১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 265

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছাচ্ছে আ.লীগ ও বিএনপি

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কমিটি ঘোষণা করেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে পরিবর্তন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেইে দুই বড় দলের কমিটিতে অনেক পরিবর্তন আসছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিএনপি ১৯ মার্চ কাউন্সিল করেছে। এরপর আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকের ১৬ পদে আংশিক কমিটি। এর আগে মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপিতে নতুন নেতৃত্বে আশায় নেতারা জেগে উঠছেন। নতুন নেতৃত্বের নেতারা সরকারকে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগও কমিটি ঘোষণা। ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে আওয়ামী লীগের দুটি পৃথক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সাদেক খান। আর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আবুল হাসনাত ও শাহে আলম মুরাদ।

দলের পুরনো ও ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি নতুনদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে। এছাড়া বিভিন্ন সময় দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদেরও রাখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আসন্ন ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে সেই কমিটিও পরবর্তী নির্বাচনকে মাথায় রেখে সাজানো হবে। মূলত দলকে গতিশীল করে পরবর্তী নির্বাচন এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধী শিবিরের আন্দোলন মোকাবিলার জন্যই এমনভাবে দল গোছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা।
একাধিক নেতা জানান, দলকে গতিশীল রাখতে সব ধরনের নেতাকর্মীদের পদ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগে। যে কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেসব বিদ্রোহী প্রার্থী কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের অনেককেও সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। আবার যেসব সিনিয়র নেতা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন না; কিন্তু দলসমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা যেন জিততে না পারেন এমন চেষ্টা করেছিলেন, তারা বাদ পড়েছেন দল থেকে।
তবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটা বার্তা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যাদের কারণে দল বিতর্কিত হয়েছে, যারা দায়িত্বশীল পদে থেকেও দলকে যথোপযুক্ত সহযোগিতা করেননি, তাদের দলীয় পদ টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হবে। উদাহরণ হিসেবে ওই নেতারা বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কা-ারী ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া খুব চেষ্টা চালিয়েছিলেন মহানগরের কমিটিতে থাকার জন্য; কিন্তু দলের হাইকমান্ড তাকে কোথাও রাখেনি।
একইভাবে সদ্যঘোষিত কমিটিতে নেই খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম এবং তাদের অনুসারীরা। মূলত মহানগর আওয়ামী লীগকে কোন্দলমুক্ত রাখার জন্যই তাদের রাখা হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে মায়া চৌধুরী না থাকলেও তার ছোট ছেলে রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনিকে মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুই রকম মত দেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এক পক্ষ মনে করেন, দলের কর্মীদের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে, তাই বলে একটি ভুলের কারণে আমরা তাদের আজীবন দলের বাইরে রাখতে পারি না। এছাড়া দলীয় ফোরামের মেজাজ বুঝে বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপর পক্ষের ভাবনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক কিছু এলাকায় তার নিজস্ব বলয় তৈরির জন্য সিটি নির্বাচনের বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের পদ দিয়েছেন। কারণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছিল, নির্বাচনে যারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না, তাদের নগর কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে যারা নির্বাচন করবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা আরও জানান, দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১০ ও ১১ জুলাই। ইতোমধ্যে সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি কমিটিও গঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারা নেতা হবেন, তারাই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মোকাবিলা করবেন। সুতরাং সবদিক বিবেচনা করেই সম্মেলনপরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটি সাজানো হবে এবার। তবে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার দাবি, ঈদুল ফিতর হওয়ার কথা ৬ অথবা ৭ জুলাই। সেক্ষেত্রে ঈদের পরপরই না-ও হতে পারে সম্মেলন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতোটুকু বুঝি, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, সবাইকে নিয়ে চলতে। তিনি সবার সমন্বয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে। নেত্রীকে দেখেছি, বিন্দু ও সিন্ধু উভয়েরই মূল্যায়ন করেন তিনি। দলের জন্য যার বিন্দু পরিমাণ অবদান আছে তাকেও তিনি ভোলেন না আবার যার অবদান সিন্ধুর জলরাশির সমান তাকেও তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শরীরে মেদ জমে না। তারা ঠিকই আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে অংশ নেন। সেটি গত কয়েক বছরে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় আমাদের কর্মীদের অংশগ্রহণ দেখলেই বুঝবেন।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর অন্যতম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, সবদিক বিবেচনা করেই দল সাজানো হচ্ছে, কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে ঘোষণা করা হবে ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। ইতোমধ্যে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।  চলতি মাসেই দলটির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
জাতীয় কাউন্সিলের ২১ দিন পর তৃতীয় দফায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ১৫ নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২ পদে এ ১৫ নেতার মধ্যে ১২ জনই নতুন। ১০  এপ্রিল নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মনোনীত ৭ জন যুগ্ম মহাসচিব ও ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।

বিএনপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ৭ জন যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে আগের কমিটির ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনই শুধু রয়েছেন। বাকি সবাই নতুন। নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া অন্য যুগ্ম মহাসচিবরা হলেন আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান সারোয়ার, আগের কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আগের কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, আগের কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও আগের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী।
এর আগে  ৩০ মার্চ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির মহাসচিব ও রুহুল কবির রিজভীকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদে মনোনয়ন দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ছাড়াও মিজানুর রহমান সিনহাকে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

সংস্কৃতি ও ধর্ম: আরববিশ্ব ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে

বাইরের বিশ্বকে আমরা কিভাবে বিচার করি সেই শিক্ষাই দেয় সংস্কৃতি। ফলে শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের যে অপরিহার্য উপাদান সহনশীলতা তারই উপলব্ধি মানবজাতি অর্জন করে সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে। বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের প্রতিযোগিতার ফলশ্রুতিতে যত হানাহানি এবং ঔপনিবেশিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এই সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ভেতর ধর্মও একটি অনুঘটকের কাজ করেছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য সংস্কৃতি একটি মানবগোষ্ঠীর অন্তর্গত শক্তি যার উপাদানগুলো হলো, মানুষের সাথে মানুষের ব্যবহার, তার খাদ্যাভ্যাস (রন্ধন প্রণালীসহ), ভাষা, বিনোদন ও অভ্যাস যা ঐ মানবগোষ্ঠীকে একটি সর্বজনীন একাত্মতার অনুভূতি এনে দেয় এবং এমনকি ঐ মানবগোষ্ঠীর পোশাক-পরিচ্ছদ ও পারস্পরিক ব্যবহারও এর অন্তর্ভুক্ত। ইংরেজিতে একে বলা হয় সভ্য ও সংস্কৃতিকবান হবার ইঙ্গিত বা ‘সেমিওটিক্স’। এর সাথে ধর্মীয় উৎসবও যুক্ত। ধর্ম ও সংস্কৃতির সহাবস্থান মানবজাতির জন্যই মঙ্গলজনক কারণ ধর্মের অনেক আচার অনুষ্ঠান যেমন কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমারেখায় বসবাসকারী মানবগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে, তেমনি সেই ভৌগলিক সীমার অভ্যন্তরের সকল ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকা-কে নিজেদের মধ্যে ধারণ করে থাকে। এটি অতি প্রয়োজনীয় কারণ কোনো মানবগোষ্ঠীই তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে টিকে থাকতে পারে না।

