৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 159

আমরা কোন অন্যায় কাজ করি নাই-এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্র্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে একটি মত বিনিময় সভা করেছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

শনিবার ৩১ মার্চ দুপুর ২টায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড এর অভ্যন্তরে উক্ত বৈঠক ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মত বিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক আমরা প্রস্তুত আছি। আমার শাসনামলে আমরা কোন অন্যায় কাজ করি নাই। আমাদের গায়ে রক্তের দাগ নাই। সেলিম ওসমানের মত ব্যক্তিদের মনোনীত করতে পারলে জয় আমাদের নিশ্চিত। আমি সারা জীবন মানষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের সেবা করে ভালোবাসা পেতে চাই।

সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান তাঁর বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মীর প্রতি আহবান রেখে বলেন, আপনারা সবাই সকল দু:খ কষ্ট ভুলে জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী একত্রিত থাকবেন। নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির পূর্বে থেকেও আরো বেশি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে যা করনীয় তার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম করা হবে।

এ সময় উপস্থিত সকল নেতাকর্মী আহবানে সাড়া দিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রæতি দেন।

আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সব সময় উন্নয়নের রাজনীতি করেছি। আমি প্রার্থী হই বা না হই নারায়ণগঞ্জে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কেউ নির্বাচিত না হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনে ৫টি আসনেই লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্র্থী দেওয়া হবে। তখন দেখা যাবে জনগনের আস্থা কাদের উপর। উন্নয়ন নাকি ভাওতাবাজির পক্ষে ?

জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের এর সভাপতিত্বে উক্ত মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, হুইপ বগুড়া থেকে নির্বাচিত এমপি নুরুল ইসলাম ওমর, যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নূর ইসলাম নুরু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী নাসির, সেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব বেলাল হোসেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আমিনুল হক প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মহসিন, মদনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল খায়ের বাশার, সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, মহানগর শ্রমিক পার্টির আহবায়ক আবুল খায়ের ভূইয়া, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলেয়া বেগম, জেলা যুবসংহতির আহবায়ক রাজা হোসেন রাজু, রূপগঞ্জ জাতীয় পার্টির সভাপতি মীর আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আড়াইহাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচিত কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রূপু, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহআলম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ সহ জাতীয় পার্টির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ শতাধিক নেতৃস্থানীয়রা।

আঙুল চুষে মায়ের লাশের পাশে তিনদিন!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাখে আল্লাহ্ মারে কে? এমন একটি প্রবাদ দুনিয়া ব্যাপী। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এমনই একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। টানা তিনদিন মায়ের মৃত দেহের পাশে আঙুল চুষে বেঁচে ছিলেন দেড় বছর বয়সের শিশুপুত্র নাহিদ।

শিশুটির অবিরাম কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন ঘরে পড়ে রয়েছে গৃহবধূর নিথর দেহ। ঘরের দরজা খুলতেই ভেসে আছে দুর্গন্ধ। দেড় বছরের শিশুটি ছাড়া আশপাশে কেউ নেই। মায়ের লাশের পাশে বসে তিনদিন ধরে কাঁদছিল শিশুটি।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী রিমা আক্তারকে (২২) নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ওই সময় থেকে শিশুটি তার মায়ের লাশের পাশেই ছিল।

তিনদিন পর বুধবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার কোতালেরবাগ বউ বাজার এলাকা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ সময় মায়ের লাশের পাশে থাকা দেড় বছরের শিশু নাহিদকে উদ্ধার করা হয়। নিহত রিমা আক্তার ফতুল্লার কোতালেরবাগ বউ বাজার এলাকার আলামিনের স্ত্রী। রিমার গ্রামের বাড়ি পাবনা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ফতুল্লার কোতালেরবাগ বউ বাজার এলাকার আছির আলী সরদারের ছেলে আলামিন গত আড়াই বছর আগে গার্মেন্টকর্মী রিমা আক্তারকে প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ে করে। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানে শিশুটির বয়স দেড় বছর। আলামিন গার্মেন্টকর্মী হলেও এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত।

