৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 203

নাসিকে নতুন বছরের বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নতুন করে কোনো কর আরোপ ছাড়াই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের জন্য ৬শ ৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়াদের বাজেট এটি। এর আগে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সিটি করপোরেশনের বাজেট ছিল ৬শ ১ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭৯১ টাকা।
রোববার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে জনতার উপস্থিতিতে উন্মুক্তমঞ্চে এ বাজেট ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। বাজেট ঘোষণা শেষে জনতার মুখোমুখি হবেন এবং জনতার প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।

বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচন, তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ ও পুননির্মাণ, যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংস্কার, খেলাধুলার মানোন্নয়ন ও রাস্তার বাতি স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবারের বাজেটে প্রথমবারের মত শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে বরাদ্দ আছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য ও পয়োনিষ্কাশনপ্রণালী খাতে বাজেট রাখা হয়েছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রাখা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।

এতে উপস্থিত আছেন নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ নগরবাসী।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বাজেট ঘোষণা করেছিলেন মেয়র আইভী। ওই বছরের ২৫ জুন প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। ওই বাজেট ছিল ৩০৭ কোটি টাকার। এরপর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে নাসিকের বাজেট ছিল ৪শ ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।

২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪শ ২৪কোটি ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫১২ টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ৪শ ৮৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ টাকার।

উন্নয়নে আমরা আপনার পাশে আছি– কাউন্সিলর খোরশেদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রথম বাজেট ঘোষনা করায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দরা। এ সময় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে এক হৃদয়ময় দৃর্শ্য দেখা যায়। নাসিক মেয়র ডা. আইভী এই নিয়ে ৬ষ্ঠ তম বাজেট ঘোষনা করা হয়।

সকাল পৌনে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়া পর ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম বাজেটে উপস্থিতি হন এমপি সেলিম ওসমান। এ সময় কাউন্সিলররা মেয়র ও এমপি সহযোগিতায় আরো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বজায় রাখার আহবান জানান।

দুপুর সোয়া ১টায় বাজেট ঘোষনা শেষে নাসিকের মেয়র কক্ষে মেয়রকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকারের নেতৃত্বে কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, শাওন অংকন, সামসুজ্জামান, গোলাম নবী মোরাদ, শিউলি নওশাদ, হুসেনেয়ারা, ফয়সাল সাগর, শারমিন হাবিব বিন্নী, সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার, আফরোজা আক্তার বিভা ও মনোয়ারা বেগম।

ফুলেল শুভেচ্ছা শেষে কাউন্সিলরা মেয়রকে বলেন, আপনি হলেন আমাদের শক্তি। আপনাকে নিয়ে আমার নগরবাসী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শরিক হব।কাউন্সিলার খোরশেদ বলেন আমরা আপনার পাশে আছি।

এ সময় মেয়র ডা. আইভী কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুরা বাজেট নিয়ে কোন কথা থাকলে আমার সাথে আলাপ করুণ। সাথে পুরাতন কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করুণ আপনাদের সমাধান হবে।

আপনারা নকল ফরমে নয় আসল ফরম পূরণ করে বিএনপির সদস্য হবেন-আজাদ বিশ্বাস

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বক্তাবলী ইউনয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর আলী সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এবং সাধারণ সম্পাদক এড. আল আমীন সিদ্দিকীর পরিচালনায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে আজাদ বিশ্বাস বলেন, ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ থানা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা মূরধারারবাইওে গিয়ে সংগঠনে বিশৃংখলা তৈরী করার চেষ্ঠা করে প্রকৃত বিএনপির লোক নয়। তারা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গেও অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। তিনি বলেন,শাহ আলম সাহেব দশ বছর যাবৎ দলীয় নেতাকর্মীদের সংগে নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন এবং দলকে গতিশীল করার জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন,অনেকে সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে গিয়ে ভুয়া সদস্য ফরম বিতরণ করছেন। এটা সাংগঠনিক ভাবে অন্যায় কাজ। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোশ্যে তিনি বলেন-আপনারা নকল ফরমের সদস্য হবে না। আলহাজ্ব শাহ আলম সাহেবের সরবরাহকৃত আসল সদস্য ফরম পূরণ করে বিএনপির সদস্য হবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ বোরহান,বক্তাবলী ইউনিয় বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন বারী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ৭নং ওযার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইনামুল কবির হুমায়ুন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ কাশেম খাঁন, সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির সর্দার, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মাহমুদ,বিএনপি নেতা মোঃ পিয়ার হোসেন পিন্টু, মোঃ আতাউর ফকির,মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ শার জাহান, জুয়েল আরমান,পল্লব, খোরশেদ গাজী মোতালেব গাজী, মোঃ দুলাল মোঃ শামীম প্রধাণ সহ এলাকার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শীতলক্ষ্যায় ট্রলার ডুবি, কয়েকজন নিখোঁজ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

রবিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, রবিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট থেকে ২০-২৫ জন পোশাক শ্রমিককে নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার কাপাসিয়ার সিংহশ্রী বাজার খেয়াঘাটে যাচ্ছিল। পথে বালুবাহী একটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠে আসে। তবে এখনো এক নারীসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।

ওসি আরো জানান, সিংহশ্রী ক্যাম্পের পুলিশ বালুবাহী ওই নৌকা ও সেটির মাঝিকে আটক করেছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় এক নারী নিখোঁজ আছেন বলে জেনেছি। রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। সকালে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।

‘শতকরা ৫০ ভাগ নারী চলাফেরার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার’

শতকরা ৫০ ভাগ নারী বাজারে চলাফেরা করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার হন। অন্যদিকে, হাসপাতালে গিয়ে ৪২.৫ ভাগ নারী সেবাদাতাদের দুর্ব্যবহারের শিকার হন। এছাড়া, ৩০ ভাগ নারী পুলিশ স্টেশনে ইভটিজিংয়ের শিকার ও শতকরা ৩৫ জন নারী বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।

রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মানসম্মত গণসেবা বিষয়ক মতবিনিময় সভা’য় একশন এইড বাংলাদেশ এসব তথ্য জানিয়েছে।

‘গণপরিসরে নারীর প্রতি সহিংসতা: পরিপ্রেক্ষিতে গণসেবা’ শীর্ষক গবেষণাটি তুলে ধরে একশন এইড বাংলাদেশ। এসময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উন্নয়নমূলক সংস্থার প্রতিনিধিরা গণসেবা নিয়ে প্রান্তিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

সভায় বক্তারা বলেন, অর্থায়ন, নীতির বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গণসেবাগুলো জনমুখী নয়। তাই স্বাস্থ্য শিক্ষা ও যাতায়াতের মতো জরুরি গণসেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারীরা।

একশন এইড জানায়, ২০১৬ সালের প্রথমদিকে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটির পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালে সেবা নেওয়া চারশ মানুষের ওপর এ গবেষণা করা হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার এসব স্থানে সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথভাবে আমলে নেওয়া বা সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণাটিতে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গবেষণার ফল ও গণসেবা নিয়ে একটি ধারণাপত্র তুলে ধরেন একশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নুজহাত জেবিন। তিনি বলেন, চিকিৎসা, নিরাপত্তার বিষয়ে গণসেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারীরা সমস্যায় বেশি পড়েন। মূলত জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে বাজেট বরাদ্দের অভাব, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এমন অবস্থা।

গবেষণার ফল নিয়ে গণসেবার ধারণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। স্বাস্থ্যখাতে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে মাথাপিছু বাৎসরিক গড় বরাদ্দ ২৭ ডলার যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক উল্লিখিত দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মাথাপিছু বরাদ্দের থেকে ২৫ শতাংশ কম।

গবেষণার ফল ও গণসেবা খাতে সরকারের বরাদ্দ ও বিভিন্ন উদ্যোগের বিশ্লেষণ করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক সিনিয়র গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হয়ে গেছি। কিন্তু আয়কর দিচ্ছে কয়জন? অনেকেরই এখনও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে। তাই রাজস্ব বাড়াতে নতুন উদ্ভাবনী কৌশল নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও একশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরি বলেন, যদি সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয় তাহলে সে কর্মক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাই গণসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রচলিত ধারার বাইরে করপোরেট ট্যাক্সকে আমলে নিতে হবে।

