২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 226

দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়, আদালতকে খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতকে জানালেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ কথা বলেন বিএনপির প্রধান।

খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আদালতে পড়ে শোনান বিচারক। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান এসব অভিযোগ সঠিক কি না?  জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়।

এরপর অভিযোগের বিষয়ে আদালতে কিছু লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়া। এ পর্যায়ে আজকের কার্যক্রম মুলতবি করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনের লিখিত বক্তব্যের বাকি অংশ আদালতে উপস্থাপন করবেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

ফতুল্লায় বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার-১

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যার প্রেক্ষিতে অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বিদেশী পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড গুলিসহ মাহাবুব আলম লাবু নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে ঐ সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি মতে পিস্তল এবং ম্যাগাজিন ভর্তি গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাহাবুব আলম লাবু (২৮) সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করেছেন, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামূল হক ও এএসআই কামরুল হাসান।

ফতুল্লা মডেল থানার এ এস আই কামরুল হাসান জানান, বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকা থেকে সন্ত্রাসী মাহাবুব আলম লাবুকে আটক করা হয়। পরে লাবুর স্বীকারোক্তি মতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তফিজুর রহমান আরো বলেন, আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এই বিশেষ অভিযান। নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করার আমাদের একমাত্র লক্ষ। তার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চলমান অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে ।

এরআগে, নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে একাধিকবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ মেয়র প্রার্থী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার দাবী জানিয়েছিলেন।

মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরে ৭৬৭ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৭৬৭ বাংলাদেশিসহ ৯৩৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে সেদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ। ত‍ারা অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার পোর্ট ডিকসনের জিমাহ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা।

বারমানা নেগেরি সেম্বাইলান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিচালক হাপজান হুসাইনিকে উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, আটক হওয়া অভিবাসীদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে জাল ভিসা ব্যবহার, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বা মেয়াদপূর্তির পরেও মালয়েশিয়ায় অবস্থানসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

আটকদের ৭৬৭ জন বাংলাদেশ, ৮০ জন পাকিস্তান, ৫০ জন ভারত, ২২ জন ইন্দোনেশিয়া, ১৩ জন শ্রীলঙ্কা, তিনজন মিয়ানমার ও একজন নেপালের নাগরিক বলে বারনামার খবরে জানানো হয়।

সম্প্রতিকালে চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়োগ চুক্তি নবায়নের সুযোগ দেয় মালয়েশিয়া। কিন্তু তাতে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে চুক্তি নবায়নের সুযোগ শেষ হতেই অবৈধ অভিবাসীদের আটকে অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ সব খবর ওরা সঙ্গে সঙ্গে জানায় না, কিছুদিন সময় নেয়। তবে মুখে মুখে কিছু তো ইনফরমেশন আমাদের কাছে আসে। তারপর আমরা যোগাযোগ করি। টেলিফোনের পরও ওরা (মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ) নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলে ন‍া। ওরা হয়ত বলে তিনশ বা দুইশ’র মতো ধরেছি।

হাইকমিশনার আরও বলেন, যারা আটক হয়, তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র থাকে না। ফলে তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি সেটা সহজে বলা কঠিন।

রাজধানীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, একদল দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে র‌্যাবের গুলিবিনিময় হয়। এতে দুই দুষ্কৃতকারী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা শেষে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে কল্যান্দী গ্রামের প্রবাসী ফালাইন্নার বাড়িতে ১৫/২০ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতদল প্রথমে অস্ত্রের মুখে সকলকে জিম্মি করে ফেলে। এর পর ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশে-পাশের শত শত লোক বের হয়ে কল্যান্দীর চকে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এতে ১ ডাকাত আটক হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়।

আটককৃত ডাকাতকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, নিহত ডাকাতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

