ফতুল্লায় ১২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ:শিক্ষক গ্রেফতার

220

১২জন শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ফতুল্লা থেকে এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদরাসার শিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাব।

ওই শিক্ষককের নাম মাওলানা মো. আল আমিন। তিনি মামুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একইসঙ্গে সে ফতুল্লা এলাকায় বায়তুল ফালাহ মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্বে আছেন। এর সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, কিছুদিন পূর্বে সিরিয়াল রেপিস্ট আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেছিল।

গত দুইদিন পূর্বে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং তার মা ফেসবুক দেখছিল। এ সময় হঠাৎ আলেপ উদ্দিনের ওয়ালে থাকা ভিডিওটি দেখে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী তার মাকে বলেছিল যে, মা আমাদের হুজুর কে কেন গ্রেফতার করে না র‌্যাব, আমাদের হুজুর আমাদের সাথে এরকম এরকম করে। আমার ওই মাদ্রাসায় যেতে ভালো লাগে না। আমি মাদ্রাসায় আর যাবো না। পরে বিষয়টি ওই মেয়ের মা র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের সাথে শেয়ার করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ওই মেয়ের জবানবন্দি নেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে জানতে পারেন ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। পরে ওই মেয়েকে কৌশলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে তারা শিক্ষককে আটক করেন। পরে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ওই মেয়ের জবানবন্দি নেন। এর ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তাঁর স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ ১২জন শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।