১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 133

অবশেষে মানবতার জয় হল-চিকিৎসায় ভালো আছেন পথশিশুর মা।

আবুল কালাম আজাদ: একজন অসুস্থ মা ফুটপাতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশে তার দুই অবুঝ সন্তান। মাতৃসেবায় ব্যস্ত এ দুই ছোট্ট শিশু। মাথায় পানি ঢেলে মায়ের জ্বর প্রশমন করার চেষ্টা করছে বড় ছেলেটি। পাশে কারা যেন রুটি, কলা রেখে গেছে।পানি রাখার জন্য কোনো পাত্রও নেই তাদের। কুড়িয়ে পাওয়া মিনারেল ওয়াটারের বোতলেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে শিশুটি। ছোট ছেলেটি আর কিছু করার ক্ষমতা নেই দেখে বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে রেখে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।রাজধানীর ধানমন্ডির সোবাহান বাগ মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাথে ধারণ করা এমনই একটি ভিডিও গত শনিবার (০৭ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন সাভার ভলেন্টিয়ার নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পারভেজ হাসান। ভিডিওটির সঙ্গে বিস্তর লিখে শেয়ার দেওয়ার পরপরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যা একপর্যায়ে সংবাদ মাধ্যমেও চলে আসে।এ নিয়ে রোববার নিউজ প্রতিদিন ডট নেটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ফুটপাত বাসীদের জীবনের এমন করুন চিত্র দেখে সেখানে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে নানা মন্তব্য করছিলেন। আবার মা-ছেলেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করছিলেন অনেকেই।এমন সময় রোববার রাতে জানা গেল সেদিন শুধু ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করেই থেমে থাকেনি পারভেজ। তিনি তাঁর ৫ বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় এই মা’কে ভর্তি করেছেন হাসপাতালে।বিষয়টি নিশ্চিত করে অন্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পারভেজ লিখেন, ‘কালকে যে অসহায় বাচ্চা আর মহিলার ভিডিওটি যাদের ইমোশনাল করেছে? তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আসলে আমি আপনাদের ইমোশনাল করতে চাইনি। আমি জাস্ট আমাদের সমাজের প্রতিদিনের একটি করুণ দৃশ্য তুলে ধরতে চেয়েছি! প্রতিদিন বা মাঝে মাঝেই এইসব ফেস করতে হয়। তাই চেয়েছি আপনারা যাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের জন্য একটু এগিয়ে আসেন! যাতে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ না থাকে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সবার উপরে মানুষ সত্য! ভিডিও টা আপ দিয়ে আমি ভাবিনি আপনারা এতো সাড়া দিবেন। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ! আল্লাহ আপনাদের এই মানবিক অন্তরকে আরো উজ্জ্বল করুক!’দুই শিশুর মা ভালো আছেন জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘আপনারা যারা খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, এই অসহায় মহিলা কেমন আছে? বা সেই বাচ্চাগুলোর কি খবর? তাদের সবাইকে আনন্দের সাথে বলছি, তারা এখন সুস্থ আছে। আজ সেই অসহায় মহিলাকে আমি আর ৫ জন ভাইয়া মিলে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি। তখন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার বলেছে, তিনি আল্লাহর রহমতে ঠিক আছেন। কারণ আগের রাতে তাকে মেডিসিন দেওয়া হয়েছিলো! চিকিৎসা শেষ করে মহিলার ছোট দুটো বাচ্চার জন্য নতুন জামা পেন্ট সাথে মহিলার জন্য নতুন সাড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে! তাদের সাময়িক খাবার দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর যাদের কথা বলতে চাই! ইয়ামিন ভাইয়া এবং সাথে আরো ৩ জন ভাইয়া ছিলো যারা যথেষ্ট সাহায্য করেছে, ডাক্তার তার ফি নেয়নি!’পারভেজ আরও লিখেন, ‘এই অসহায় পরিবারের কথা বলে কেউ যদি কোন মানবিক আবেদন করে? তাহলে তার সেই আবেদনে সাড়া দিবেন না। মনে করেন এই পরিবারটির একটা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে! সো কেউ প্রতারিত হবেন না। আবারো ধন্যবাদ দিচ্ছি যারা আজ আমার পাশে ছিল। মানবতার জয় হোক।

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধার চলছে

ডেস্ক নিউজঃ থাইল্যান্ডে যে গুহার মধ্যে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার অভিযান চলছে সেই গুহামুখ ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যম এবং উদ্ধার কর্মীদের বিরাট জটলা তৈরি ছিল। কিন্তু রোববার সকালে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। তখনই জল্পনা শুরু হয় যে, শীঘ্রই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

এরপর উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান নারোংসাক ওসেতানাকর্ন ঘোষণা করেন যে, কিশোরদের উদ্ধারের জন্য ১৮ জন ডুবুরিকে ভেতরে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ জনকে বাইরে আনা হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগছে।

এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে। প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।

সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে। এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চরমোনাই পীরের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে না পারলে জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না। আল্লাহর ভয় না থাকায় মানুষ কত যে হিংস্র হতে পারে তা না দেখলে বুঝা খুব কঠিন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পীর সাহেব বলেন, অভিশপ্ত নারী নেতৃত্ব ও তাগুতি শাসনের পিছনে না থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ব্রত হতে হবে।

রবিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী আলহাজ¦ আবুল কালাম মুন্সী, ইসলামী যুব আন্দোলন না.গঞ্জ মহানগরের সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন না.গঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. ইমমাদুল হক, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন না.গঞ্জ মহানগরের সভাপতি আলহাজ শেখ হাসান আলী প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যেসকল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়াটা ঠিক হয়নি। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান।

মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে এত অনিয়ম না হলে ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতো। আসন্ন তিন সিটিতে অবাধ ভোট হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা ৩শ’ আসনের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছি।

একজন জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্প – রাকিবুল রকি

মানিক বন্দোপাধ্যায় নিজের লেখার কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন জীবন সম্পর্কে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জন্য তিনি লেখেন, যা বাংলা সাহিত্যে বলা হয়নি। প্রত্যেক লেখককেরই নিজস্ব কিছু কারণ থাকে লেখালেখির; কেউ লেখেন দায়বদ্ধতা থেকে কেউ পেশাগত কারণে কেউবা শখের বসে। এসময়ে তরুণ লেখক মোঃ জাহাঙ্গীর ডালিমের লেখালেখির শুরু শখ থেকে ইতোমধ্যে তা পেশায় পরিণত না হলেও নেশায় পরিণত হয়েছে প্রচন্ডভাবে। লিখছেন নিয়মিত। তার লেখা স্থানীয় পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ডালিম ১৯৮০ সালে ২২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। মা-সুফিয়া খাতুন বাবা মোঃ মাইজুদ্দিন আহম্মেদ। বাবা ডেইলিষ্টারে লেখালেখি করতেন। সেখানে থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হন লেখালেখির দিকে। জাহাঙ্গীর ডালিম দু’হাত ভরে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার লিখছেন। এগুলোর মধ্যে তার প্রতিভা একটু বেশি। জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্পের বিষয় বহুমুখী, অন্যায়ভাবে যায় মানুষ। নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে তিনি তুলে ধরেছেন মানুষের বিচিত্রমুখিতা। তাই সমাজ, সংসার রাজনীতি, প্রেম প্রকৃতি এই সবই তার গল্পের উপজীব্য। তিনি নষ্ট হয়ে যাওয়া মেধাবী ছেলের উত্থান যেমন রচনা করেন তেমনি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ কাহিনী পরম মমতায় বিধৃত করেন। তার গল্পে না জানা ধর্ষিতা বোনের কথা যেমন আসে তেমনি উঠে আসে সর্বাঙ্গে লেগে থাকা মায়ের স্মৃতির কথা। আর শুক্কুর আলীর আয়না গল্পে যুদ্ধাহত শুক্কুর আলীর প্রতীকের মাধ্যমে উঠে এসেছে সকল নিপীড়িত, লাঞ্চিত মানবেতর জীবন যাপনকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান অবস্থা। গল্পে এক পঙ্গু ভিক্ষুক মুক্তিযোদ্ধা দোকানে গিয়ে একটা আয়নায় চান নিজের অবয়ব দেখার জন্য। কারণ কিছুক্ষণ আগে রাস্তা পাড় হতে গিয়ে এক বিলাস বহুল গাড়ির বনেটের উপর পড়ে গেলে গাড়ির চাক্যচিক্য নষ্ট হওয়ায় গাড়ির মালিক তাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়। সাথে সাথে তলপেটে একটি লাথি বসিয়ে দেয়। তাতে শুক্কুর আলী বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ তাকে তুলতেও আসে না। তাই শুক্কুর আলী দোকানে এসেছেন তিনি মানুষ না সত্যিই কুত্তার বাচ্চা তা আয়নায় দেখতে কিন্তু আয়নায় মানুষের অবয়ব ফুটে উঠলেও শুক্কুর আলী বুঝে যান আসলে দেখতে মানুষের মতো হলেও তিনি তো কুত্তার বাচ্চার মতোই বেঁচে আছেন। এভাবে জাহাঙ্গীর ডালিম নিপুন হাতে সমাজের অবক্ষয় বৈষম্য তুলে ধরেন, যারা জীবনকে বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরই একজন শুক্কুর আলীকে স্বাধীন দেশে অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে বলতে শুনি ‘ইস একাত্তরে গুলিটা যদি পায়ে না বিঁধে বুকে এসে বিঁধত।