সম্প্রতি বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ধর্মীয় বক্তব্য সোচ্চার হচ্ছে। বাংলা বর্ষপঞ্জির সৃষ্টি ও এর ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ না করেই আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে চাই। আমি দীর্ঘ চার বছর এক আরব দেশে ছিলাম। তা ছাড়াও আরও বেশ ক’টি আরব দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও আমার আছে। আমি দেখেছি সেই সব দেশে ইসলাম-উত্তর সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠানের প্রতুলতা। বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উলুধ্বনি দেয়া কিংবা বিয়ের গাড়ি সাজানোর জন্য বার্বিডল ব্যবহার করা থেকে শুরু করে মেয়েদের গান গাওয়া এবং নাচ। শুধু তাই নয়, আমি অনেক অনুষ্ঠানে বেলি-ডান্স’ও দেখেছি যেটি ইসলাম-উত্তর যুগে নীলনদের পাশ দিয়ে যে আরব সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল সেই ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে এই একবিংশ শতাব্দীতেও বর্তমান। উট ও ঘোড়-দৌড়ের প্রতিযোগিতায় এবং সেই উৎসবে মেয়েদের খোলা-চুলের নাচ ও পানাহারে (প্রধানত গাহোয়া বা চা) আমি উপস্থিত ছিলাম একাধিকবার। অনেকেই বলবেন এসব ইসলাম-বিরোধী। আমি বলব এই হলো মানবজীবন যাপনের নির্মল স্বতঃস্ফূর্ততা। কারণ হিজাব পরলেও যে নারীরা পশুর হাত থেকে রক্ষা পায় না তার জ্বলন্ত উদাহরণ তনু-পশু তো কারও কথা শোনে না-সে সভ্যতা ও সংস্কৃতিরও তোয়াক্কা করে না। ধর্মও তাকে সংযত করতে পারে না। তবে একথাও ঠিক পশুরাও অনেক বিচারে মানুষের চেয়ে সভ্য-যেমন তারা ধর্ষণ করে না। ইসলাম যে দেশ থেকে ভারতবর্ষে এসেছে, তা সে আরবদেশ থেকেই হোক বা পারস্য থেকেই হোক- সে দেশগুলোতে বিভিন্ন বিনোদন অনুষ্ঠান, যা তাদের অমূল্য উত্তারাধিকার, ইসলাম-পরিবর্তি যুগেও যুক্তিসঙ্গতভাবেই পালিত হচ্ছে। যেমন ইরানে ‘নওরোজ’ অনেক জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হয়। সৌদি আরবে জমাদ্রিয়া জাতীয় উৎসব পালিত হয় প্রতি ফেব্র“য়ারিতে রিয়াদ থেকে ত্রিশ মাইল দূরে জমাদ্রিয়া শহরে যেখানে লোকজ নাচ-গানসহ ঘোড়া ও উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং স্বরচিত কবিতা পাঠের জন্য দূরদূরান্ত শহর ও গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ একত্রিত হয় টানা দু’সপ্তাহের জন্যে। এ ছাড়াও সৌদি আরবে নিয়মিত বাজ উড়ানোর খেলা (ঋধষপড়হ’ং ভষরমযঃ মধসবং) হয় যেটি পুরাকালের আরব সংস্কৃতি। জুন-জুলাইয়ে জেদ্দা শহরে প্রায় দু’শ বিভিন্ন বিনোদন প্রদর্শনী হয়ে থাকে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসামগ্রী ও আতশবাজী সহকারে। অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী মুসলিম দেশ দুবাই এবং আমিরাতে হরহামেশাই ঘোড়-দৌড় এবং এমনকি জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল হয়ে থাকে, যদিও জ্যাজ ইসলামী সংস্কৃতি নয়। এমন উদাহরণ আরও অনেক আছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো ঐসব মুসলমান দেশগুলোতে কি এমন কোন ফতোয়াবাজ নেই? আমি ব্যক্তিগতভাবে এইসব উদাহরণ দিয়ে একাধিকবার যুক্তি খাড়া করতে চেয়েছি আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পক্ষে, তখন যে মন্তব্য শুনতে হয়েছে তা এই: ‘ওরা খাঁটি মুসলমান না’। পরিহাসের বিষয় হলো আমার আরব দেশে বসবাসকালে অনেকবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে, ‘তুমি কি মুসলমান?’ আমার সম্মতিসূচক উত্তরে ওরা বলেছে ‘তুমি আসলে তিন দিনের মুসলমান আর আমরা খাঁটি মুসলমান।’

যে কোন দেশ, ভৌগলিক অঞ্চল এবং সেখানে বসবাসরত মানবগোষ্ঠীর একটি অতীত আছে এবং সেই অতীতকে অস্বীকারের অর্থ নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। এই অতীতেরই একটি সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে সেই মানবগোষ্ঠীর ঐতিহ্য চেতনা, উৎসব ও সংস্কৃতি। কোন ধর্মই উৎসবকে অস্বীকার করে না বলেই পূজা, বুদ্ধপূর্ণিমা, বড় দিন ও ঈদকে ধর্মীয় সংস্কৃতিতে স্থান দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমার জানামতে কোথাও উল্লেখ নেই অপরাপর সকল সাংস্কৃতিক কর্মকা-কে বিসর্জন দিতে হবে। তাই বাংলা নববর্ষকে বিসর্জন দেয়ার অর্থ বাঙ্গালিত্বকে বিসর্জন দেয়া, নিজেকে বিসর্জন দেয়া।

সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

নতুন বছরে জেগে উঠুক বিশুদ্ধ চেতনা

আজ নববর্ষ। নতুন বছর, নতুন দিন। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই পুরনো জীর্ণ, হতাশা-ব্যর্থতা মুছে ফেলে জীবন চলতে চায়। আমরাও সেটা প্রত্যাশা করি। সেই সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রার্থনা করি, নতুন বছরে সব আঁধার কেটে যাক, আসুক আলো, হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি টুটে যাক। সত্য-সুন্দরের সম্ভাবনায় শুরু হোক নতুন বছর, নতুন দিন।

