২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 215

মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে যুবলীগ নেতা খালেকের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। একই সাথে পরিষদের নব-নির্বাচিত সাধারণ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্যরাও রয়েছে। আনোয়ার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করেছে। এই শোডাউনে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনে অশ নেয়। প্রায় দুই শতাধিক হোন্ডা বহর নিয়ে তিনি শোডাউন করেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তরুন লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোমান, যুবলীগ নেতা রুবেল, আদর্শনগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ: কাউয়ূম সরকার শাহিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাহিদ খান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসেন, নূর হোসেন, শেখ সেলিম, আব্দুল আজিজ, সিনবাদ, টিটু,ডা:কামরুল হাসান সরকার প্রমুখ।

সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগরবাসী ডাকাত পান্নার অত্যাচারে অতিষ্ঠ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস রোডে কাঁচা বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ডজন মামলার আসামী ডাকাত সালাউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে। এতে করে বেপরোয়া এই চাঁদাবাজের কর্মকান্ডের কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মানছেনা এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ প্রশাসনকেও। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া ডাকাত পান্নার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেছে। জানাগেছে, সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকার তিতাস রোডে কাঁচাবাজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা আদায় করে আসছে সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না। কাঁচাবাজারের ময়লা পানি ও আর্বজনার কারনে নবনির্মিত এই পাকা রোডটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ঢালাই নস্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরকারী এই পাকা রোডে প্রায় ১ শত দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ করে চাঁদা আদায় করছে ডাকাত পান্না। এই ব্যাপারে কেউ বাঁধা প্রদান করলেই তার উপর চলে ডাকাত পান্না বাহিনীর নির্যাতন। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও এই চাঁদাবাজের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে হয়েছে দু-গ্রুপের প্রায় ১০ জন। এই ঘটনায় এনায়েতনগর তিতাস রোড এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশ রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট উঠিয়ে দেয়। কিন্তু পুনরায় এই পাকা রোডে অবৈধ দোকানপাট বসাবার জন্য পাঁয়তারা করছে ডাকাত পান্না। এই ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমির মোল্লা বলেন, আমি সালাউদ্দিন পান্নাকে মেইন রোডে অবৈধ দোকানপাট বসানোর জন্য নিষেধ করার পরও তা কর্নপাত করেনি পান্না। তাই পুলিশ প্রশাসন এই রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এদিকে এলাকাবাসী জানায়,বহু অপকর্মের হোতা সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পান্নার ছত্রছায়ায় এলাকায় চলছে চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। তার কাজে কেউ বাঁধা হলেই তার কোন রক্ষা নেই। ডাকাত পান্না একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। তার কর্মকান্ডের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ডাকাত পান্না। এই চাঁদাবাজ ডাকাতকে গেপ্তার করা হলে এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে বলে মনে করে এলাকার সচেতন মহল।

সব দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী ইসি গঠন সম্ভব : রাষ্ট্রপতি

সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

বুধবার বঙ্গভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।

রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক এটা তিনি চান না। জনগণ যাদের চাইবে, তারাই নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনা করবে। আর সেটাই আওয়ামী লীগ চায়।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রথমে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিকে দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২২টি দলের সঙ্গে পৃথকভাবে সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপ্রধান।

নাসিক মেয়র-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘিরে দালালচক্র সক্রিয়

