ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে আকাশের বিয়েতে অস্বীকার

888

নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা এলাকায় বাদল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে ফতুল্লার বক্তাবলী মধ্যনগর এলাকার আবুল কালাম মালের পুত্র আকাশ মাল। এ ঘটনায় কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীটি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আকাশের বিরুদ্ধে। তবে থানা পুলিশ বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগকারী ছাত্রীর দাবি।

অভিযোগে জানা গেছে, শহরের গলাচিপা এলাকায় ভাড়া থাকেন আবুল হোসেন। তার মেয়ে সুমা (ছদ্মনাম) এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায়। এক পর্যায়ে সহপাঠীর পরিচয়সূত্রে সে আকাশ মালের সাথে ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত আকাশ মাল বক্তাবলী ইউনিয়নের মধ্যনগর এলাকার মো. আবুল কালাম মালের ছেলে। আকাশ মাল সুমা (ছদ্মনাম) কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বেশ কয়েকবার দৈহিক মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে তাদের অবৈধ মেলামেশায় কলেজ ছাত্রীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে মেয়িটি তখন বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে জোড়পূর্বক আকাশ মাল মেয়েটিকে পরপর ২বার ‘এমএমকিট’ নামের একটি ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটায়। বিয়ের আগেই সন্তান পেটে থাকার খবর পেলে আকাশের পরিবার তাকে মেনে নেবে না এমনটা বুঝিয়ে সে সন্তানটি নষ্ট করে। এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে কলেজ ছাত্রীটি আকাশ মালকে পূণরায় বিয়ের কথা বললে সে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানায়, এমনকি বিয়ে নিয়ে বা এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আকাশের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন জানান, ”ভীকটীমের সাথে কথা বলেছি। তার কাছে জানতে পেরেছি তার মেলামেশা হয়েছে সিলেট। সুতরাং মামলা হলে সিলেট হবে। আবার বাচ্চা নষ্ট করছে খানপুর সুতরাং মামলা হলে সদর থানায় হবে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করে ওয়ারেন্ট নিয়ে আসলে আমি তাকে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য সহায়তা করবো।”

এদিকে অভিযুক্ত আসামী আকাশের মন্তব্য জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোন ০১৭১৭৮০৩৩২৭ নাম্বারে কথা বললে সে রিসিভ করে কথা না বলে কেটে দেয়। পরে মোবাইল বন্ধ করে রাখে।

ভুক্তভোগি ছাত্রীর দাবি, যেহেতু থানা পুলিশ কখনো এটি সিলেট এর মামলা, কখনো এটি সদর থানার মামলা বলে আসামীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না, সেহেতু আমি মাননীয় পুলিশ সুপারের কাছে আমার প্রতি অন্যায়ের বিচার দাবি করছি। তিনিতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে সেরা হিরো হিসেবে পরিচিত। আমি আমাদের সেই হিরোর কাছে আমার প্রতি এই অন্যায়ের বিচার দাবি করি। যদি কোনোভাবেই আমি বিচার না পাই, তবে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।

এব্যাপারে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.শওকত আলী বলেন, আমি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখবো।