আওয়ামীলীগের ২২ ‘যুদ্ধাপরাধীর’ তালিকা দিল বিএনপি

94

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনভাবে ৭১’ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, আপনিই তো জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন। এখনও আপনার দলে স্বাধীনতাবিরোধীদের ভিড়। জনগণকে প্রতারিত করে প্রধানমন্ত্রী আবারও মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে চলেছেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে ক্ষমতাসীন সরকার।

‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগকারীসহ অসংখ্য ব্যক্তি স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী লিপ্ত ছিলেন।

‘এই ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্তুতি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন। কিন্তু এখন তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এসব ‘যুদ্বাপরাধীর’ নাম ও তাদের পরিবারের কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন রিজভী। 

আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন-

১.অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২.লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ৩.ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন,৪.অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ৫.সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ৬.কাজী জাফর উল্লাহ ৭.মুসা বিন শমসের ৮. মির্জা গোলাম কাশেম ৯.এইচ এন আশিকুর রহমান,১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১১.মাওলানা নুরুল ইসলাম,১২.মজিবর রহামান হাওলাদার ১৩.আবদুল বারেক হাওলাদার ১৪.আজিজুল হক ১৫.মালেক দাড়িয়া ১৬. মোহন মিয়া ১৭.মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া ১৮.রেজাউল হাওলাদার ১৯.বাহাদুর হাজরা ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২১.হাসেম সরদার ও ২২.আবদুল কাইয়ুম মুন্সি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ২৩ জনের কথা উল্লেখ করলেও তালিকায় ২২ জনের নাম দেয়া হয়েছে। 
(যুগান্তর)