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদকে ঘিরে এক শ্রেণীর দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাসিকের মেয়র ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে দাবি করে এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়ত আইভী এ দু’জনই দলীয় নেতাকর্মীর কাছে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত। তাদের বিতর্কীত করতেই সুবিধাবাদী দালালরা তাদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। এসব দালাল আর সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে জেলা অন্যতম কর্নধর এই দুই জনপ্রতিনিধিকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। অন্যথায় আস্থাভাজন আর ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়েই তাদের যে কোন সময় বিতর্কীত করতে দ্বিধাবোধ করবে না। নগরবাসীর মতে, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নাসিক মেয়রকে বুঝে পাঁ ফেলতে হবে। আর এ কাজে তারা সফল হলে নারায়ণগঞ্জের কাঙ্খিত উন্নয়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্রমতে, নারায়নগঞ্জসিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি হলেও নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভী নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। নতুন করে উন্নয়নের স্বপ্ন বুনতে থাকে নগরবাসী। অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে আরো বেশী উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী নারায়ণগঞ্জের মানুষ। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দীর্ঘদিন পর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। তার কাছেও জেলাবাসীর অনেক প্রত্যাশা। সচেতন মহলমনে করছেন, নাসিক মেয়র আইভী ও জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দু’জনই ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত। যে কারণে এই দুই জনপ্রতিনিধির কাছে উন্নয়ন প্রত্যাশী সাধারন মানুষ। উন্নয়নের পরীক্ষায় মেয়র আইভী ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হলেও এ ক্ষেত্রে আনোয়ার হোসেন নতুন। যে কারণে উন্নয়নের পরীক্ষায় এখন তাকেও উর্ত্তীণ হতে হবে। তবে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করছেন দু’জনই উন্নয়নের প্রতীক হবে। আইভী জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফল হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজনীতিক হিসেবে সাফল্যেও পরিচয় দিয়েছেন। তবে আইভী ও আনোয়ার হোসেন নতুন করে দায়িত্বশীল পদে আসিন হওয়ায় তাদের চারপাশ ঘিরে একটি সুবিধাবাদী ও দালালদের বলয় গড়ে উঠেছে। এই বলয়ে যারা রয়েছে তারা আইভী ও আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ঠ স্বজন কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থা ভাজন দাবি করে নাসিক ও জেলা পরিষদ থেকে সুবিধা নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সুবিধাবাদী চক্রটি বিগত দিনে নানা বিতর্কীত কর্মকান্ড করে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। তারাই আবার ফুল দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেদেও আনোয়ার হোসেন কিংবা আইভীর আস্থাভাজন বলে জাহির করছে। এছাড়া এদের কেউ কেউ পর্দার আড়ালে থেকে দুই জনপ্রতিনিধির স্বজনদের ঘারে বসে নানা ফন্দি আটছে। তবে এই চক্র থেকে মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেনকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি: আনোয়ার হোসেন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমার রাজনীতি মানুষের মঙ্গল আর উন্নয়নের জন্য। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে কিছু দিতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধু ও নৌকাকে ভালবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অবদান রাখতে জেলাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীর সহযোগীতা কামনা করছি। আমার বিশ্বাস আমার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জেলাবাসী আমার পাশে থাকবে। আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোন বিরাধ নেই। আমরা সবাই এক সাথে মিলেমিশে নারায়ণগঞ্জকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলবো। এ জন্য আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভনে আয়োজিত অস্থায় মঞ্চে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনকে কুতুবপুরবাসীর পক্ষে ফুলে নৌকা উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সি, যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ, আদর্শনগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক আ: কাইয়ুম সরকার শাহিন প্রমুখ। এসময় মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন,সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, যুহ্ম সম্পাদক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাহিদ খান, নূর হোসেন,সিনবাদ উপস্থিত ছিলেন।

না’গঞ্জে পুলিশ বেষ্টনির মধ্যে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী কর্মসূচি পালন

পুলিশ বেষ্টনির মধ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। রবিবার বেলা ৩টায় নগরীর ডিআইটি এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে।

কর্ম সূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা জনগনের সেবক। জনগনের প্রতি নিরপেক্ষ থেকে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়। বর্তমান সরকার জনগনের কথা বলার অধিকার ও মিটিং মিছিল করার গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাঁধা দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে নির্মমভাবে আহত করছে, গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি আজকের এই সভা থেকে নেতাকর্মীদের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবী করছি। সেইসাথে জনগনের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, ৭ জানুয়ারী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিলো বিএনপি। যেখানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো দলীয় চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু সরকার সেই জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। গত ৫ জানুয়ারী সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। আজকে আমরা সেইসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এর বিচার দাবী করছি।

কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, রাসেল আহমেদ মনির, হাজী ইসমাইল হোসেন, ফারুক হোসেন, আওলাদ হোসেন, মনির খান, মীর আলমগীর, সুমন হোসেন, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌস আহমেদ, যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, আলী নেওয়াজ, জাহাঙ্গির হোসেন, স্বপন চৌধুরী, মন্টু মেম্বার, রিপন খান, মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাখাওয়াত হোসেন, বেলাল খান, হিমেল, ইশাণ, পলাশ, কৃষকদল নেতা উজ্জল হোসেন, আ: রাজ্জাক প্রমূখ।

ঘুষ গ্রহনের সময় দুদকের জালে গ্রেফতার উপসচিব

ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে একজন উপসচিবকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া উপসচিবের নাম মিজানুর রহমান। তিনি প্রেষণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সড়ক ও জনপথ থেকে ইজারাগ্রহীতা মাইনুদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ অভিযান চালায়। মিজানুর রহমান একটি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য মাইনুদ্দিনের কাছ থেকে এর আগে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে আরও নয় লাখ টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে মাইনুদ্দিন অভিযোগ করেন দুদকের কাছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ রাতে দুদকের একটি দল খিলগাঁওয়ের ওই ফাস্ট ফুডের দোকানে অবস্থান নেয়। ঘুষের টাকাসহ মিজানকে গ্রেপ্তার করে দলটি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর মিজানুর রহমানকে খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কাল সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে

ফতুল্লায় ফেনসিডিলসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ৩২ বোতল ফেনসিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১ টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাস তল্লাশী করে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছেন মামুন হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী সাথী (৩০)। পি এস আই আরিফুর রহমান জানান, সন্দেহ জনিত কারণে তাদের তল্লাশী চালানো হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ১৮। গ্রেফতারকৃত সকলেই নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার বাসীন্দা বলে জানা গেছে।

হাজী জয়নাল আবেদীন শিক্ষা বৃত্তি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

হাজী জয়নাল আবেদীন শিক্ষা, স্মৃতি বৃত্তি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার সকাল ১১টায় হাজী আবু বকর সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। বালুচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বকর  সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখাঁন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

‘জামায়াত মুক্ত’ করতেই ইসলামী ব্যাংকের রদবদল

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শীর্ষ পদগুলোতে যে রদবদল ঘটানো হয়েছে, তার ফলে ইসলামী ব্যাংকের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরো সুদৃঢ় হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার ব্যাংকটির বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সভায় আরাস্তু খানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়। তার জায়গায় নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আবদুল হামিদ মিয়ার নাম প্রস্তাব করা হয়।

ইসলামী ব্যাংকে বরাবরই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর একটা বিরাট প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকটির দিক থেকে এসব অভিযোগ জোর গলায় অস্বীকার করা হয়েছে।

রদবদল নিয়ে প্রশ্ন

ইসলামী ব্যাংকে হঠাৎ করে যেসব রদবদল ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাংকটি সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, যেভাবে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে, তার পেছনে কোন সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না।

এসব পরিবর্তনের কোন যুক্তি আমি পাচ্ছি না। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়ে গেলেন, তিনি পদত্যাগ করলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেন, তিনিও পদত্যাগ করলেন। এমডিও পদত্যাগ করলেন। এবং সম্পূর্ণ নতুন এক ব্যক্তি, যিনি মাত্র কদিন আগে বোর্ডে যোগ দিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যান হলেন…. এগুলো কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না। এর পেছনে সৎ উদ্দেশ্য আছে বলা যায় না। অবশ্যই এর পেছনে কোন না কোন রাজনীতি আছে।

শাহ আবদুল হান্নান বলেন, এসব পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হয়তো ইসলামী ব্যাংকে কোন দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা। তবে তিনি দলটির নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।