সোমবার রাতের কোনো এক সময় আলামিন তার দেড় বছরের শিশুকে সামনে রেখে স্ত্রী রিমাকে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে শিশুকে রিমার লাশের পাশে রেখেই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার সন্ধ্যায় শিশুর কান্না ও লাশের দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও প্রতিবেশী নাছিমা ঘরের তালা ভেঙে গৃহবধূর মরদেহ দেখে। পরে লাশের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, বিকেলে খবর পেয়ে আলামিনের ঘরের সামনে এসে দেখি শিশুর কান্না, লাশের দুর্গন্ধ। পরে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি খাটের ওপর রিমার লাশ। লাশের পাশে দেড় বছরের শিশুটি মায়ের হাতের আঙুল চুষছে। তিনদিন তালাবদ্ধ থাকার পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি তিনদিন ধরে মৃত মায়ের আঙুল চুষে বেঁচে থাকার বিষয়টি আশ্চর্যজনক।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অটল দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় লোকজন ঘরের তালা ভেঙে তিনদিন ঘরে বন্দী দেড় বছরের শিশুকে উদ্ধার করে। রিমা আক্তারকে তার স্বামী আলামিন শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উদঘাটনসহ ঘাতক স্বামী আলামিনকে প্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসআই।

রূপগঞ্জে ধর্ষক আবু তালেবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ধর্ষণের পর মুন্নি আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আবু তালেব স্বীকার করেছেন। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আবু তালেবের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনাচর্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল আলম জানান, গত প্রায় ৪ বছর আগে আবু তালেবের সঙ্গে মুন্নি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টেসে শ্রমিক হিসেবে চাকুরি করতেন। গত দুই মাস আগে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মুন্নি আক্তার রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৫ মার্চ মুন্নি আক্তারের সঙ্গে আবু তালেবের আপোষে মোবাইল ফোনে কথা হয়ে গোলাকান্দাইল ট্রাফিক বক্সের কাছে তাদের দু’জনের দেখা হয়। রাত ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকার বুলবুলের বাড়ির পার্শের একটি ডোবার পাড়ে মুন্নি আক্তারকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মুন্নি আক্তারকে ওড়না পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় আবু তালেব ।
উল্লেখ, গত (২৬ মার্চ) সোমবার দুপুরে উপজেলার সাওঘাট এলাকার বুলবুলের বাড়ির পাশে^র একটি ডোবার পাড় থেকে মুন্নি আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেকুজ্জামান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মুন্নি আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার ফুলকারচর এলাকার সোবহান মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গোড়াই হাটুভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আবু তালেব উলিপুর থানার কাজীয়ারচর এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে। ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘুরাফেরার সময় সন্দেহ হলে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।#####

রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাওড়া এলাকায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ শাহজাহান ভুইয়া, রংধনু গ্রæপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ভুইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুইয়া রানু, জাহাঙ্গীর মাষ্টার, যুবলীগ নেতা আব্দুল আউয়াল, মোয়াজ্জেম হোসেন, মাসুম আহাম্মেদ প্রমুখ।

বন্দরে আগুন- মালামালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আকস্মিক এ অগ্নিকান্ডে ভাড়াটিয়া বাড়ির ৬টি বসত ঘরের আসবাবপত্রসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় হাজী মহিউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সুচনা হতে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি দমকল ইউনিট ঘটনাস্থলে হাজির হলেও তার অনেক আগেই এলাকাবাসীর প্রানপন প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর ও মদনগঞ্জ ফাড়ির ইনর্চাজ ইন্সপক্টের তারিকুল আলম জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

কাটুন শাহিনের ভাতিজা ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফতুল্লায় কথিত আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন (ওরফে কাটুন শাহিন) এর ভাতিজা শিহাব নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে দাপা ইদ্রাকপুর ব্যাংক কলোনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শিহাব দাপা ইদ্রাকপুর ব্যাংক কলোনী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত শিহাব ওই এলাকায় ফেরী করে চাচা কাটুন শাহিনের শেল্টারে মাদক ব্যবসা করে আসছিল বলে জানান এলাকাবাসী।
ফতুল্লা মডেল থানার এএস আই রাশিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে মঙ্গলবার রাতে মাদক বিক্রেতা শিহাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত শিহাবকে সদর উপজেলায় নিয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ শিহাবকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দেড় মাসের সাজা প্রদান করেন।

গুনী ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর পরামর্শ এমপি সেলিম ওসমানের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে সরকারী তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণে হিন্দু সম্প্রদায়ের যে সকল ব্যক্তিরা অবদান রেখেছেন তাদেরকে সকলকে সম্মান প্রদর্শন সহ তাদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী অবশ্যই পালন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

শনিবার ২৩ মার্চ সন্ধ্যা মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে মহাষ্টমী পূর্ণউৎসবের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