এবার এমন এক সময়ে বাংলা নববর্ষের আগমন, যখন মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে। বিষয় যাই হোক, তবুও আশায় বুক বাঁধি, নতুন বছরের আলোয় দূর হবে সব কালো। বাংলা নববর্ষ বাঙালি মুসলমানদের মনে-প্রাণে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। কারণ বাংলা সন হিজরি সালেরই ঔরসজাত। ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশ ভূখ-ে মুসলিম শাসন কায়েম হয়েছে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়কাল থেকে। পরে খাজনা আদায়সহ রাজকার্যের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবর হিজরির পাশাপাশি বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং অগ্রহায়ণের পরিবর্তে বৈশাখ থেকে বর্ষ গণনা শুরু করেন। বাংলা মাস পায় রাজকীয় মর্যাদা। এর আগে এই ভূখন্ডে মহাধুমধামের সঙ্গে ‘নওরোজ’ উৎসব পালিত হতো।

বাংলা সনের গণনা শুরু হয় ১৫৫৬ ঈসায়ি সালের ১১ এপ্রিল থেকে। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে সরকারিভাবে বাংলা সন-তারিখ ব্যবহার হয় না বললেই চলে। যদিও পহেলা বৈশাখ উদযাপন জাতীয় উৎসবের মর্যাদা পেয়েছে।

নতুন বছরে মানুষের মনে জাগে নতুন আশাবাদ। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে মানুষ নবপ্রেরণায় নতুন করে জীবনকে বিকশিত করতে চায়। এমন ইতিবাচক চেতনার কারণে নানা দুঃখ-বেদনা ও যন্ত্রণার মধ্যে এখনও টিকে আছে আমাদের সমাজ। তবে সমাজকে, জীবনকে প্রগতির কাক্সিক্ষত পথে এগিয়ে নিতে হলে অতীতের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ ও সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

আসলে একটি বছরের বিদায় ও আগমনে প্রত্যেক বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কর্তব্য হলো, অতীত জীবন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা তথা আত্মসমালোচনা ও অনুশোচনার মাধ্যমে জীবনের হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা করা। তাই বছর শেষে আমাদের হিসাব করে দেখতে হবে, কেমন ছিল গত বছরে আমার আমলনামা। যদি যথেষ্ট পরিমাণ নেক আমল করে থাকি, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ; আল্লাহ তা কবুল করে নিন। ভবিষ্যতে তা অক্ষুন্ন রাখুন এবং আরও বেশি নেক আমল করার তওফিক দিন। আর যদি মনে হয়, অবস্থা তার উল্টো, গুনাহর পরিমাণ বেশি; তাহলে বছর শেষে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে তওবা-ইস্তেগফারের পাশাপাশি পুরনো পথে ফিরে না যাওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত। মানবজীবনে ভালো-মন্দের হিসাব গ্রহণ ও ভবিষ্যৎ জীবনের নতুন সংকল্প ভীষণ জরুরি। কারণ প্রত্যেকটি রাত-দিন, সপ্তাহ, মাস, বছরের আগমন ও প্রস্থান এ সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা তাগিদ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি সেই সত্তা যিনি দিন ও রাতকে পরস্পরের অনুগামী করে সৃষ্টি করেছেন। (কিন্তু এসব বিষয় উপকারে আসে কেবল) সেই ব্যক্তির জন্য যে উপদেশ গ্রহণ করতে ইচ্ছা রাখে কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ সূরা ফুরকান: ৬২

মুমিন মূলত দুটি আশঙ্কার মাঝে বসবাস করে। একটি আশঙ্কা হচ্ছে, গত জীবন সে জানে না, সেখানে আল্লাহ তার জন্য কী লিখে রেখেছেন। তাই প্রতিটি মানুষ নিজের জীবন থেকেই নিজের জন্য পাথেয় জোগাড় করুক। দুনিয়া থেকেই আখেরাতের সম্বল হাসিল করুক। বুড়ো হওয়ার আগে যৌবন ও সুস্বাস্থ্যকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুক। সর্বোপরি মৃত্যু আসার আগে জীবনের সদ্ব্যবহার করুক।