‘বটের পাতায় কাফন’ গল্পে প্রকৃতির সাথে মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বৃদ্ধ হাসমত আলী যার বউ মারা গেছে অনেক আগে দু ছেলে এক ছেলে হারিয়ে গেছে। মারা গেছে অন্য ছেলে। যার কেউ নেই চেয়ে কোনদিন খাবার জোটে কোনদিন বা উপবাসে কাটে। সেই অথর্ব প্রদান যখন প্রাচীন বট গাছের তলায় এসে হাজির হয় পরিতৃপ্তিতে ভরে উঠে তার মন।

সারাদিন সে বটের তায় কাটিয়ে দেয়। সেখান দিয়ে কেউ যাবার সময় শুনতে না চাইলেও হাসমত আলী সাগ্রহে শোনায় বটের জীবন কথা। হাসমত আলীর দাদার দাদার দাদা যখন বালক তখন এই বট ছিল কবি চারা। এ বটন যেন আজ তার পরিবরেই কেউ। তাই রাস্তা বড় করার জন্য যখন এই প্রাচীন বট গাছ কাটার কথা উঠে প্রথম বিশ্বাস করতে পারল না বৃদ্ধ হাসমত। মানুষ কি এত বিশ্বাস ঘাতক হতে পারে কখনও হতে পারে এত অকৃতজ্ঞ? কিন্তু একদিন এসে যখন দেখে বটগাছ নেই পড়ে আছে ঝরাপাতা, ডালপালা, বৃদ্ধ বুক ফাটা আর্তনাদ করে উঠে, গ্রামে যারা বৃদ্ধের বউ মারা যেতে দেখেছে, সন্তান মারা যেতে দেখেছে তখনও এভাবে তাকে কেউ কাঁদতে দেখেনি। গাছের শোকে সেখানেই সে প্রাণ ত্যাগ করে। বটের পাতায় তার সারা শরীর কাফনে মতন ঢেকে যায়। লোকে বলাবলি করতে থাকে ‘বটগাছ পাগল বুড়োটা গাছটার সঙ্গে সঙ্গে মরে গেল। জাহাঙ্গীর ডালিম এভাবে গাছের সাথে মানুষের যেসব নিবিড় সম্পর্ক গাছ নির্মূল হলে যে প্রাণীকুল সত্যিই বিপন্ন হয়ে পড়বে সেই কঠিন সত্যই তুলে ধরেছেন। জাহাঙ্গীর ডালিমের ভাষা চিত্রময়, তিনি ছোট বাক্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। তার গদ্য কাব্য ধর্মী। ‘মায়ের কাছে পত্র’ গল্পে মৃত মাকে উদ্দেশ্য করে যখন লেখেন- ‘ঠিক যখন মধ্য দুপুরে প্রচন্ড রোদে পথিকের মাথা ফেটে যেতে চাইবে কাকগুলো তৃষ্ণায় ছটফট করতে থাকবে। এলাকার কুকুরগুলো ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে যাবে, দুষ্ট ছেলেরা চুপটি করে ঘুমিয়ে পড়বে যখন আর সেই আইসক্রিম অলাটা আইসক্রিম আইসক্রিম বলে চেঁচাবে তখন আমি তোমার কাছে এক টাকা চাইব, তুমি দেবেতো মা আমায় ? তখন তা গল্পের বক্তব্যকে যেমন জোরালো করে তেমনি পাঠকের মনে কাব্যিক ব্যঞ্জনাও ছড়িয়ে দেয়। জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্প সংলাপ ধর্মীয় নয় বক্তব্যধর্মী। বর্ণনার মাধ্যমে তা গল্পে পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। এভাবেই তার গল্প পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তারপরেও বলব গল্প, উপন্যাস বা নাটকে সংলাপ অপরিহার্য। তাই এদিকে তার খেয়াল রাখা দরকার। দরকার তার ক্ষুদ্রায়তনের গল্পগুলোর পরিসর আরেকটু বাড়ানো। জাহাঙ্গীর ডালিম তরুণ তার সামনে পড়ে আছে বিশাল পথ। তাই তার উচিত এখনি নিজেকে নির্দিষ্ট কর্মে আবদ্ধ না করে নিরীক্ষা প্রবণ হওয়া তাতে তার সাথে সাথে পাঠকেরারও উপকৃত হবে। জাহাঙ্গীর ডালিমের অন্য যেসব গল্প তার পরিচিতির পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো- পাপমুক্তি, মানুষ এবং মানুষের কাহিনী, রাত প্রহরের øিগ্ধতা, বিবর্জিত রাত্রি যাপন, সুখ শুধুই সখ, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে প্রভৃতি। তার উপরিউক্ত গল্পগুলো বাংলাসাহিত্যের সেরা গল্পের সমপর্যায়ের না হলেও তাকে সুদূরের অভিযাত্রি হিসেবে সহজেই চিনিয়ে দেয়। এই গল্পগুলো সেই বৈশিষ্ট্য বহন করে। এবারের বই মেলায় তার একটি কবিতার বই “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” বইটি মেলাতে এবং দেশ বিদেশে বেশ সাড়া পড়ে। যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি জাহাঙ্গীর ডালিমের ২২ জুলাই জন্মদিন। এই জন্মদিনে স্বজনদের পক্ষ থেকে তার প্রতি রইল আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা।

অসুস্থ মাকে বাঁচাতে ২ পথশিশুর লড়াই

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা।‘ঢাকায় টাকা ওড়ে’; কিন্তু এ উড়ন্ত টাকা যারা ধরতে অক্ষম, তাদের প্রতিটি দিন এক একটি নির্মম গল্পকেও হার মানায়।

এখানে কংক্রিটের দেয়ালে যেভাবে চাপা পড়ে যায় সকালের সোনা রোদ, সেভাবেই চাপা পড়ে থাকে অভাবী অসহায় নিরণ্ণ মানুষের হাহাকার।

এই ইট-কাঠ-পাথরের শহরে বিত্তশালীদের বিলাসী জীবনের ঝলকানিতে যেমন চোখ ধাঁধিয়ে যায়, তেমনি নিরণ্ণ ছ্ন্নিমূলদের অসহায় জীবনের করুণ কাহিনি ছুটন্ত মানুষকে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে।

অনেক সময় হয়তো পেছনে তাকানোর ফুরসত টুকুও মেলে না। কিন্তু চোখে আটকে থাকে এমন কিছু দৃশ্যপট, যা আপনাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করবে- জীবনের মানে কী? বিলাসের ঝলকানিই কি জীবন, নাকি দুর্বল হাতের অশ্রুসজল চোখের অসহায় লড়াইটাই জীবন?

