নারায়ণগঞ্জ জেলার বক্তাবলী পরগনার একটি আলোচিত সামাজিক সংগঠনেরর নাম ‘আলোকিত বক্তাবলী”। এলাকার শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে ভুমিকা রেখে সংগঠনটি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলোকিত বক্তাবলীর রূপকার ও প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মতিউর রহমান ফকির ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
সম্প্রতি আলোকিত বক্তাবলীর ১০১ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংগঠনের আহবায়ক মাশফীকুর রহমান শিশির উক্ত কমিটিকে অস্বীকার করে সেটাকে নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আহ্বায়ক হিসেবে তিনি কোন কমিটি অনুমোদন দেননি বলে জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে কমিটি গঠন সংক্রান্ত কোন প্রকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি তিনি পাঠাননি বলেও দাবি করেছেন। সংগঠনের রূপকার ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান ফকিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যে স্বপ্ন নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই দু একজনের একক সেচ্ছাচারিতার জন্য সংগঠনটি তার জৌলস হারিয়েছে। প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ শিক্ষিত যুবকের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় যে সংগঠনের সুচনা হয়েছিল, ধীরে ধীরে প্রথম সারির সবাই সরে গেছে। তারপরেও কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মনোবৃত্তিতে এলাকার শিক্ষিত কিছু যুবকের সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। অনুমোদিত আহবায়ক কমিটি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি গণতান্ত্রিকভাবে একটি পুর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিকভাবে নতুন পুর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে সেই কমিটিকে সংগঠনের প্যাডে সংগঠনের আহবায়ক ও পদাধিকার বলে সংগঠনের উপদেষ্টা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুমোদন করবে। এখতিয়ার ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেউ কোন কমিটি ঘোষণা করলে তা বৈধ হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে উপেক্ষা করে সাবেক সাধারন সম্পাদক তার রাজনৈতিক বলয়ের নব্য টাকার মালিক অখ্যাত একজন লোককে এতবড় সংগঠনের সভাপতি বানিয়ে তারা কার্যক্রম চালাতে চাচ্ছে। যেই লোকের সাংগঠনিক কোন যোগ্যতা নাই এবং যে ব্যাক্তি এই সংগঠনের সাথে মোটেও জড়িত ছিলনা তাকে দিয়ে সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া মানে সংগঠনের গায়ে কুঠারাঘাত করা।” উদ্ভূত সংকট নিরসনে আপনি কি করতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে মতিউর ফকির বলেন, আমি তো বর্তমানে এই সংগঠনের সাথে জড়িত নই তবে বর্তমানে যে আহ্বায়ক কমিটি আছে তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সকল সংকটের সমাধান করতে পারবেন কেননা তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে পরিক্ষিত ও যোগ্য। আমি যতটুকু জানি অনুমোদিত আহবায়ক কমিটি গণতান্ত্রিকভাবে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তারপরও যদি কোন সমস্যা থাকে তবে সংগঠনের সাবেক যোগ্য সভাপতি এডভোকেট আল আমিন সিদ্দিকী তার মেধা, প্রজ্ঞা ও আইনি জ্ঞান দিয়ে সংগঠনের এহেন সমস্যা গুলোর সমাধানের পথ নির্দেশনা দিতে পারেন। তবে আমি আশা করব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হবে আলোকিত বক্তাবলীর নতুন নেতৃত্ব। শুভ কামনা প্রিয় আলোকিত বক্তাবলী।