসপাতালটির প্রতারণার অভিযোগ উঠলে সেই তথ্যের সত্যতা জানতে সাংবাদিকের একটি টিম হাসপাতালে গেলে কোন কথা না বলেই হাসপাতালের ডিরেক্টর বেলাল হোসেন পুলিশকে খবর দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তাদের যড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি দিয়ে থানায় পুরে দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহও আনন্দের সাথে বাদিকে চা বিস্কিট খেয়ে মামলা নিয়ে নেন কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই। এতে থানায় আগত প্রায় ৩০-৪০জন সাংবাদিকের কোন কথারও কর্নপাত করেন নি তিনি।
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক ভোরের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার নুরূজ্জামান কাউসার, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মো: খালিদ রাসেল, দৈনিক দেশ কাল পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া, দৈনিক বর্তমান এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল হালিম নিশান, দৈনিক রুদ্রবার্তার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, দৈনিক দিন কালের ডেমরা প্রতিনিধি ও ডেমরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আই ফারুক, মানবাধিকার কর্মী আব্দুস সাত্তার।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নেতা ও বিটিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান বলেন এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কার জনক। যারা অহেতুক সাংবাদিকদের হয়রানী করে উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই সত্যকে আড়াল করতে পারবেনা।
বেসরকারী টেলিভিশন আরটিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সকল খবর তুলে নিয়ে আসে। অসংকোচ প্রকাশে যারা দুরন্ত সাহস নিয়ে সমাজের অন্ধকার ঘুচাতে কাজ করে তারাই হলো সাংবাদিক। সাংবাদিকদের যারা উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই স্বার্থক হতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।