জিয়াকে না’গঞ্জে ঢুকতে দেইনি: শামীম ওসমান

81

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ১৯৭৯ সালে  সাতজন ছেলে নিয়ে জিয়াউর রহমানকেও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আটকে দিয়েছিলাম। স্লোগান তুলেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই। এরপর আমার ওপর নির্যাতন চালানো হলো।

আমার সাইকেল আমার পিঠে ভেঙে ফেলা হলো এবং আমার পিঠে মোটরসাইকেল তুলে দেয়া হলো। কিন্তু কোনো কষ্ট পাইনি। তার পরও ১৯জন মন্ত্রীসহ জিয়াউর রহমানকে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ঢুকতে দেইনি। এরপর গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে। এতে আমার ওপর বোমা হামলা করে ২১ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে ফতুল্লার কুতুবপুর তুষারধারায় সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, বড় ভাই নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাড়ি ছেড়ে কাদেরিয়া বাহিনীতে চলে গেলেন। মেঝ ভাই সেলিম ওসমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ধরে নিয়ে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন চালাল। তখন মেঝ ভাই ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবিতে পোস্টার লাগাতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হই। তখন বুঝতে পারি এপথ এত সহজ নয়। তার পরও আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। আমরা দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করেছি।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেছেন, আপনারা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সন্তানদের শাসন করুন দেখবেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের সভায় সভাপতিত্ব করেন।