২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 36

ওবায়দুল কাদেরের পরিবার রাজাকার- এমপি একরামুল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকারের পরিবার বলে আখ্যায়িত করেছেন নোয়াখালী জে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। সেই সঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন একরামুল করিম চৌধুরী।বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের সময় তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন। ইতিমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরীর এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

২৭ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপে তিনি বলেন, দেশী মানুষ, স্লামালাইকুম। আমি কথা বললে তো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলবো না, আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আসছে তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলবো। আমার যদি জেলা কমিটি না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করবো। তার ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায়, তাৎক্ষণিক তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে নেন। এর আগেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভিডিও বক্তব্যটি ভাই’রাল হয়ে যায়।

একরামুল করিম চৌধুরীর ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিডিও সরিয়ে নিলেও তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য এবং তিনি সত্য কথা বলেছেন। আপনারা গণমাধ্যম কর্মীরা খবর নিলে জানতে পারবেন তার পরিবারে কারা রাজাকার ছিল। তবে ওবায়দুল কাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘদিন থেকে তার ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এলোমেলো বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তার ভাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না-এ জন্য তিনি এসব কথা বলেছেন।

 

নবগঠিত ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত  

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জানতে হবে। যার আদর্শ নিয়ে আমরা সংগ্রাম করছি সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্যার নেতৃত্বে আমরা টানা ৩ বার ক্ষমতায় আছি। তার পিতাকে যদি আমরা না জানি তার পিতার সংগ্রামী জীবন যদি আমরা না জানি তাহলে কিসের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হলাম।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে(নম পার্ক) ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে আব্দুল হাই এসব কথা বলেন।

আব্দুল হাই বলেন, সন্ত্রাস ও দূর্ণীতি, মাদকের বিরুদ্ধে কারো সাথে কোন আপোষ করবো না। আপনারা সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করবেন আমরা আপনাদের সহযোগীতা করব। অপরাধীর সাথে কোন আপোষ করবেন না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত নারায়ণগঞ্জ উপহার দিবেন এই প্রত্যাশাই আপনাদের কাছে।

তিনি আরোও বলেন, প্রশাসনের অনেক লোকজন অনেক ধরনের অহংকার নিয়ে কথা বলেন, তারা মনে মনে ভাবেন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনেছেন। এটা ভেবে থাকলে ভুল করবেন। আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণকে নিয়েই সামনের দিকে পথ চলতে চাই। জনগণ চাইলে ক্ষমতায় আসব না চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে দিবো এটা আমার নেত্রীর কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক দুর এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের অনেক সূচকে আমরা এখন অনেক দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছি। এ ধারাবহিকতা বজায় রেখে আমাদের একসাথে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক অফিসার গোপালগঞ্জের সন্তান দাবী করে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাদের সাথে খারাপ আচরণও করেন। গোপালগঞ্জের পার্শ¦বর্তী জেলার লোক হলেও গোপালগঞ্জ বলে দাবী করেন। প্রশাসনের অনেকেই নারায়ণগঞ্জে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছে এমন কথাও বলে বেড়ায়। আপনারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেই পারেন। তাই বলে আপনারা কোন নেতাকর্মীর সাথে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবেন না। আপনারা মনে রাখবেন এটা সরকারের আওয়ামীলীগ না এটা আওয়ামীলীগের সরকার। আপনারা জনগণের সেবক আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এটা মনে রেখে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করবেন। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করবেন আমরাও আপনাদের সহযোগীতা করব।

পরিচিতি সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিতে¦ সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভ‚ইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু।

আব্দুল হাই আরো বলেন, আওয়ামীলীগ অনেক বড় দল যার কারনে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয় না। অনেকে কমিটিতে অন্তর্ভ‚ক্ত না হওয়ার কারনে মনক্ষ‚ন্ন হয়ে পরেন। এটা আমার দৃষ্টিতে মোটেও উচিত নয়। সবাই আওয়ামীলীগের একটি পরিবারের সদস্য। সবাই মিলেমিশেই কাজ করা উচিৎ।

যে চক্র আমার নেতাকে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে যে চক্র আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে যে চক্রটি ১৬ই জুন চাষাড়া আওয়ামীলীগের অফিসে বোমা হামলা করে ২২ জনের প্রান কেড়ে নিয়েছে অনেকেই পঙ্গু হয়েছে সে চক্রটি আবারো মাথাচারা দিয়ে উঠার চেষ্টা করেছে। তাদের প্রতিহত করতে আমাদের আওয়ামীলীগের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, ওয়ালী মাহমুদ খান, একে এম শহিদুল ইসলাম, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, গিয়াস উদ্দিন, আশরাফুল আলম, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহমেদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোশরাফ উদ্দিন আহমেদ মাসুম, আব্দুল মান্নান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের রানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ দেওয়ান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতি প্রধান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এম এ ছাত্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আফজাল উন নূর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আলম মাসুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাছিমা আক্তার বিউটি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রতন, শ্রম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজিব হোসেন মিঠু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহান শরিফ বিন্দু, কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন মেম্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রমূখ।