গবেষণা ও ধারণাপত্রে প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জেন্ডার সংবেদনশীল গণসেবা কাঠামোর কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে গণসেবায় সরকারিভাবে অর্থায়ন বাড়ানো; সরকারিভাবে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা; স্বচ্ছ ও জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; জবাবদিহিতামূলক গণসেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এছাড়া সার্বিক গণসেবার পরিস্থিতি উন্নয়নে জনবান্ধব গণসেবার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২

নারায়ণগঞ্জের  সিদ্ধিরগঞ্জে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবু সায়েম, এএসআই প্রকাশ চন্দ্র রোববার (১৬ জুলাই) ভোররাত সাড়ে তিনটায় সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসান।
এ সময় টেকনাফ থেকে ঢাকগামী একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১৫-২২১৩) এ তল্লাশী করেন।
তল্লাশীর সময় পিকআপ ভ্যানের নীচে অভিনব কায়দায় তৈরী বিকল্প চেসিস হতে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবার বিশাল চালান উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার মৃত কাওছার এর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০) এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ির মোসলেম উদ্দীনের ছেলে মো. আলম (৩০)।
অপরদিকে, ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী বাদশাহকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাদশা ওই এলাকার মৃত সোলাইমান মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহমুদুল হাসান ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধাকৃত ইয়াবাগুলোর প্রতি পিচ গড় মূল্য ২শত ৫০ টাকা। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক বহনকারী পিক-আপ জব্দ করা হয়েছে।

পানিতে ভাসছে ডিএনডিবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএনডিতে একনেকের সাড়ে পাঁচ’শ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিস্কাষনে কাজের মূলা জুলিয়ে এ বছর পানি নিস্কাষনের সকল কাজ প্রায় বন্ধ ফলে সৃষ্ট হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পানি বন্দি মানুষ।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা অঞ্চলের ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে ১৯৬৫-১৯৬৮ সালে গড়ে তোলা ডিএনডি বাধে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ২০১৫ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনডি এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেন। পরে ২০১৬ সালে একনেকের সভায় ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের পর বছর পার হয়ে ফের বর্ষা মৌসুম চলছে। গত মাসের কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ডিএনডির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি না কমতেই ফের বৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতা আরো ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষের ধারনা একনেকের এই কাজের কারনেই এবার এ অঞ্চলে কোনো নিস্কাষনের কাজ করা হয়নি।
অনেক এলাকা ঘুওে দেখা যায় প্রতি বছর কম-বেশি পানি নিস্কাষনের জন্য ড্রেন ও খালগুলো পরিস্কার করা হয়। কিন্তু এ বছর প্রায় সব এলাকাই এ কাজ বন্ধ ছিলো। তাই বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ডিএনডি বাধের মধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন যাবত খুব কষ্টকর অবস্থায় পানিবন্দি। অনেকে চলাচলের জন্য বাড়ির ভেতরে তৈরি করেছে সাঁকো। এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে আছে হাঁটু সমান পানিতে। মানুষ চলাচলে জন্য ব্যবহার করছে নৌকা। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ বাড়িতে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে আছে। আর শিক্ষার্থীরা কাদা-পানি ঠেলে কষ্ট করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। অনেক মসজিদ গুলোতে পানি ডুকে যাওয়ায় মুসুল্লিদের নামাজ পড়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। এত কষ্টের মধ্যে পানিবন্দি অবস্থায় বসবাসরত অসহায় মানুষের খোঁজ কেউ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জলাবদ্ধতার কারনের খাবার-দাবার জোগার করা ও রান্না করার সমস্যয় অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী শুষ্ক এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় চারিদিকে থই থই পানি। পানির মধ্যে মানুষের বসবাস। বিভিন্ন স্থানে চলছে নৌকা। কোথাও আবার হাটু পানি ভেঙ্গে চলাচল করছে মানুষ। বিভিন্ন বাসায় তলিয়ে আছে বিশুদ্ধ পানি উত্তলনের মটোর। শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে।
কয়েক দিনের বর্ষণের ফলে ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকা, ব্যাংক কলোনি, সেহাচর তক্কার মাঠ, মিজমিজির পাইনাদী, সিআইখোলা, কালাহাতিয়ার পাড়, নতুন মহল্লা, মজিববাগ, রসুলবাগ, নয়াআটি, তুষার ধারা, হাজীগঞ্জ, গিরিধারা, সাদ্দাম মার্কেট, জালকুড়ি, শহীদ নগর, ভূইঘর, দেলপাড়া, রামারবাগ, লালখাঁ, লালপুর, সস্তাপুরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। অথচ, ডিএনডির নারায়ণগঞ্জ অংশে জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান, মেয়র ও দুইজন সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করছেন।

