সমাজ কর্মী মান্নান ভূঁইয়ার জামিন

81

মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়ার হত্যা চেষ্টাকারী ও চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী দ্বারা নারায়ণগঞ্জ আদালতে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় বুধবার সকালে মান্নান ভূঁইয়া সহ অন্যান্য আরও তিনজন সমাজকর্মী আদালত থেকে জামিন পেয়েছে।

জানাযায়, মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলায় গত বছর ১৮ আগষ্ট চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী সমাজকর্মী মান্নান ভূঁইয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত ও গুলিবিদ্ধ করে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঐ সময় হত্যা চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪ দঃবিঃ তৎসহ বিষ্ফোরক উপাদানাবলী সংশোধন আইন ২০০২ এর ৩ ধারা মোতাবেক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৪৫(৮)১৬।

মান্নান ভূঁইয়া হাসপাতালে থাকাকালীন অবস্থায় মাদক সন্ত্রাসীদের সেল্টারদাতা ডিএইচ বাবুল হাসপাতালে গিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে। এই ঘটনায় ডিএইচ বাবুলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করে। স্মারক নং-৭১৫০/অপরাধ শাখা। অভিযোগের পর র‌্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত মাষ্টার দেলুর সাথে ডিএইচ বাবুল মান্নান ভূইয়ার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় আবারও পুলিশ সুপারের নিকট আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ নং-আর ২৩৯৩ভি। তারপরও ডিএইচ বাবুল একের পর এক মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূইয়া ও তার পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়-স্বজনের ক্ষতি করার জন্য ওঠেপড়ে লাগে। মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকির ফলে ফতুল্লা মডেল থানায় বাবুল সহ আরো কয়েক জনকে আসামী করে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। ডায়রী নং-৬০৮। পরবর্তীতে এই ডায়রীটি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে নন এফআই প্রসিকিউশন দাখিল করে। জুডিশিয়াল আদালত গত ১লা আগষ্ট মামলাটি আমলে নেয়। যার মামলা নং-৫৩/২০১৭।

বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে এবং মাদক সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকার মৃত: আব্দুল খালেকের কুখ্যাত ছেলে ডিএইচ বাবুল নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া সহ তার পরিবারের আরও ৩ জনকে আসামী করে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৩৩/১৬ মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নতুন আইলপাড়া এলাকায়। উক্ত মামলায় দুইজন স্বাক্ষীর নাম না জানিয়ে ব্যবহার করলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর ঐ দুইজন স্বাক্ষী বাদী ডি এইচ বাবুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান এবং স্বাক্ষী থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষনা দেন।

স্বাক্ষীরা আরো বলেন মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা সমাজে অত্যন্ত ভালো লোক এবং মাদক সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করায় তাদের বাধাগ্রস্থ করতে দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডিএইচ বাবুল সাাজনো নাটক করে এই মামলা দায়ের করা হয়। যার স্মারক নং-২৭০১ভি ও অপরটির স্মারক নং-আর ২৬৭১ ভি এবং উক্ত অভিযোগটি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয়ের কাছে অনুলিপি প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং-১৭২১১ এবং অপরটির ১৭০৮৫। পরবর্তীতে ডিএইচ বাবুল কোন উপায়ন্তুর না পেয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করে আবারও ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্তর দেখিয়ে আরকেটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২৫/১৬। উক্ত মামলার রেফারেন্সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বিবাদী মান্নান ভূইয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থানায় নেই এবং সমাজে তারা অত্যান্ত ভালো লোক হিসেবে পরিচিত বলে একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনটি সরেজমিনে এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জিজ্ঞাসাবাদে লেখা হয়। কিন্তু ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে উক্ত মামলায় দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডিএইচ বাবুল এবং মাদক সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করে সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে। যারফলে বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া, সেলিম, ইমতিয়াজ ও শাওন নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী বার সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদী বিবাদীর উপস্থিতিতে সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া সহ অন্যান্যদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এ সময় এডভোকেট সাখাওয়াত হোসনে খানের সাথে আরো ছিলেন এডভোকেট এস. এম কবির ও এডভোকেট ছরোয়ার হোসেন। জামিন পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান মান্নান ভূইয়া বলেন, হামলা-মামলা দিয়ে মাদক বিরোধ সামাজিক আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করা যাবেনা। আমরা সমাজকর্মীরা মাদক বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকাকে মাদকমুক্ত করব ইনশাহআল্লাহ।