ফতুল্লায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা করেনি

65

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা নয় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মঞ্জুরী বেগমের ভাই ফরিদ শেখ গত ২২ অক্টোবর অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত্যু মামলাটি আবার ফতুল্লা মডেল থানায় ২৪ অক্টোবর হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে।

এ মামলার সূত্রে জানানযায়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মঞ্জুরী বেগম (২৩)। এ ব্যাপারে মঞ্জুরী বেগমের বড়ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। পরে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে গত ২২ অক্টোবর । কর্তব্যরত চিকিৎসক এই লাশটির ময়না তদন্ত রির্পোটে আসে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, রাজবাড়ী জেলার কল্যাণপুর এলাকার মো.মাসুম খান(৩০)। সে গত ৮ বৎসর আগে ফরিদপুর জেলার ভদ্রসন ভাঙ্গিরচর গ্রামের শেখ মান্নানের মেয়ে মঞ্জুরী বেগম কে বিবাহ করেছে। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকে। দুই জনের মধ্যে সাংসারিক বিষয়দি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতে বলে জানায় প্রতিবেশি ভাড়াটিয়ারা। গত ২১ অক্টোবর রাতে মঞ্জুরী বেগমকে তার স্বামী মাসুদখান ও তার পরিবার শ্বাসরোধ হত্যা করে গোসলখানার আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখে। এরপর তার স্বামী ও আসে পাশের লোকজনদের ডেকে লাশটি উদ্ধার করে তাদের রুমের খাটে রাখে। অতঃপর মঞ্জুরী বেগমের বড় ভাই ফরিদকে জানালে ফরিদ এসে পুলিশ খবর দেয় পরে থানায় এসে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত‚্য মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে। এই মামলায় পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার শ্বশুর অহিদুল ইসলাম খানকে আসামী করে মামলা করা হয়। প্রধান আসামী মাসুদ খান বর্তমানে জেল হাতে আছে। তাকে গত ২২অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।