ফতুল্লার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে পৌষারপুকুরপাড় সয়লাব

113

 

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা বাজার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে লালপুর ,পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় বৃষ্টির পানির সাথে মিশে জনজীবনের ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানা থেকে মাত্র ৫০গজ দূরে আজাদ ডাইং এন্ড এ্যামবোটারী নামক প্রতিষ্ঠান । আর এই প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত রঙ্গিন পানি লালপুর ,পৌষারপুকুর পাড় আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে রাস্তায় চলাচল করে স্কুল মাদ্রাসার ও পথিকের পায়ে নানা রকম চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। আজাদ ডাইংয়ের পানি আর বৃষ্টির জমে থাকা পচাঁ পানি মিলে একাকারন হয়ে গেছে ফলে নানা রোগ জিবানুতে আক্রান্ত হচ্ছে পায়ে হেটে চলা সাধারন মানুষের ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজাদ মিয়ার মিলের পানিতেই এই বিষাক্ত ক্যামিকেলের রঙ্গিন পানি লালপুর ও পৌষারপুকুর পাড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফতুল্লার কেহ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না। লালপুরের সড়ক গুলো এখন এই বিষাক্ত পানিতে রঙ্গিন হয়ে আছে। আর এই পানির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। ফলে অনেকেরই পায়ে চরম রোগে আক্রন্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে হাটলে পায়ের পাতাসহ জ্বালাতন করে বলে পথিকরা জানান।

এ্যাড.কাজী রাসেল জানান, এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আমরা প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে বলেছি কিন্তু তিনি আজও প্রতিকার করেনি। এখন আমাদের বাড়ির ঘরেও এই বিষাক্ত পানি ঢুকে গেছে। এই রাস্তায় স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করে। এই গরম ও রঙ্গিন পানিতে পা দিলেই পা চুলকায় ।

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজাদ ডাইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৃষ্টির পানিতে ডাংইয়ের ড্রেনের পানি মিলে যাওযায়, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার পানি কমে গেলে আমাদের ড্রেনের পানি আর মহল্লায় ঢুকবে না।