কার ক্ষমতা বেশি : জাতীয় সংসদ নাকি সুপ্রিম কোর্টের ?

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ছাড়াও নানা বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে বিচার ও আইন বিভাগ। কিন্তু ‘বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে’ – এ প্রশ্ন ছাড়িয়ে ‘কিছু ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করা উচিত’– এই দাবিও উঠেছে।

জাতীয় সংসদ, নাকি সুপ্রিম কোর্ট? কার ক্ষমতা বেশি? এ নিয়েই মূলত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন উত্তপ্ত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি আদালতের ক্ষমতা আরো বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

অধঃস্তন আদালত বিষয়ে ১১৬ ও ১১৬ক অনুচ্ছেদ দুটি সংবিধানের মূল ভিত্তির পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে একাধিকবার অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

অন্যদিকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর সংসদ অধিবেশনসহ বিভিন্ন আয়োজনে রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। তারা মনে করছেন, এর ফলে বিচারবিভাগের আর জবাবদিহিতা থাকল না।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন খসরু বলছেন, ‘আমাদের সাবমিশান ছিল বিফোর দ্য সুপ্রিম কোর্ট যে, এটা (বিচারপতি অপসারণে সংসদের ক্ষমতা) মূল সংবিধানের অংশ, সুতরাং এটা বাতিল করা যাবে না, এটা কোনো অবস্থাতেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসনের পরিপন্থী নয়।’

রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে কিনা, তা নিয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানান আব্দুল মতিন খসরু।

তবে ‘মূল সংবিধানে ছিল’, আব্দুল মতিন খসরুর এমন বক্তব্যের সাথে একমত নন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলছেন, ‘‘৭২-এর সংবিধান কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থাকতেই কিন্তু এই সংশোধনী হয়েছিল। বারবার যে বলছেন ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা, তাহলে এই চতুর্থ সংশোধনীর কী হবে?’

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পাশ হওয়া চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু, বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন এবং বাকশাল গঠন করা হয়।

‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই আছে’ এমন ব্যাখ্যার সাথেও একমত নন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলছেন, ‘‘সাংসদরা তদন্ত করবেন সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে, তারপর তারা অভিশংসন করবেন, এই ধরনের প্রক্রিয়া পৃথিবীর কোনো দেশেই নাই।’

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় বিচারপতিদের আর জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাচ্ছে না বলে মনে করেন সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু। তিনি বলছেন, ‘প্রমাণিত অসদাচরণের কারণে’ সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারণের অধিকার সংসদের আছে। তবে তিনি মানছেন যে, ‘‘এখন সংবিধানের ১১১ ধারা অনুযায়ী আমরা রায় মানতে বাধ্য।’

সংসদের হাতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা থাকার বিরোধিতা করলেও, বিচারপতিদের জবাবদিহিতা বিষয়ে একমত ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলছেন, ‘‘নিম্ন আদালতের বিভিন্ন বিষয় থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টেরও বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তের সর্বময় ক্ষমতার মালিক করে দেয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে। প্রধান বিচারপতিকে বিচার বিভাগের সব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া আছে সংবিধানে।’’ এটিও বিচার বিভাগে একনায়কতন্ত্র তৈরির সুযোগ করে দেয় বলে মনে করছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