মানবজীবনের সময়গুলো অত্যন্ত মূল্যবান। প্রতিটি মুহূর্ত আখেরাতের বিশাল জিন্দেগির জন্য পাথেয় তৈরির এক অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে আছে, ‘সে-ই বুদ্ধিমান যে নিজের হিসাব কষে ও পরকালের জন্য তৈরি হয়।’ আর একজন সচেতন মুসলমানের গুণাবলির মাঝে রয়েছে, তার ধর্মীয় মূল্যবোধ, আখেরাতের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, আল্লাহর প্রতি ভয় ও ভালোবাসা, ঐক্য, জাতীয়তাবোধ, আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ায় প্রেরণা। আদর্শ নাগরিকের এ গুণগুলোকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাই নতুন বছরের সূচনালগ্নে সবার কাছে প্রত্যাশা- আসুন, পুরনো বছরের হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা, হানাহানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলি। পুরনো বছরের পাপগুলো হিসাব করে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আর নতুন বছরে পুরনো পাপগুলো দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সংকল্প করি। সূত্র আমাদের সময়.কম

ধর্মকে আঘাত মুক্তচিন্তা নয়, নোংরামি: প্রধানমন্ত্রী

মুক্ত চিন্তা প্রকাশের নামে কোনো ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত সহ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে না। ধর্মকে আঘাত করে লেখাকে অনেকে মুক্তচিন্তা বলেন। আমার কাছে এটা নোংরামি মনে হয়। আমি যে নবীকে মানি তাকে কটাক্ষ করে কোনো কথা বলা হলে সেটি মানা সম্ভব নয়।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকাল থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দেশবাসীর আনন্দ উদযাপন দেখে ভাল লাগছে। বছরটা সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে, এটা যেন অব্যাহত থাকে।
তিনি বলেন, সবসময়ই দুঃশ্চিন্তায় থাকি, কখন কী ঘটে যায়। আশা করি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারব।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলেছি বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রকাশ্য-বহিরাঙ্গনের অনুষ্ঠানগুলো শেষ করতে হবে। এতেই কারো কারো আপত্তি। কিন্ত কেন? যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে, কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব। আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেটা কোন পথে কিভাবে দিতে পারবো, তার নির্দেশনা সরকারই দেবে। আর আশা করি সকলেই এই নির্দেশনা মেনে চলবে

তারানা হালিমকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি

নববর্ষের ‘গিফট বক্সে’ কাফনের কাপড় পাঠিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বুধবার রাতে অজ্ঞাতরা মোটরসাইকেলযোগে তার গুলশানের বাসায় একটি প্যাকেট পাঠিয়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম বলেন, ওই প্যাকেটে হুমকি দিয়ে লেখা ছিল, ‘এবার তোর পালা, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নাম ব্যবহার করে ওই প্যাকেট পাঠানো হয় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। রাত ৯টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে একজন এসে বাসার দারোয়ানকে প্যাকেটটি দিয়ে যায়।

তারানা হালিম জানান, তিনি গিফট নেন না। আগুন্তক জোর করে দিতে চাইলে দারোয়ান বলেন, ‘দাঁড়ান স্যারকে ফোন করি’। তখন ওই ব্যক্তি কৌশলে মোটরসাইকেল পার্কিং করার কথা বলে প্যাকেটটি দারোয়ানের হাতে দিয়ে চলে যায়।’ লাল কাপড়ে মোড়া ওই প্যাকেটে কাফনের কাপড়, ধুপসহ কাফনের কাজে ব্যবহৃত আনুসঙ্গিক জিনিসপত্র ছিল।

তারানা হালিম বলেন, জোর করে প্যাকেটটি রেখে যাওয়ায় বোমা বা অন্য কিছু আছে কিনা সন্দেহে তারা প্যাকেটটি খোলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বাইরে থেকে বাসায় এসে প্যাকেটটি নিয়ে দেখি নারায়ণগঞ্জের মেয়রের (সেলিনা হায়াৎ আইভি ) নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরুর পর বিভিন্নভাবে হুমকি পেয়ে আসছিলেন তারানা হালিম। তিনি বলেন, এসব হুমকিতে ভয় পাই না, একটুও চিন্তিত নই। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারা একটি জিডি করতে বলেছে।

গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তারা প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছেন। তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। কারা প্যাকেটটি দিয়েছে তা আশপাশের সিসিক্যামেরার ফুটেজ থেকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। সূত্র আমাদের সময়.কম

