বন্দরে হাফেজ আনিস হত্যা মামলায় সজল রিমান্ডে

75

বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর হাফেজ আনিস হত্যা মামলার ৩নং আসামী সজল গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আত্মসমর্পণ করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার সরকার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে আসামী সজলকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আত্মসমর্পণকারী সজল বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী কলাবাগ এলাকার হারুনুর রশিদ মিয়ার ছেলে।

এদিকে আনিছ হত্যা মামলার বাদী জামান বলেন,আনিছ হত্যা মামলার ৩নং আসামী সজলসহ সাঙ্গপাঙ্গরা তার পিতা হারুনের নিদের্শে হাফেজ আনিছকে অস্ত্র,চাপাতি ও লোহার পাইপ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে।

নাম প্রকাশে না করার শর্তে সাবদি বাজারের একাধিক দোকানীরা বলেন,আনিছকে হত্যার সময় হারুন মিয়ার ছেলে উশৃঙ্খল সজলের দোকান থেকে অস্ত্র,চাপাতি ও লোহার পাইপ নিয়ে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে সজল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। সাবদি বাজারে আনিছকে খুন করার সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেক প্রভাবশালী লোকজন উপস্থিত থাকলেও তারা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মূখ খুলছেনা।

উল্লেখ্য, বিগত বছরের ২৫মে ২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার সাবদী কলাবাগ এলাকার দিদার হোসেনের ছেলে পারভেজ,তার ভাই ফয়সাল,শামীম একই এলাকার হাজী আবদুল আউয়ালের ছেলে কথিত জাপা নেতা শাহ আলম,হারুন মিয়ার ছেলে সজল,সাবদী এলাকার পালকিওয়ালার ছেলে রুবেলসহ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার সময় পার্শবর্তী মন্দিরের ভেতরে গিয়ে হাফেজ আনিসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

হাফেজ আনিছ খুন হওয়ার ঘটনায় ঐদিন রাতেই তার বড় ভাই জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর ওইদিন রাতেই ৪নং আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩দিন রিমান্ড শেষে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর ৪নং আসামী ধৃত রুবেল পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করে ড্রেজার ব্যবসার জের ধরেই হামলাকারীরা আনিসকে হত্যা করেছিল। মূলতঃ পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এ হত্যাকান্ড ঘটনো হয়েছে।