১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 168

নারায়ণগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে গন্ধর্বপুর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কাঞ্চন এলাকা ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫শ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। বর্তমানে গোটা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ঘটে এ ঘটনা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামীলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে, খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি নেতাদের প্রতিহত করতে সকাল থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা কাঞ্চন সেতু এলাকায় জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসলে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, উভয়পক্ষের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্ণীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কাঞ্চন সেতু এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতিক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। অপর দিকে, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থিত নেতাকর্মীরা প্রায় একশ’ গজ দূরে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রায় ঘোষণার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ আদালত অঙ্গনে উপস্থিত ফোরাম নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে ফোরাম নেতাকর্মীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির,এডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, এডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, এডভোকেট রাসেদুল আলম মানিক, এডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, এডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, এডভোকেট মোজাম্মেল হক শিপলু, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তি, এডভোকেট সুমন মিয়া, এডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, এডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট লিজা, এডভোকেট আলী হোসেন, এডভোকেট আমেনা বেগম শিল্পী এডভোকেট সায়েম রানা প্রমুখ আইনজীবী ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসেবে আদালত প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদেরকে সাজা প্রদান করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক রায় মানি না। বক্তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের নিঃশর্ত অব্যাহতি দাবি করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

কারাগারে খালেদার সঙ্গে থাকবেন ফাতেমা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকবেন তার ব্যক্তিগত ফাতেমা বেগম (৩৫)।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচার আকতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আজ গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তার সঙ্গেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন। এর পর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে, পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তার সঙ্গে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের দিকে রওনা দেন খালেদা জিয়া।

শুক্রবার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেগম খালেদা বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

এরপর বেলা পৌনে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর সাথে রায়ের আগের দিন কথা হয়েছে। রায় হওয়ার পর তা নিয়ে শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের রায় নিয়ে আমরা শুক্রবার সারাদেশে জেলায়-উপজেলায় বিক্ষোভ করা হবে। কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। এরপরদিন শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রায় প্রতিহিংসা মূলক, ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি: রিজভী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাজানো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রমানকে দশ বছরের সাজা দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভ আহমেদ এ তীব্র প্রতিবাদ জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই রায় প্রতিহিংসামূলক আমরা ক্ষোভ ও ঘৃণা ভরে এই রায় প্রত্যাখান করছি। শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এবং নির্দেশে এ রায় প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও আমরা এটা দেখিনি। কোনো দেশে একজন স্বামীহারা, সন্তানহারা, আরেক সন্তানের মাতৃত্বের স্নেহ বঞ্চিত হয়ে শুধু মানুষের জন্য যিনি কাজ করেছেন। এটি যেন এক দীর্ঘ প্রতিহিংসার ফল। মনের মধ্যে যে বিষ পুষে রেখেছিলেন, তারই বহিঃপ্রকাশ। এ রায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের রায়।

একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্যই এ রায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এ রায় বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা গণবিরোধী রায়। একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার হয়নি। শুধু চাকরি রক্ষার্থে এই রায় দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে ১০ বছর দণ্ডিত করে আদালতের রায়

ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে দশ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার ৫০ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে এসে হাজির হন। বেগম খালেদা জিয়া সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওয়ানা হন।

আদালতে খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আদালতে পোছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুপুর পৌনে ২টায় তিনি গাড়ি বহর নিয়ে বকশিবাজারস্থ বিশেষ আদালতে পৌছান।

দুর্নীতির মামলার রায় শুনতে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ

ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে পুলিশের সঙ্গে তার দলের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে কাকরাইল চার্চের মোড়ে পৌঁছালেই পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এখানে খালেদা জিয়ার গাড়ি ৭-৮ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর আবারও আদালতের পথে রওনা দেয়।

এর আগে গাড়িবহর মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছালে বিএনপি কর্মীদের মধ্য থেকে সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করতে দেখা যায়। মগবাজারে ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

দুর্নীতির মামলার রায় শুনতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। তার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০টির বেশি গাড়ি আছে। ইউনিফর্মধারী সদস্যরা ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। গাড়িবহর সাতরাস্তা পর্যন্ত আসার পর ছাত্রদল, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এসে বহরের সঙ্গে যুক্ত হয়। এ সময় তাদের কোনও ধরনের বাধা দেয়নি পুলিশ।

খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বকশীবাজারে বিশেষ আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আর তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।

মগবাজারে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

ডেস্ক নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় শুনতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বকশিবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে সেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন কি তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এরআগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিশেষ আদালতের উদ্দেশে বের হন খালেদা জিয়া। পথে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। এদিকে লোচিত এ রায় ঘিরে গতকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পটুয়াখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর লেবুখালীতে দেশের ৩১মত সেনানিবাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১মত সেনানিবাসটির নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসটি উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী জেলার লেবুখালীতে স্থাপিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসে পৌঁছান।

সেনানিবাস উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ৭ পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এদিকে বিকেল তিনটায় বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। জনসভা মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী ৩৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ৩৩টি কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
এ সফরে শেখ হাসিনা সেনানিবাসসহ ৮৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বরিশালে সাজ সাজ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। পুরো অঞ্চলে তোরণ, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নগরীর সবকটি প্রবেশদ্বার, মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, লঞ্চঘাটগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।