রাজধানীর ধানমণ্ডির সোবহানবাগ মসজিদ এলাকার এক মানবিক দৃশ্যপট তুলে ধরে জীবন সম্পর্কে আমাদের এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল।

শনিবার সোবহানবাগ মসজিদ থেকে ২০০ গজ দক্ষিণের ফুটপাতে এক ছিন্নমূল অসহায় মাকে বাঁচাতে তার দুই শিশুসন্তানের লড়াইয়ের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন জুয়েল।

ছবিতে দেখে যায়, একজন অসুস্থ মা ফুটপাতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশে তার দুই অবুঝ সন্তান। মাতৃসেবায় ব্যস্ত এ দুই ছোট্ট শিশু। মাথায় পানি ঢেলে মায়ের জ্বর প্রশমন করার চেষ্টা করছে বড় ছেলেটি। পাশে কারা যেন রুটি, কলা রেখে গেছে।

পানি রাখার জন্য কোনো পাত্রও নেই তাদের। কুড়িয়ে পাওয়া মিনারেল ওয়াটারের বোতলেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে শিশুটি।

ছোট ছেলেটি আর কিছু করার ক্ষমতা নেই দেখে বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে রেখে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।

শনিবার রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে জুয়েল লিখেছেন- ‘একজন অসুস্থ মা ও তার দুই অবুঝ সন্তানের মাতৃসেবা… মা-দের এমন অসুস্থ অবস্থায় দেখলে কষ্ট লাগে, একেবারে দিলে লাগে কষ্টটা।

সে মা ও তার শিশুদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে রোববার দুপুরে সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।

জুয়েল যুগান্তরকে জানান, মা ও দুই শিশুর ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করার পর অনেকেই তাকে ফোন করে স্থানটি কোথায় তা জানতে চেয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকেন এমন কয়েকজনও সাহায্যের হাত বাড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

তবে তিনি জানান, সকাল অবধি তেমন কেউ এই দুস্থ, অসহায় মা ও সন্তানদের দেখতে আসেননি।

ছবিটি প্রকাশের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- ‘কী কষ্টের ছবি! হৃদয়বিদারক দৃশ্য, আল্লাহ তুমি এদের হেফাজত করো।’

আরেকজন লিখেছেন- একটা ছবি অনেক কথা বলে। ছবি দেখে কেউ না কেউ তো পাশে দাঁড়াবে।

ছবিটি শেয়ার করে একজন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন- একজন মানুষ হিসেবে মৌলিক কিছু অধিকার না পেলেও চিকিৎসা পাওয়া উচিত। তিনি আরও লিখেন- এই অসুস্থ একজনকে মাড়িয়ে চলে যান নগরীর লাখো মানুষ৷ কারও চোখে পড়ে, কারও পড়ে না৷ উচ্চবিত্তের কাছে এ ছবি যেন নিছক শিল্পকর্ম বলেও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন একজন।

ঢাকা শহরে এমন চিত্র অহরহ৷ অসংখ্য মানুষ এ মেগাসিটির ফুটপাতে ঘুমায়। যারা এ দেশের নাগরিক হয়েও যেন পরবাসী।

কক্সবাজারে পাহাড়ের পাদদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যসহ থাকার জায়গা হলেও ঢাকার ছিন্নমূল মানুষদের ফুটপাত ছাড়া আর কোথাও ঠাঁই হয় না।

এমনকি টাকা না থাকায় কোনো হাসপাতাল বা মাতৃসদনে ঠাঁই না হয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন এমন ঘটনার সাক্ষীও হয়েছে ঢাকা।

ফতুল্লায় বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লার বনানী সিনেমা হলের টিকেট বিক্রেতা থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া পোষ্ট অফিস রোড এলাকার রফিকুল ইসলাম টিপু ওরুফে বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। সরকারী-বেসরকারী ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভূমি জবর দখলসহ অর্থ আত্মসাতের পর এবার ফতুল্লা ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন দীর্ঘ ৫০বছরের ব্যবহৃত সরকারী রাস্তা দখল করে নিয়েছে বরিশাইল্যা টিপু। এ ঘটনায় একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানালেও তিনি কর্ণপাত না করায় থানা সাধারন ডায়েরী করেছে স্থানীয় বাসিন্দা মো: শরীফ হোসেন। জিডি নং ২৭৪

