বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমকে মনোনয়ন বোর্ড নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে চিঠি দিয়েছেন । সোমবার তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
বিএনপির ওই সূত্রটি জানায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি নেতা শাহ আলমই হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী। তবে তার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াকে মনোনয়ন চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম/নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি এস এম আকরাম। বিএনপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জানান, এ আসনে শাহ আলম গতবার নির্বাচন করে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হলেও কৌশলগত কারণে ওনাকে পরাজিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে শাহ আলমও একই দাবি বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলাম। ওই নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছিল। আমার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী করা হয় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী শাহ আলমকে। ওই নির্বাচনে শাহ আলমের প্রতিপক্ষ ছিলো আওয়ামীলীগের প্রার্থী চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী।
শাহ আলম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে মাত্র আড়াইশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বিএনপি মনে করে শাহআলমকে জোর করে হারানো হয়েছিল। নিজ দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে শাহ আলমের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত,আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান। রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা মনোনয়ন চিঠি হাতে পেয়েছেন শামীম ওসমান