সারাদেশে উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ষবরণ

boishakh2পুরনোকে বিদায় জানানো শেষ। এবার পালা নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর। আর ভোর না হতেই শুরু হয়ে গেল নতুন বছরকে বরণ করার সব আয়োজন। নেই ধর্ম-বর্ণ-বয়সের কোনো ভেদাভেদ। সবাই যেন মিলে গেল এক কাতারে। আর এই বর্ষবরণের উৎসবে মেতে উঠেছে ঢাকাসহ পুরো দেশ।

ময়মনসিংহ: লালপাড়, সাদা শাড়ি। ঢাক-ঢোলের শব্দ। হাতে হাতপাখা, কুলাসহ নানা দেশীয় উপকরণ। সেই সঙ্গে নানা সাজে সেজে তুলে ধরা হয় আবহমান বাংলার সংস্কৃতি।

এদিকে, সকালে বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজন করে এই বর্ণাঢ্য র‌্যালির। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

অন্যদিকে, ময়মনসিংহে পহেলা বৈশাখে অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে জড়ো হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পাপ মোচনের আশায় ভোর থেকেই পুণ্যার্থেরা জড়ো হন নদের তীরে।

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার। এবারে শান্তির প্রতীক পায়রা ছিলো এবারের শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ। শোভাযাত্রায় আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। এসময় সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

সিলেট: সিলেটে ব্লুবার্ড স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। শতকণ্ঠে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। গানের তালে তালে আহ্বান করা হয় মঙ্গল বারতা।

এছাড়া সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে বের করে শোভাযাত্রা।

রাজশাহী : ভোরের আলো ফুটতেই রাজশাহীতে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে নববর্ষের আয়োজন। বিভিন্ন সংগঠন আয়োজন করে শোভাযাত্রার।

ফেনী: ফেনীতেও বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

সূত্র : সময় টিভি থেকে নেয়া

আমার নির্বাচনী গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।। হাজী ওমর ফারুক

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হাজী ওমর ফারুক তার নির্বাচনী এলাকায় ফুটবল মার্কার ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের যাবতীয় সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর নিচ্ছেন এবং ২৩শে এপ্রিল নির্বাচনে ফুটবল মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে জয়লাভের ব্যাপারে তাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সরে জমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে দেখা যায় , বক্তাবলী ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী যে ক’জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে তাদের মধ্যে হাজী ওমর ফারুক শিক্ষিত,মার্জিত স্বভাবের এবং সদা মিষ্টভাষী এলাকাতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপকালে সাধারন ভোটাররা জানান, হাজী ওমর ফারুক একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করে বলেন আমাদের সুপরিচিত মুখ হাজী ওমর ফারুককে আমরা সাধারন ভোটাররা বিপদে আপদে সব সময় কাছে পাই। তিনি যদি  নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে আমাদের অবহেলিত এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
তাছাড়া এলাকাবাসি ও ভোটারদের মাঝে রয়েছে তার জনসমর্থন। এলাকার সাধারন মানুষের নেই কোন অভিযোগ । এ বিষয়ে মেম্বার পদপ্রার্থী হাজী ওমর ফারুক বলেন,আমি যদি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হই তাহলে আমি আমার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যাবতীয় উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাবো।এছাড়াও  সমাজ থেকে মাদক,ইভটিজিং,ভুমিদস্যুতা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে ব্যাপক কাজ করে ডিজিটাল ওর্য়াড গড়ে তোলা এবং সামাজিক সেতু বন্দন তৈরী করে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।  তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবত দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে নগদ অর্থ,শীত বস্ত্র,ঈদে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে আসছি তা আরো ব্যাপকতর করবো। আমি আশাবাদী সাধারন ভোটাররা আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তারা আমাকে তাদের সেবক হওয়ার সুযোগ দেবে।আমি যতদিন বেচে থাকবো তাদের সেবক হয়েই থাকবো। দিনরাত যখনই তারা আমাকে ডাকবে আমি তাদের সেবাদানে ছুটে যাবো। আমি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের মুল্যবান ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