আদালত পরিচালনার ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবি তুলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদারও। তিনি মনে করেন, ‘‘নিম্ন আদালতের সুপারভিশন এবং একই সাথে বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে শুধু প্রধান বিচারপতির সম্মতি না নিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে এই কমিটি করা যায়।’’ সেক্ষেত্রে কোনো জ্যেষ্ঠ বিচারক, আইনজীবী সমিতির সদস্য বা অন্য কাউকে কমিটিতে রাখা যায় বলেও মনে করেন তিনি।

সংবিধানের ৯৫ এবং ৯৬ ধারা অনুযায়ী, বিচারপতি নিয়োগ এবং অপসারণ নিয়ে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি সেই আইন। ৪৫ বছরেও এ আইন না করতে পারা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে মেনে নিচ্ছেন আব্দুল মতিন খসরু। তিনি বলছেন, ‘‘অবিলম্বে এই দুই বিষয়ে দু’টি আইন করা প্রয়োজন। সরকার এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন।’’

আদালত পরিচালনায় প্রধান বিচারপতির একক ক্ষমতা হ্রাস করে একটি কমিটির মাধ্যমে তা পরিচালনার কথা ভাবছে সরকার। তিনি বলেন, ‘‘ভারত এবং অন্যান্য দেশে একটা কলোসিয়াম আছে। চিফ জাস্টিস এবং নেক্সট টু সিনিয়র জাজেস, তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেন। এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে, মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে।’’

তবে ঠিক কবে এই উদ্যোগ কার্যকরে ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি আব্দুল মতিন খসরু। সূত্র: ডয়চে ভেলে

অপহরণের ৩ বছর পার হলেও আজও খোঁজ মেলেনি মামুনের

গত ১০/০৫/২০১৪ তারিখ সকাল ০৯.০০ টায় ফতুল্লার লামাপাড়া হতে অপহরণ হয় চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার অর্ন্তগত শাখারীপাড়া গ্রামের স্কুল ছাত্র মামুন (২২)। জানা যায়, ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করার পর সে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় গ্রামের রকমত আলীর কন্যা তাসলিমা (২০) এর সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তাসলিমার ভাই রফিক বিষয়টি জানতে পেরে তাসলিমাকে ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম লামাপাড়াস্থ জনৈক আলহাজ¦ সালাউদ্দিন মিয়ার বাড়ীর নিচতলায় তাসলিমার খালা আমেনা বেগমের ভাড়া বাসায় রেখে আসে। পরে তাসলিমা একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী নেয় এবং মামুনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক বজায় রাখে। ১০/০৫/১৪ তারিখ সকালে মামুন ফোন পেয়ে তাসলিমার খালা আমেনার বাসায় তাসলিমার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য চলে আসে। তারপর মামুন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মামুনের পিতা মোঃ আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নং-২৩ তাং-০৯/০৫/১৬ ধারা-৩৬৪ দন্ডবিধি দায়ের করেন। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করার পর বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি মামলা তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অপহৃত মামুনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও মামুনের কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার পরিবারের লোকজন হতাশাগ্রস্থ। মামুনের পিতা আবুল কালাম (০১৮৩৯-৫৪৬৮১৭) তার ছেলেকে কেউ খুজে পেলে সন্ধান দেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

 

উদ্বোধনের আগেই ধসে গেছে সেতু

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ধোপাছড়ির ছাপাছড়িতে নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের আগেই ধসে গেছে। ফলে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রায় ২ শত ফুট খালের উপর ৬০ ফুট সেতু অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
গত জুন মাসে টানা ৩/৪দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতে ছাপছড়ির কুমারীছড়ায় নব নির্মিত সেতুর বেইজের নিচ থেকে পলি মাটি সরে যাওয়ায় সেতুটির মাঝপথে ধসে গেছে। এতে সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে ও অবহেলিত ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর চেষ্টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ১০৬ টাকা ব্যয়ে ওই ইউনিয়নের ধোপাছড়ি ছাপাছড়ির কুমারি ছড়ার উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কাজে দুর্নীতির ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। (ইত্তেফাক)