মুসলিমনগরে ক্যাবল ব্যাবসায়ীর উপর হামলা

243

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিম নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন এক ক্যাবল লাইন ব্যবসায়ী। আহত ব্যবসায়ীর নাম আওলাদ হোসেন। তিনি এনায়েতনগর ইউনিয়নের মুসলিমনগর এলাকার মৃত: কালু মাদবরের ছেলে। ঘটনাটি গত ১৮ অক্টোর মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আওলাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে সন্ত্রাসীীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, প্রায় ২০ বছর ধরে মুসলিমনগর এলাকায় ক্যাবল লাইনের ব্যবসা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। এ.এস.সি ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারী সনদ (লাইসেন্স) ও ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। গত দুই বছর পূর্বে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ক্যাবল টিভির পাশাপাশি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের ব্যাবসাও শুরু করেন আওলাদ হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ- ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগের লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। এরপর মোটা অংকের পুঁজি খাটিয়ে ইন্টারনেট লাইন সম্প্রসারন শুরু করেন। কিন্তু কয়েক বছর পূর্ব থেকে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মাদবরের সন্ত্রাসী পুত্রদ্বয় সোহেল, সেলিম, শাসনগাঁও এলাকার আলমাস মিয়ার ছেলে আহম্মদ, ফজলুল হকের ছেলে সোহেল ও ফজলু মিয়ার ছেলে আনিস দেওয়ান ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওলাদ হোসেনের ডিসের ও ইন্টারনেটের ক্যাবল রাতের আঁধারে কাটতে শুরু করে। গ্রাহক সেবায় বিঘœ ঘটাতেই এ অপতৎপড়তা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল। ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছিলেন।
আহত আওলাদ হোসেন তার অভিযোগে বলেন, ‘সম্প্রতি এ সন্ত্রাসীরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এক সন্ধ্যায় মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে এসে আমার ডিস লাইনের প্রায় ৭০০ মিটার ক্যাবল ও চারটি মেশিন খুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমার অফিসের ম্যানেজার মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। এ ঘটনা শুনে আমি নিজে মামুনকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও লাঠি ও হকি ষ্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। তাদের হামলা থেকে আমি নিজেও রক্ষা পাইনি। এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছিল সেদিন।’
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় আবারো তার ক্যাবল লাইনের অফিসে হামলা ও তার চুরি করে নিয়ে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন আওলাদ হোসেন। তবে তিনি কোন ঝামেলা নয়, বরং বিধি মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ব্যাবসা করতে চান। সরকারী লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স, বিটিআরসির লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র যার সঠিক থাকবে, প্রশাসন এবং স্থাণীয় সংসদ সদস্য যেনো তাকেই ব্যাবসা করার অনুমতি দেন- সে প্রার্থনা করেছেন আওলাদ হোসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থাণীয় মুসলিমনগর কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘আওলাদ হোসেন নব্বই দশক থেকে ক্যাবল লাইনের ব্যাবসা করে আসছেন। ব্যাবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি কখনো প্রভাবও দেখাননি। তারা নিজেরাই পারিবারিকভাবে অনেক সমৃদ্ধশালী। ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হওয়া সত্বেও সেই পরিবারের দাম্ভিকতা কখনোই প্রকাশ করেননি। কারন, তার কারনে ওসমান পরিবারের কোন বদনাম কেউ করবে সেটা কখনোই চান না তিনি।