ফতুল্লায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক প্রতারক শামীম তারেক গ্রেপ্তার

101

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ১৫ নভেম্বর রাতে কুতুবপুর এলাকায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক মহা প্রতারক মো. শামীম তারেককে (৪৬) প্রতারনার মামলায় গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার সস্তাপুর নতুন কোর্ট এলাকার মৃত সামশুল হক বেপারীর ছেলে মোশারফ হোসেন (৫০)। সে হিমালয় চাইনিজ এন্ড কমিউনিটি সেন্টারের মালিক। সে ২০১১ ইং সালে সৃজন হাউজিংয়ের মালিক মো. শামীম তারেককে ১৮ শতাংশের একটি প্লট ৪.৫০ শতাংশের একটি প্লট মালিকের কাছ থেকে সৃজন হাউজিংয়ের মূল রশিদ দিয়ে কিস্তিতে প্লট ক্রয় করে। এর মাসিক কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা করে ৩৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। এরপর মোশাররফ হোসেন ২০১৬ সালে ফেব্রæয়ারি মাসে সোনারগাঁও সৃজন হাউজিংয়ে গিয়ে দেখেন তার মৌজায় বি.আর. স্পীনিং কোম্পানীর সাইন বোর্ড টানানো আছে। এরপর শামীম তারেক ও তার সহযোগিদের কাছে প্লট বুঝিয়ে দিতে বললে তারা নানাভাবে তালবাহান করে। এমনকি ভয়ভীতি হুমকী প্রদান করে। একপর্যায় গত ৮ আগষ্ট ২০১৭ইং সালে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করে তারেক ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। এরপর শামীম তারেক ও তার সহযোগি সস্তাপুরের মৃত জয়নাল আবদীন এর ছেলে আবুল হোসেন (৪৮), কুতুবপুরের শাহী মহল্লা এলাকার মৃত জুলহাস উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে দিদার হোসেন (৪২),দেউলাপাড়া এলাকার মৃত কে.এম, আলম খানের ছেলে গাউছুল আজম রানা (৪৭) মিলেনানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে । গত ১১ অক্টোবর মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতের মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল এর একটি ওয়ারেন্ট আসে।এরপর সে কক্সবাজার আদালতে গেলে তা খুঁজে পায়না । তখন সে বুঝতে পারে এটা ভূয়া ওয়ারেন্ট। এরপর ফতুল্লা থানা পুলিশ এর অফিসার ইনর্চাজ কামাল উদ্দিন বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে এই জাল জালিয়াতির চক্রের প্রধান শামীম তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবার পূ:ন তদন্ত করে । পরে মহা প্রতারক চক্রের শামীম তারেক কে গত ১৫ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করেছে। তার সহযোগিরা পুলিশের অভিযানের খবর জেনে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় ভুক্তভোগি মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে শামীম তারেক ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । মামলা নং-৬৪(১১)১৭।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, শামীম তারেক একজন মহা প্রতারক । সে মানুষের কাছ থেকে লক্ষলক্ষ টাকা আত্মসাত করে কোটি পতিবনে গেছে। সে সৃজন হাউজিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছে তা মানুষের কাছে প্লট বিক্রি করলেও কাউকে প্লট বুঝিয়ে দিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে কেহ কিছু বললেই মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করে। সে সরকারী জাল জালিয়াতি করে ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরী করে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। তার সাথে বড় একটি চক্র জড়িত আছে। তদন্ত করে তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।