৮নং ওয়ার্ডকে ডিজিটাল ওয়ার্ডে পরিনত করাই আমার লক্ষ্য II জয়নাল আবেদীন

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীন তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের যাবতীয় সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর নিচ্ছেন এবং ২৩শে এপ্রিল নির্বাচনে তাকে তালা মার্কায় ভোট দিয়ে ভোটারদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে জয়লাভের ব্যাপারে তাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সরে জমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে দেখা যায় , বক্তাবলী ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী যে ক’জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে তাদের মধ্যে বর্তমান মেম্বার মোঃ জয়নাল আবেদীন সৎ,নির্ভীক,নিঃর্স্বাথ সমাজকর্মী,অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ,মার্জিত স্বভাবের এবং সদা মিষ্টভাষী এলাকাতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপকালে সাধারন ভোটাররা জানান, মোঃ জয়নাল আবেদীন একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করে বলেন আমাদের সুপরিচিত মুখ মোঃ জয়নাল আবেদীনকে আমরা সাধারন ভোটাররা বিপদে আপদে সব সময় কাছে পাই। তিনি যদি  নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে আমাদের অবহেলিত এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
তাছাড়া এলাকাবাসি ও ভোটারদের মাঝে রয়েছে তার জনসমর্থন। এলাকার সাধারন মানুষের নেই কোন অভিযোগ । এ বিষয়ে মেম্বারপদপ্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন,আমি যদি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হই তাহলে আমি আমার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের যাবতীয় উন্নয়ন মুলক কাজ করে  ডিজিটাল ওয়ার্ডে পরিনত করব।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবত দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে নগদ অর্থ,শীত বস্ত্র,ঈদে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে আসছি তা আরো ব্যাপকতর করবো। আমি আশাবাদী সাধারন ভোটাররা আমাকে তালা মার্কায় তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তারা আমাকে তাদের সেবক হওয়ার সুযোগ দেবে। আমি যতদিন বেচে থাকবো তাদের সেবক হয়েই থাকবো। দিনরাত যখনই তারা আমাকে ডাকবে আমি তাদের সেবাদানে ছুটে যাবো। আমি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের মুল্যবান ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

বরিশালে ১৪ শিবির নেতা-কর্মীকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

বরিশালে সাংগঠনিক বৈঠক করার সময় শিবিরের উপজেলা সভাপতিসহ ১৪ কর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ ছিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার বিজ্ঞান ভবন থেকে তাদের আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবিরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক বৈঠকের খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই ভবনে তল্লাশি চালায়।
এসময় ভবনের একটি কক্ষে বৈঠকরত অবস্থায় ছাত্রশিবিরের গৌরনদী উপজেলা সভাপতি মো. সবুজ হাওলাদারসহ ১৪জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

গৌরনদী থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আটককৃতদের জিজ্ঞাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র আমারদেশ

বাংলাদেশের প্রশংসা করে চাকরি হারালেন ভোগলে!

চলতি আইপিএল থেকে সরিয়ে দেয়া হল অন্যতম সেরা ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেকে। আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত হর্ষ। এ বারের নিলামেও সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে। তার এই হঠাৎ অপসারণে বেশ চমকে গেছে ক্রিকেট মহল।

ঠিক কী কারণে সরানো হল হর্ষকে?

সরকারিভাবে কারণটা অবশ্য এখনও জানানো হয়নি হর্ষ ভোগলেকে। বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর, আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লাও এই বিষয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি।

কিন্তু বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই হর্ষ ভোগলেকে রাখা হয়নি আইপিএলে। কিন্তু কেন? হর্ষ ভোগলে স্বয়ং বলছেন, আমার সঙ্গে এই ব্যাপারে কেউ কোনো কথাই বলেননি। কীসের জন্য আমাকে আইপিএলে রাখা হয়নি, সেটাও আমাকে পরিষ্কার করে বলা হয়নি।

খবরের ভিতরকার খবর বলছে অন্য কথা। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থার এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন হর্ষ ভোগলে। সেটা একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

কিন্তু গরিষ্ঠ অংশ বলছে অন্য কথা। আসল কারণ হল, ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচের জন্যই আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন হর্ষ ভোগলে।

ভারত বনাম বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরে অমিতাভ বচ্চন, ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি টুইটারে নাম না করে হর্ষ ভোগলের সমালোচনা করেছিলেন। সেই ম্যাচে হর্ষ ভোগলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্রমাগত প্রশংসা করে যাচ্ছিলেন। আর সেটাই অভিশাপ হয়ে দেখা দিল। আইপিএল থেকে সরিয়ে দেয়া হল হর্ষ ভোগলেকে।

সূত্র: আনন্দবাজার, এবেলা।