তবে ইসলামী ব্যাংকে সর্বশেষ এসব পরিবর্তনের পেছনে সরকারের কোন ভূমিকা থাকার কথা । অস্বীকার করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের বোর্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। সুতরাং এখানে কোন গোষ্ঠী বা দল বা ব্যক্তির সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে, এমন বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। আমি বিশ্বাস করি সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই এটা করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী সব ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাংক। মুনাফার দিক থেকেও ব্যাংকটির অবস্থান শীর্ষে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এটিকে বাংলাদেশের সেরা ব্যাংকের পুরস্কার দেয় লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংকার ম্যাগাজিন।

সেই পুরস্কার নিতে বিদায়ী ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান লন্ডনে এসেছিলেন। সেসময় বিবিসির স্টুডিওতে এসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্কের কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেন।

জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক কী? এ প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ইসলামী ব্যাংকের কোন ধরণের আইনি বা অন্য কোন ধরণের সম্পর্ক নেই।

ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সেখানে বিদেশি বিনিয়োগই ছিল সবচেয়ে বেশি, মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই এসেছিল ১১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, দুবাই ইসলামী ব্যাংক এদের বিনিয়োগ ছিল।

অন্যদিকে বাংলাদেশের যে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ, তার মধ্যে দশ শতাংশ এসেছে শেয়ার বাজারে ছাড়া আইপিও(ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং) থেকে। বাকী যে বিশ শতাংশ বিনিয়োগ, তার পঁচিশ শতাংশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন সেখান থেকে সরকারী বিনিয়োগ তুলে নেয়ার আগে পর্যন্ত।

কিন্তু ইসলামী ব্যাংক যেভাবে পরিচালিত হতো, সেখানে জামায়াতে ইসলামীর একটা বিরাট প্রভাব ছিল, তাদের ইচ্ছেমতই সবসময় ব্যাংকটি পরিচালিত হয়েছে, এমন অভিযোগ বহুবার ব্যাংকটির বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে।

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মূলধনে যেমন কোন বিশেষ দলের বা মতের সম্পর্ক ছিল না, আমাদের বিনিয়োগ কার্যক্রম বা ডিপোজিট যারা করছেন, সেখানেও কোন রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা কখনো প্রমাণিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমার গত ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমরা সম্পূর্ণ পেশাদারীত্বের ভিত্তিতে এই ব্যাংকটি পরিচালনা করেছি। এবং শুধু পেশাদারীত্বের কারণেই ইসলামী ব্যাংক সারা বিশ্বে এত সুনাম অর্জন করেছে।

ইসলামী ব্যাংক তাদের নিয়োগ, ব্যবসা, বিনিয়োগ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে কেবল একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ, সে অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ অসত্য।

তবে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন স্বীকার করছেন, ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে যে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা আছে, সেরকম একটা ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে।

ব্যাংকের সাম্প্রতিক বড় রদবদলগুলো কি তাহলে এটিকে একটি দলের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যেই করা হচ্ছে?

এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকটা তাই, সেটা বলতে পারেন। এই পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে আমরা করার চেষ্টা করছি। এই ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের পদ্ধতিতে এমন কিছু ছিল, যে কারণে একটা পার্টিকুলার দলের লোক ছাড়া এখানে অন্য কারও ঢোকাটা বলতে গেলে শূন্যই ছিল। সেখানে এখন আমরা নজর দিচ্ছি।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন আরও বলেন, তাদের আনা পরিবর্তনগুলোতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাইতে ব্যাংকের গ্রাহকের স্বার্থকেই তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন।

ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা কিন্তু এক কোটি সতের লাখের উপরে। জামানত আছে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মচারীর সংখ্যা সাড়ে তের হাজার। এখন এই সাড়ে তের হাজার কর্মচারী যদি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের অনুসারী হয়েও থাকে, এক কোটি সতের লক্ষ গ্রাহক কিন্তু ঐ দলের পক্ষে না, ঐ মতাদর্শের পক্ষে না। এখন আমাদের দেখতে হবে, আমরা কি এক কোটি সতের লাখ গ্রাহকের স্বার্থ দেখবো, নাকি সাড়ে তের হাজার কর্মচারী, যারা হয়তো একটি পার্টিকুলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের স্বার্থ দেখবো? -বিবিসি