ফতুল্লার কুতুবপুরে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার অধ্যায়ের অবসান হলেও অধরা তার গডফাদাররা

154

স্টাফ রিপোর্টারঃ রহস্যজনক নিখোঁজ ফতুল্লার কুতুবপুরের এক সময়ের আতঙ্ক কিলার সজল বাবুর্চির অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল গত বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কিলার মোক্তার। ফতুল্লার এক শ্রমিক নেতার হাত ধরে উত্থান হলেও পরবর্তীতে তোফাজ্জলের ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠা মোক্তার তোফাজ্জল নিহতের পর সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুর, কদমতলী ও সিদ্ধিরগঞ্জে একের পর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে এমন অভিযোগ কুতুবপুরের সাধারন মানুষের। কুতুবপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে ক’জন কিলার সন্ত্রাসী মিশনে অংশ নিয়ছিল তাদের মধ্যে নিহত কিলার মোক্তার অন্যতম। কিলার মোক্তারের সাথে স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতারও সখ্যতা রয়েছে। এই নেতার ছত্রছায়া থেকে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। সূত্র বলছে, কিলার মোক্তারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে এখানে শেষ নয়, কিলার মোক্তারের অর্থের যোগানদাতাদের মধ্যে রয়েছে সাইনবোর্ড এলাকর অপর মূর্তিয়মান আতঙ্ক সন্ত্রাসী সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীম। সুরুজ বেপরী মোক্তারকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করতো। সুরুজ বেপারীর হয়ে বেশ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে কিলার মোক্তারকে। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি কুতুবপুরের এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার মিশনে নেমেছিল নিহত কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। ওই যুবলীগ নেতা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও ডিবি পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। স্থানীয়দেও মতে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যা পারেনি, ডিবি পুলিশ তা করে দেখিয়েছে। তবে থানা পুলিশের একাধিক টিম কিলার মোক্তারকে গ্রেফতাওে বার বার চেষ্টা চালিয়েছে বলে থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানাগেছে। তবে কুতুবপুরবাসীর দাবি, কিলার মোক্তারের যারা গডফাদার এবং আরো যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ব্যাপারে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার শাহী বাজার আমতলা এলাকার যুবলীগের কথিত নেতা খোকন, সাইবোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীমের ছত্রছায়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হত্যা, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়েছে কিলার মোক্তার। তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর কিলার মোক্তার ভোল পাল্টে সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আলোচনায় উঠে আসে। এর আগে বিএনপির বেশ ক’জন নেতার সাথে সখ্যতা ছিল মোক্তারের। তবে বিএনপি ক্ষমতায় না আসায় মোক্তার আওয়ামী লীগের নেতাদেও সাথে ফেল সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুরে ফিরে এসে সজল বাবুর্চির দলে ভিরে যায়। এর পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিলার মোক্তার কোন দলের না হলেও যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের ক্যাডার হিসেবে ব্যহৃত হয়েছে। একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সামনের সাড়িতে থেকে অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কিলার মোক্তার। যাদের হাত ধরে তার সন্ত্রাসী হয়ে ওঠা এক সময় তাদের জন্যই কাল হয়ে দাড়াঁয় এই সন্ত্রাসী। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কুতুবপুরের জমি দখল, মাদক ব্যবসা, লিংক রোডে ছিনতাই কাজে ব্যবহার হয়েছে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার। আর এসব অপকর্ম করতে গিয়ে মোক্তারের হাতে প্রাণ হারিয়েছে অনেক নিরহ মানুষ। সম্প্রতি সাইন বোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী, আমতলার খোকন, ও মাতুয়াইলের শামীমের শেল্টারে থেকেই পুরো কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়ে করেছিল মোক্তার। স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মীরুকে হত্যার চেষ্টার সাথে মোক্তার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হত্যার চেষ্টা করেছে স্থানীয় অপর এক যুবলীগ নেতাকে। তবে নিলার মোক্তারের গডফাদারদেও আইনের আওতায় আনা গেলে মোক্তারের অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কুতুবপুরের বাসিন্দারা।