সেলিম ওসমান বলেছেন, এই শহরটির নাম নারায়ণগঞ্জ। নদীটির নাম শীতলক্ষ্যা, আজকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে লাঙ্গলবন্দে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। এই শহর আপনাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই শহরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। দেখা গেছে এখন অনেকেই আমরা কেউ জানিনা। তোলারাম কলেজ অধ্যক্ষ খগেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী নির্মাণ করেছেন, জীবন কানাই চক্রবর্তী নারায়ণগঞ্জ কলেজ নির্মাণ করেছেন, রনদা প্রসাদ সাহা খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের জন্য জমি দান করেছেন। তাঁদের কর্মকান্ডের জন্য আমাদের সকলের উচিত তাঁদের সবাইক সম্মানিত করা। প্রত্যেকের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে তাঁদের জন্য দোয়া করা সহ বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্মরনীয় করে রাখা উচিত।

তিনি আরো বলেন, আমি যখন প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি তখন আমি এই লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী স্নান কষ্টের মধ্য দিয়ে শুরু করেছি। সে বছর ১০জন মানুষের প্রাণহানী হয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে লাঙ্গলবন্দের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন। লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নে তিনি হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প দিয়েছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় লাঙ্গলবন্দে ব্যাপক উন্নয়নে হয়েছে। আজকে সকালে আমি একাই সকল স্ননঘাট পরিদর্শন করে পূর্ণ্যাথীদের সাথে কথা বলেছি। গত কয়েক বছর আগে যারা লাঙ্গলবন্দে এসেছিলেন তারা এ বছর লাঙ্গলবন্দকে চিনতেই পারছে না। স্নানের আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনায় তারা অত্যন্ত খুশি। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যারা এ বছর লাঙ্গলবন্দে স্নান করে গেলেন তারা আগামী বছর এই লাঙ্গলবন্দকেও চিনতে পারবেন না। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ চলে এসেছে। কিছুদিন পর নতুন ৫টি ঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে লাঙ্গলবন্দ হবে একটি দৃষ্টি নন্দন আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে নৌকা মার্কা না দিয়ে আমাকে লাঙ্গল মার্কায় বিজয়ী করেছেন। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানকেও ৪ বার এই আসনে লাঙ্গল মার্কায় বিজয়ী করেছেন। বিজয়ী হওয়ার পর আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে ছিলাম। কেন উনি আমাকে লাঙ্গল মার্কায় পাঠালেন। উনি আমাকে উত্তর দিয়ে ছিলেন তোমার ওখানে লাঙ্গলবন্দ নামে একটি জায়গা আছে জানো? সেখানে গিয়ে লাঙ্গল বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো। তাই ওই আসলটি লাঙ্গলের জন্যই রাখা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে আসন থেকে কি চান লাঙ্গল নাকি অন্য কিছু? এ সময় সবাই চিৎকার করে বলেন লাঙ্গল।

সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলি বিহীন ঝুড়ি না। বাংলাদেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়ে উন্নয়শীল দেশে পরিনত হয়েছে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশকে আগামী ৫ বছরে ২৫ বছর এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় সরকার গঠন করতে হবে। আর যদি শেখ হাসিনা সরকার গঠন করতে না পারেন তাহলে দেশ আগামী ৫ বছরে বর্তমানের থেকেও আরো ১৫ বছর পেছনে চলে যাবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরবর্তী সরকার গঠন না হলে যারা ৭১ সালের মানুষ হত্যা, নারীদের নির্যাতন, লুটপাট করে যে পাপ করেছে। সেই পাপীদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে যারা জাতির কাছে অপরাধ করেছে সেই অপরাধী আর পাপীরা ক্ষমতায় বসে দেশকে আবারো তলি বিহীন ঝুড়িতে পরিনত করবে। তাই আজকে এই মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে পাপমোচনের মহাষ্টমী পূর্ণ্যা স্নানে এই প্রার্থনাই করবো সেই সকল পাপীদের যেন মৃত্যু হয় আর অপরাধীদের যেন সাজা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করে যেন দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে পারেন।

লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, জাতীয় সংসদের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি গোপি নাথ দাস, এফবিসিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার সাহা।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মন্ডল, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব, সুজিত কুমার সাহা, সদস্য শিপন সরকার শিখন, স্বপন দাস, শঙ্কর দাস, রিপন ভাওয়াল, বিশ্বজিত দাস, রিপন ঘোষ, উত্তম সাহা, সুশিল দাস সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা।