রাষ্ট্রের কল্যাণে কোরআনের মাহফিল বেশি করার সুযোগ দিন . পীর সাহেব জৈনপুরী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বনাথের আনরপুর বিশঘর গ্রামের পূর্বের মাঠে বয়ান পেশ করলেন মুফতি ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যত বেশি কোরআনের মাহফিলের সুযোগ দেয়া হবে, তত বেশি রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে। কোরআনের প্রভাব ব্যক্তি জীবনে প্রবাহিত হলে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক উপকার হবে।

তিনি বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার এদেশে মহামারি করোনা আক্রমণ চালাতে পারেনি। বুঝে নিতে হবে এদেশে আল্লাহর রহমত রয়েছে। তাই বৈশাখী উপলক্ষে মঙ্গল শুভা যাত্রাসহ সকল কুসংস্কৃতি অপসংস্কৃতি বন্ধ করে আল্লাহর কোরআনের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। কোরআন সুন্নার আলোকে দেশ পরিচালনা করুণ। আমরা বিশ্ব নবীর উম্মত। নবীর আদর্শ অনুস্মরণ করতে হবে। অন্যথায় দেশে গুজব শুরু হয়ে যাবে। আজ কাল আলিম উলামাদের মাহফিলে আসার পূর্বে শর্ত দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু শর্ত দিয়ে আলিম উলামারা ওয়াহ করতে পারেনা। এসব শর্ত বাতিল করে নির্বিঘ্নে কোরআনের মাহফিল করা সুযোগ করে দিতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পূর্ব নির্ধারিত ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান করছিলেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশাহিদ আলী সভাপতিত্বে ওয়াজ মাহফিলে কোরআন তেলোয়াত করেন  পীরজাদা ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দীকি। আরো দেশ বরেন্য উলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করেন।

আলোকিত বক্তাবলী’র সাবেক আহবায়ক মাশফিকুর রহমান শিশিরের মাতৃবিয়োগ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আলোকিত বক্তাবলী’র সাবেক আহবায়ক মাশফিকূর রহমান শিশিরের মা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।

রবিবার ( ১৭ জানুয়ারী ) নারয়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লা বক্তাবলী পশ্চিম রামনগরের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ৬ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রবিবার (১৭ জানুয়ারী ) বাদ যোহর নিহতের গ্রামের বাড়ি রামনগর ঈদগাহ্ মাঠে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রামনগর পশ্চিম পাড়া কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার ছোট ছেলে মাশফিকূর রহমান শিশির।

এম শওকত আলী চেয়ারম্যানকে বক্তাবলীর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফুলেল শুভেচ্ছা

নিউজ  প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নবগঠিত  পূর্নাঙ্গ কমিটিতে ভিপি আলমগীর কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায়  বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আলহাজ্ব এম শওকত আলীর ফতুল্লার নিজস্ব বাসভবনে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন, বক্তাবলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. রফিক নান্নু, মো. সালেহ আহম্মেদ সানী, মো. জামাল হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন ও মো.সামছুল আলম প্রমূখ।

স্ত্রী লিপি ও ছেলে অয়ন ওসমানকে কমিটি থেকে বাদ দিতে শামীম ওসমান’র চিঠি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে নিজের স্ত্রী লিপি ওসমান ও ছেলে অয়ন ওসমানের নাম ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে বাদ দিতে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাশালী এমপি শামীম ওসমান। তার এ সিদ্ধান্তের প্রতি সহমত পোষণ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।

সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের পর প্রকাশ পায় ওই কমিটির ১নং থেকে ৩নং কার্যকরী সদস্যের তালিকায় রয়েছেন শামীম ওসমান, তার স্ত্রী ও জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি ও জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়ন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও তাদের তিনজনের পরিবর্তে অপর তিনজন ত্যাগী নেতার নাম দিয়ে মূল্যায়িত করার মত দিয়েছেন শামীম ওসমান। এ বিষয়ে ১৩ জানুয়ারি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত পত্রও দিয়েছেন শামীম ওসমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী। পাশাপাশি যুগান্তরের কাছেও চিঠিটি হস্তগত হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগকে দেয়া শামীম ওসমানের ওই চিঠিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে তিনিসহ স্ত্রী ও ছেলের নাম রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি লিখেছেন- ‘আমি ও আমার পরিবার মনে করছি, ফতুল্লা থানা এলাকায় আমাদের চেয়েও ত্যাগী, যোগ্য ও রাজপথের অসংখ্য সক্রিয় নেতাকর্মী রয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আমাদের মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছেন। আমরা মনে করি, ওই তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে আমাদের পরিবর্তে উল্লেখিত ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে আপনারা তিনজনকে নির্বাচন করে তাদের মূল্যায়িত করলে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হব।’