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পোষ্ট অফিস রোডের পাশের জয়নগর ষ্টীল মিল ও সালাসা টেক্সটাইল মিলের মাধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া রোড দীর্ঘ অর্ধশত বছরেরও বেশী সময় স্থানীয়রা ব্যবহার করে আসছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকারী এই রাস্তাটি রাতের অন্ধকারে গেইট সাটিয়ে বন্ধ করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করে আসছে। এই রাস্তা দখলের সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালেও বরিশাইল্যা টিপু কারো কথা না শুনে নিজের মতো করে রাস্তা দখলে নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারী বন্ধ রাস্তা খুলে দেয়ার দাবিতে এলাকাবাসী স্থানীয় চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারনে চেয়ারম্যান এর কোন সুরাহা করেনি। এতে করে টিপু আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাস্তা বন্ধের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় একই দিনে দেলোয়ার হোসেন দেলুকে বরিশাইল্যা টিপু তার ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে রায়হান,রাজিবসহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় দেলোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা দেলোয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। টিপুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চেকজালিয়াতি, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঝাড়– মিছিলও করেছিলো। উল্লেখ্য, বরিশাইল্যা টিপু সাবেক এমপি কবরীর সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়েছিলো বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাতকে মদদ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়ায় ২১৬ ক্যান বিয়ারসহ গ্রেফতার -২

পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২১৬ ক্যান বিয়ার সহ সানি ও জীবন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ১টায় নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়া এলাকায় সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ও এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযানে চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,মো. সানি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন সোনা কান্দা এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।বর্তমানে সে শহরের খান পুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন । হাসান সরকার ওরফে জীবন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন ইউনুস সরকারের ছেলে। বর্তমা্নে সে শহরের নিতাই গঞ্জের ঋষি পাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে ।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পরে রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালদত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন,এই অভিযান পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের একটি অংশ।এই অভিযান মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। আর তার সদর মডেল থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের মাদক নির্মূল করতে তথ্য সহায়তা করুন।

অবৈধ ক্লিনিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত

জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

রবিবার ( ৮ জুলাই ) ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া’র সভাপতিত্বে উক্ত জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ নারী সংসদ সদস্য এড. হোসেন আরা বাবলী, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এহসানুল হক, জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলা ইন্ডাস্ট্রির পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, র্যাব ১১ এর এএসপি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপাড়ী, রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া খান, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম, সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেলা রানী সিংহ, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস , সোনারগাঁ উপজেলার চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, এপিপি এড. জেসমিন আহমেদ প্রমুখ ।

সভায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো টিআইবি ব্যবহার করে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকার শহিদুল্লার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় পুলিশ রোকসানার কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানার বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী আইনে ৮টিসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চিহিৃত মাদক সম্রাজ্ঞী।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। শুক্রবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। রোকসানা সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ি এলাকার মৃত আয়নাল হকের স্ত্রী। এ ঘটনায় মাদকবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।(সূত্র-বিডি)

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ফতুল্লায় ছাত্রদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ফতুল্লা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এই আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জিয়া। ছাত্রদল নেতা আলী আজর এর সভাপতিত্বে ও সাগর মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,ছাত্রনেতা শান্ত,আরিফ মাহামুদ,ইলিয়াছ খানঁ,হোসেন,ছাইফুল,বিজয়,আমির হোসেন,শজিব,ইমন,শাকিব,ছুফিয়ান,রানা,রাহাদ,মুরাদ,ফাহিম,আনোয়ার হোসেন,দেলয়ার হোসেন নয়ন,রাছেল,শ্রমিক নেতা মাজহারুল সুমন প্রমুখ।