‘আইএসআই’ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করবে–শামীম ওসমান

73

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপন বৈঠক করছে দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত রাজনীতিবিদ শামীম ওসমান এ দাবি করেন।

শামীম ওসমান বলেন,তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভয়ংকর নাশকাতা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে।

নাশকতার এসব ঘটনা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে জমিয়েত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীর হাতে। তাই তার ওপর কোন ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র যাতে না হয় এবং সে লক্ষ্যে কাসেমীকে নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে আহবান জানিয়েছেন শামীম ওসমান।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে কারা প্রবেশ করছে সে বিষয়ে নজর রাখার আহবান জানান।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআই এর সহায়তায় নিয়ে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটাতে চাইছে। এজন দেশের বিভিন্ন জেলার মত নারায়ণগঞ্জকেও টার্গেট করা হয়েছে। আর টার্গেট পরিপূর্ণ করতে বেছে নেয়া হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমীকে।

তিনি এসব তথ্য দিয়ে বলেন, “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্থানে ও বাসায় পাকিস্তানি নাগরিক নিয়ে গোপন বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা ঘটানো হবে। এ জন্য দেশী বিদেশী কিছু অপশক্তি জেলায় ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে। আর এজন্য ধানের শীষের প্রার্থী কাসেমী বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কম করছেন। কিন্তু কাসেমী বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মধ্যে দামী দামী গাড়ীর মধ্যে অচেনা অজানা লোকদের সঙ্গে মিটিং করছে। ওই সব গাড়ীর নেম প্লেট পর্যন্ত নেই।
শামীম ওসমান বলেন, আরো অবাক হচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে কারো ওপর আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরণের বাধা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু কাসেমী নাটক সাজিয়ে অভিযোগ করছে তার ওপর হামলা হচ্ছে। তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার এসব কর্মকা-ে প্রতীয়মান হচ্ছে ও আমার কাছে প্রাপ্ত তথ্যে মিল পাচ্ছি যে তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কর্মকা-মাত্র।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ১৬ জুন বোমা হামলাটি আমার ওপরই হয়েছিল। তাই কোন ঘটনার আশংকটা আমি আগে টের পাই। তারা যে কোন মানুষের ওপর হামলা করতে পারে। হতে পারে তারা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ বা সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই জেলাকে টার্গেট করে কোন নাশকতা ঘটিয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করা। আর এটা তারেক জিয়াকে দিয়েই সম্ভব। কেননা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুরো পরিকল্পনা ছিল এই নরঘাতকের। ইতমধ্যে বিচার কার্যক্রমে দন্ডিত হয়ে নাটের গুরু হিসাবে সে চিহ্নিত হয়েছে।
শেষতক তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, যেহেতু প্রার্থী কাসেমীকে নির্ভর করে ভয়াবহ হামলার আশংকা করছি সেহেতু কাশেমীকে নির্বাচনী সব কর্মকা-ে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়াসহ জেলায় দেশী ও বিদেশী অপশক্তির প্রতি প্রশাসনের কড়া নজরদারির দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে কাসেমীর মাধ্যমে কোন নাটক রচিত হতে না পারে।
তিনি সাংবাদিকদের অবগত করে জানান, এ তথ্য ও অভিযোগুলোর লিখিত একটি চিঠি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।