এমপি সেলিম ওসমান অসুস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন কর্মব্যস্ত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান । রোববার ২৫ মার্চ বিকেলে ফতুল্লায় অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড এর কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে পারিবারিক চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসক এমপি সেলিম ওসমানকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক তাঁকে আগামী কয়েকদিন বিছানায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাবেন।

এদিকে শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তাঁর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী গুলোতে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে সংসদ সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গিয়ে ছিলেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। সে সময় তিনি ব্যস্ততার কারনে সম্পূর্ন চিকিৎসা শেষ না করে দেশে চলে আসেন। তিনি দেশে ফিরে গত কয়েকদিনে টানা একাধিক কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে ছিলেন।

মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে চাই না-শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমি এমপি হয়েছি, মানুষের সেবা করতে। মানুষের মাথায় কাঁঠাল রেখে ভেঙে খেতে চাই না।

শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের লিংক রোডস্থ মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, এ মার্কেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। এখানে অনেক মানুষ দোকানের জন্য টাকা লগ্নি করেছেন। কিন্তু দোকান বুঝে পাননি। আবার অনেকেই আছেন- টাকা দেন নাই, কিন্তু দোকান নিয়ে বসে আছেন।

তিনি বলেন, যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে সেটুকু বুঝিয়ে দিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ীর আমানত যাতে খেয়ানত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখাতে হবে। আমি হারাম খাই না, হারাম খাইতেও দিমু না। আল্লাহ অখুশি হন এমন কাজ আমি করব না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আলহাজ ইয়াছিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) আব্দুস সাত্তার টিটু, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুল হক হাসান, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিম মাহমুদ তপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট বারে বিএনপিপন্থীদের দাপুটে জয়

ডেস্ক নিউজঃ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। গত ২০১৭-১৮ সেশনের মেয়াদেও এই দুইজন সভাপতি-সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

অন্যদিকে সহসম্পাদকসহ চারটি পদে জয় পেয়েছেন সরকার সমর্থক আইনজীবীরা। বিএনপির ও জামায়াতপন্থীদের ১০ জনের মধ্যে সহসভাপতি পদে গোলাম রহমান ভূঁইয়া জামায়াতে ইসলামির একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দু’দিনব্যাপী নির্বাচনের পর ভোট গণনা শেষে শুক্রবার সকালে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান।

আইনজীবী সমিতির নতুন কমিটির সভাপতি পদে আবারও বিজয়ী হয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৯টি। সভাপতি পদে জয়নুল আবেদীন ৫৪ ভোট বেশি পেয়ে আবারও বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সরকার ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেলের অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৩১৫টি। জয়নুল আবেদীন থেকে মাত্র ৫৪ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। যিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য।

বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৬টি। সম্পাদক পদে ৪৪১ ভোট বেশি পেয়ে টানা ষষ্ঠ বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। যিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সরকার ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের অ্যাডভোকেট এস কে মো. মোরসেদ। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ১৭৫ ভোট। এই পদে ৪৪১ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া (জামায়াত ইসলামী ) ও এম. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন, সদস্য পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাইফুর আলম মাহমুদ, মো. আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান বিজয়ী হয়েছেন।

অপরদিকে সাদা প্যানেল থেকে সহ-সম্পাদক পদে মো. আবদুর রাজ্জাক, সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, শাহানা পারভীন ও শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া জয়লাভ করেছেন।

নির্বাচনে মোট ৪ হাজার ৮৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভোট শেষে রাত ১২টার পর তা গণনা শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান জানান, আইনজীবী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের মধ্যে ১০টি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। অন্যদিকে একটি সহ-সম্পাদকসহ মোট ৪টি পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।

তিনি বলেন, গত ২১ ও ২২ মার্চ পর পর দুইদিনই সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এরপর বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে শুক্রবার সকালে গণনা শেষ হয়।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৬১৫২ জন আইনজীবী। তবে ভোট প্রদান করেন ৪৮৬৫ জন। নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে এবার মোট প্রার্থী হয়েছিলেন ৩৩ জন।

নির্বাচনে যথারীতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সরকার সমর্থক এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। ১৪টি পদের বিপরীতে লড়েছেন মোট ৩৩ প্রার্থী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ পদের মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় ও ৭টি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে সরকার সমর্থিত আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল ছাড়াও আলাদা পাঁচজন মিলে মোট ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে দুইজন এবং সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও সদস্য পদে একজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।