যথাযথ মযার্দায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন

যথাযথ মযার্দায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনী কতৃক নিহত ১৩৯ জন শহীদের স্মরণে সকাল ৮টায় বক্তবলীর সৃতি স্তম্ভে  বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের(প্যানেল চেয়ারম্যান) আতাউর রহমান প্রধান,২নং ওয়ার্ড মেম্বার আকিল উদ্দিন সিকদার,৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলহাজ্ব ওমর ফারুক,৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রাসেল চৌধুরী,৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মতিন খান,৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল জলিল গাজী,৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন,৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আমজাদ হোসেন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাঃ হাজেরা বেগম, মোসাঃ মরিয়ম বেগম ও মোসাঃ কুলসুম বেগম। 

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমকে হত্যার হুমকী

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহিমকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েক দফায় একটি বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে এই হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম গতকাল শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। ডায়েরী নং-১৩০০।
সাংবাদিক আব্দুর রহিম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক ডান্ডিবার্তায় যাওয়ার পথে মাহমুদ ওরুফে মগা পরিচয় দিয়ে ০১৯৭১১১১৪৭৯ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৯২৩৪৯৬৫৫৭ নম্বরে ফোন করে আমাকে  ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকী দেয়। এছাড়া এই হুমকীর সংবাদ প্রকাশ করলে এর পরিনাম ভয়াবহ হবে বলেও জানায়। আমি তার সঠিক পরিচায় জানতে চাইলে ফোন কল কেটে দেয়। আব্দুর রহিম আরো জানায়,  কিছুদিন পূর্বে শাহজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ি এলাকার ফাহিম ও ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় চিহ্নিত মাদ্রক স¤্রাট দিপুর বিরুদ্ধে দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকায় ধারাবাহিক তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করে। এই সাংবাদের পর ফাহিমের পরিবারের ৭ সদস্য ও দিপুকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে হুমকী দিতে পারে বলে তার ধারনা। উল্লেখ্য, গত ২ মাস পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী দিপুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকশের জের ধরে সাংবাদিক রহিমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানায়, এ ঘটনায় হুমকীদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একজন দারোগাকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে পুলিশের গুলিতে শিক্ষকসহ নিহত ২

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষক আবুল কালাম উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বলে জানা গেছে। পথচারী নিহত অপর ব্যক্তির নাম সফর আলী (৬০)।

রবিবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরের কলেজের ভিতরেই এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব দাবি করেছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলবাড়ীয়া কলেজে সরকারীকরণের দাবিতে দুপুরে পৌর এলাকায় আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে কলেজের ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোনকারীদের ওপর হামলা করে পুলিশ।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পথচারী মাছবিক্রেতা সফর আলী এবং সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সফর আলী মারা যান। অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ফুলবাড়ীয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক ঈমাম হোসেন।

কলেজ শিক্ষক আরো জানান, পুলিশের লাঠিপেটায় শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস, মুজিবুল হক, মুজিবুর রহমানসহ শিক্ষার্থীরা আহত হন।

এ দিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরের সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি রিফাত খান রাজীব।

ঘটনায় নিহত সফর আলী সম্পর্কে ওসি রিফাত খান বলেন, কলেজে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন একটাপর্যায়ে আমরা উপজেলার দিকে ফেরত আসতে থাকি। আসার পথে উপজেলা পরিষদের দিকে একটা অসুস্থ মানুষ শুয়ে আছে। গামছা পরা। কিছু মানুষ তাকে দেখছে। তখন সাংবাদিকরাও ছিল। তখন বললাম, উনি অসুস্থ তাকে হাসপাতালে পাঠান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যানে করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর ভ্যান ওয়ালা ফেরত আসে, জানায় যে তিনি পথেই মারা গেছেন। এ কারণে আর হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডাকি। কারণ তিনি তো মারা নাও যেতে পারেন। পরে আমরাই তাকে হাসপাতালে পাঠাই। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।

নাসিক নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বৈধ ৮

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রো্ববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের দ্বিতীয় তলায় রিটার্নিং অফিসারে অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার এ ঘোষণা দেন।

যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির কামাল প্রধান, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস সোহেল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাসদ (ইনু) এর মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের আজহারুল হক।

তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিনদিনের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় আপীল বিভাগে আপীল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্ণিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার।

মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর পক্ষে উপস্থিত মনোনয়নে প্রস্তাবকারী প্রতিনিধি আব্দুর রাসেদ রাশু জানান, বর্তমান পরিস্থিতে মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।

এদিকে বাছাইকালে বিএনপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নিবাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন পর্যন্ত কর্ম থেকে বিরত রাখারও আবেদন জানান তিনি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ উল্লেখ্য করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটানিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আচরণবিধি লঙ্গণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যখন যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যপারে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে দুই দিনে যাচাই বাছাই শেষ হওয়ার পর কাউন্সিলর পদে ১৩ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ জন এবং মেয়র পদে ১ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর এখন ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ টি আসনে ৩৭ জন এবং মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার এবং ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করতে পারবেন।

একজন রোহিঙ্গা মুসলিমও যেন হত্যার শিকার না হয়-মায়ানমারকে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারী বাহিনী পরিচালিত সুপরিকল্পিত ও বর্বরোচিত ‘জেনোসাইড’-এর ঘটনায় আমি গভীরভাবে বেদনাহত ও উৎকণ্ঠিত।’ অনতিবিলম্বে এই জেনোসাইড বন্ধের জন্য আমি মায়ানমার সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আর একটি মানুষও হত্যাকাণ্ড, উচ্ছেদ ও নির্যাতনের শিকার না হয়।

রবিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, সংখ্যালঘু একটি জাতিগোষ্ঠীর ওপর এমন পৈশাচিক নির্মূলাভিযানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত। তাদের সকলের হৃদয় বেদনামথিত। এমন ঘৃণ্য ও নিষ্ঠুর কার্যকলাপের নিন্দা জানাবার কোনো ভাষা নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে ‘রাখাইন’ নামে পরিবর্তিত এককালের স্বাধীন ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যমণ্ডিত আরাকান অঞ্চলে পরিচালিত এই গণহত্যা অভিযানে সরকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের দাঙ্গাবাজরাও অংশ নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিধর্ম বিদ্বেষী আক্রোশ চরিতার্থ করতে তাদেরকে গুলি ও জবাই করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস করে তাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা নারীদের। দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গভীর পরিতাপ ও দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কোনো সামরিক জান্তা নয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির নেতৃত্বে পরিচালিত মায়ানমারের প্রশাসনই এ অমানবিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হোতা। যিনি নিজে দীর্ঘকাল নির্যাতিত হয়েছেন তিনি কী করে এমন পৈশাচিক তাণ্ডবকে অনুমোদন করছেন, ভেবে আমরা স্তম্ভিত হচ্ছি।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে হত্যা, উৎপীড়ন ও উচ্ছেদের জন্য দায়ী প্রতিটি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মায়ানমারের এই জেনোসাইডের বিরুদ্ধে আমি আমার প্রিয় দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের সোচ্চার হবার এবং নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রতিটি মানবতাবাদী রাষ্ট্রের সরকার, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব, জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার আহ্বান, কেবল কথামালা নয়, রোহিঙ্গাদের রক্ষায় বলিষ্ঠ এমন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসুন, যাতে মায়ানমার সরকার গণহত্যার কালো হাত গুটিয়ে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অপরাধীদের শাস্তিবিধানে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সব সময়েই নিকট প্রতিবেশী হিসাবে বাংলাদেশকে স্পর্শ করেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এবং লোকসংখ্যানুপাতে বাসযোগ্য জমির ক্রমসংকোচনের এ দেশে এখনো অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী আগে থেকেই আশ্রয় নিয়ে আছে। এতে আমাদেরকে সামাজিক অনেক সমস্যাও ভোগ করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি হিসেবে জীবন রক্ষায় আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে যতদূর সম্ভব আশ্রয় দেয়ার জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমি অভিন্ন আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সেই সঙ্গে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, কেবল শরণার্থীদের আশ্রয় ও সাহায্য দেয়ার মধ্যেই কোনো সমাধান নিহিত নেই। রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে জীবন-সম্পদ-সম্ভ্রমের অখণ্ড নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান কল্পে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি বিশ্বসমাজকেও অবিলম্বে সক্রিয় হবার এবং এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।