নিষেধাজ্ঞার কবলে চলচ্চিত্র ‘দ্য ফেক’

102

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:  নিষেধাজ্ঞার কবলে আটকা পড়ল দ্য ফেক আদালতের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি মুখোশ মানুষ গল্প অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য ফেক। গত মাসের শেষ দিকে এই চলচ্চিত্রটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ড ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেয়নি। বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্রবাসী বাঙ্গালী প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র দায়ের করা একটি মামলায় গত ২৬ মে এস এস কুদ্দুস জামানের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালতের এই নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই সিনেমার পরিচালক ও প্রয়োজককে কারন দর্শাতেও বলা হযেছে। আদালতের আদেশে বলা হয়, দ্য ফেক ফিল্মটির রিলিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরনে জানা গেছে, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক নির্মানের জন্য উদ্যোগ নেন প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র বিবেক মিডিয়া ও জাপানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। নাটকটি পরিচালনার জন্য এই মামলার ১ নম্বর বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল ওই দুই মিডিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। নাটকটি নির্মানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেন বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। অথচ পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জুয়েল এই নাটকটির কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখেই মুখোশ মানুষ এর গল্প দিয়েই বে আইনী ভাবে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিএ নির্মান করেন। এই চলচ্চিত্রটি নির্মানের জন্য যাতীয় ব্যয়ভার বহন করেন প্রয়োযজক একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী। যিনি এই মামলার দুই নম্বর বিবাদী। চলতি মাসেই এই চলচ্চিত্রটি বাজারে ছাড়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের। এমন পরিস্থিতিতে প্ল্যাসিড পল রোবেরো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা জেলা জজ আদালতে এই চলচ্চিত্রকে অবৈধ ঘোষনা ও এর সকল কার্যক্রম বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১২৮/২০১৬। আদালত নিষেধাজ্ঞা দরখাস্ত শুনানী না করেই ইহা তার গত ২৮ এপ্রিল তারিখের আদেশ দ্বারা বাদ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে বাদীগন ঢাকা জেলা জজ আদালতে একটি মিস আপিল দায়ের করেন। যার নম্বর ১১০/২০১৬। এরই প্রেক্ষিতে আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। জানতে চাইলে নির্মাতা জুয়েলের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্ল্যাসিড পল রোবেরো বলেন, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক পরিচালনা জন্য এই মামলার প্রথম বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছু দিন নাটকের কাজ করার পর পরিচালক জুয়েল জানান যে, তিনি বেশী কাজ করে ফেলেছেন। আরো কিছু টাকা খরচ করে এটা টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের দাবি জানান। এরপর বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড বিষয়টি নিয়ে আলেচনায় বসেন। এরপর টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের জন্য আরো কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এ দুই প্রতিষ্ঠান। তারপর পরিচালক এটাকে চলচ্চিত্র আকারে নির্মানের দাবি জানায়। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এটার পেছনে ১৫-১৬ লক্ষ্য টাকার মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু পরিচালক জুয়েল মুখোশ মানুষ গল্পটি অবলম্বনে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিত্র বানান। একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী নামে একজন এটি প্রয়োজনা করেছেন। এতে আমারা বিশাল ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছ্ িএমন পরিস্থিতিতে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। আদালত এটার সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।