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী যুগান্তরকে জানান, এমন চিঠি দিয়ে শামীম ওসমান ও তার পরিবার আবারো মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। শামীম ওসমান প্রমাণ করেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি কতটা আবেগ ধারণ করেন। আমরা তার এ আবেগকে সম্মান জানাই। তবে বিষয়টি আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে শামীম ওসমান এমপি যুগান্তরকে জানান, কর্মীরাই দলের প্রাণ। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন- আমাদের চেয়েও যোগ্য ও ত্যাগ শিকার করা বহু নেতাকর্মী রয়েছেন, যাদের মূল্যায়ন করা উচিত।

জানা গেছে, শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম। প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কঠোর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। মূলত তার কারণেই নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ মডেল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগে কোনো পদে না থেকেও বিভিন্ন সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচিত হয়েছেন শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি। বিশেষ করে করোনাকালে তার ভূমিকা উঠে এসেছে জাতীয় গণমাধ্যমেও।

নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নাম আ’লীগ কমিটি থেকে বাদ দিতে শামীম ওসমানের চিঠি

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এ পরিবারটির অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। ওসমান পরিবারের প্রাণপুরুষ খান সাহেব ওসমান আলী ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে (নারায়ণগঞ্জ দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা) ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহকে পরাজিত করে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন এম ওসমান আলী। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এজন্য তিনি কারারুদ্ধ হন। ১৯৬২ সালের শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ওসমান আলী সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে একেএম শামসুজ্জোহা ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করে জনমত গঠন ও তহবিল সংগ্রহে একেএম শামসুজ্জোহা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম বেতার ভাষণ প্রদান করেন এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন একেএম শামসুজ্জোহা।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর মন্ত্রিত্ব গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তাকে ১৮ মাস কারাবন্দি রাখা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ২০১২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। তার স্ত্রী নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক।

এই পরিবারেরই বড় সন্তান একেএম নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির হয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরিবারের মেজো সন্তান সেলিম ওসমান একাধারে ব্যবসায়ী নেতা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬, ২০১৪ এবং সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাবশালী এই নেতা। (সূত্র যুগান্তর)

বক্তাবলীর রাজাপুর স:প্রা:বিদ্যালয়টি সভাপতি ইব্রাহীমের ব্যর্থতায় ধ্বংসের পথে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ। যে কোন মুহূর্তে ধ্বসে যেতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী  বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিলের চরম অযোগ্যতার কারনে নতুন ভবন নির্মানের টেন্ডার পাশ হলেও টেন্ডার বহিভূর্ত ভবন নির্মান কাজ করায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর তা বাতিল করে দেয়।

একটি সুত্র হতে জানা যায়, ১৯৩৯ সালে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।বর্তমানে উক্ত স্কুলে ২৪৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। কক্ষ স্বল্পতার কারনে ১৯৩৯ সালে নির্মানাধীন টিনের ঘরে চলে বিদ্যালয়ের কাজ। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির কারনে দিনদিন শিক্ষার মান নিন্মস্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।

২০২০ সালে নতুন ভবন নির্মান কাজের টেন্ডার পাশ হয়। শর্ত ছিল স্কুলের ভবন দক্ষিণ মূখী হবে। কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিল ও সমাজের কয়েকজন মাদবর মিলে উত্তর মূখী করে ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। টেন্ডার বহিভূত ভবন নির্মান কাজ শুরু করায় উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে  নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। কোমল মতি শিশুরা স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতো। বর্তমানে মাঠটি গর্ত করে রাখায় শিশুরা খেলাধুলা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সভাপতির অযোগ্যতায় টেন্ডার পাশ হওয়ার পরেও বাতিল হয়ে যায়। শিশুদের খেলার মাঠ বন্ধ করে স্কুল ভবন নির্মান করার পায়তারা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লোকমান হোসেন জানান, যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ভবন নির্মানের জন্য আগের ইউএনও ২০ লাখ টাকা দিয়েছিল বর্তমান ইউএনও তা বন্ধ করে দেয়। এটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন এখন আর সম্ভব নয়। স্কুল বন্ধ রয়েছে।

সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন এজন্য দায়ী ইঞ্জিনিয়ার। করোনার কারনে রেজাল্ট খারাপ। স্কুল খোলার পর সব ঠিক হয়ে যাবে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, একটু সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে যায় তবে দ্রুত ভবন নির্মান কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

এম শওকত আলী ও হাকিম চৌধুরীকে কানাইনগর পঞ্চায়েত কমিটির ফুলেল শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নবগঠিত  পূর্নাঙ্গ কমিটিতে আলহাজ্ব মো. হাকিম চৌধুরী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলী ও মো. হাকিম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তাবলী পরগণার কানাইনগর পঞ্চায়াত কমিটির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বক্তাবলী ফেরীঘাটস্থ আলহাজ্ব এম শওকত আলীর নিজস্ব কার্যালয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মো. খোরশেদ আলম মাস্টার, বক্তাবলীর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রাসেল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন, মো. মোতালেব মাদবর, মো. কামরুল হাসান রিয়াদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হালিম, মো. মাসুম গাজী, মো. সালাউদ্দিন, মো. মালেক ও মো. আমান মিয়া প্রমূখ।

ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ফতুল্লায় মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় (ঢাকা বিভাগীয়) কমিটির সঙ্গে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা- কর্মীদের সাথে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফতুল্লা ডি,আই,টি মাঠ সংলগ্ন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বাস ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ।

এ সময় প্রধান অতিথি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাদের এখানে কারো ব্যক্তি, চেহারা বা অবস্থান নির্ণয় করে নির্বাচন করবো না।আপনেরা অনেকেই অনেক মামলা হামলা, জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন দেখেছি। আপনাদের এখানে ১৬ বছর ধরে কোন নতুন কমিটি নেই।তাই আমরা অতীতে যারা মাঠ পর্যায় জোড়ালো ভাবে কাজ করেছে, মামলা,হামলা ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছে তাদের থেকে মূল্যায়ন করে নেতা নির্বাচিত করবো। এবং এখানে বর্তমান অস্থায়ীভাবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি করবো।আমাদের দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পূর্বের ন্যায় আপনেরা সবাই রাজপথের এক সাথে কাজ করবেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিরোধ, প্রতিবাদ এই নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই শুরু হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ, গণঅভার্থান এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে।আর আমাদের নেতা তারেক জিয়া দেশে গনতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছে। ১৯৭১ সালে ৩০ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলেও এখনো দেশের মানুষ স্বাধীন না কারন এখনো বাসায়, অফিসে বসে কোন মিটিং মিছিল করলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে তাও ভোট চুরির মাধ্যমে। জনগনের ভোটের অধিকার বিএনপি ফিরিয়ে দিবে না।আপনাদেরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।আর তাই জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নেতার নির্দেশে আমরা অতীতের জেল জুলুম, মামলা হামলায় মাঠে যারা কাজ করছে তাদের এনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাজ করছি।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার সাদাত সায়েম বলেন,আজকে আমরা কর্মী সভায় সবাই উপস্থিত হয়েছি একটি নতুন কমিটির জন্য।ফতুল্লা থানা নেতাকর্মীরা অতন্ত নিষ্ঠাবান, শৃঙ্খল ও কর্মঠ।তাই আপনাদের কাজের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা মূল্যায়ন করে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে।যারা মাঠ পর্যায় কাজ করে জেল জুলুম, মামলা হামলার শিকার হইছে তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে কোন ব্যক্তি বা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। আমাদের নেতা তারেক জিয়ার নির্দেশ মোতাবেক আপনাদের থেকে নেতা নির্বাচিত হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এবং ফতুল্লা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক পদে জাকির হোসেন রবিন, জহিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন পায়েল, ফারুক হোসেন সানি, আনোয়ার হোসেন গাজী, রাসেল মাহমুদ, জাকির হোসেন রবি, কাজী মাজেদুল হক মোট ৬ জন এবং সদস্য সচিব পদে আমিনুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আলী, মতিউর রহমান ফকির, হারুন অর রশিদ হারুন, এস কে শাহীন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ মোল্লা, মুক্তার হোসেন, পিন্টু, এস এম দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগসহ মোট ১৩ প্রার্থীর বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা শুনেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক জুলফিকার হোসেন জনি, সালাউদ্দিন শাহীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকরামুজ্জামান টুকন, মোঃ শরিফ ফেরদৌস। উক্ত কর্মী সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক আলমগীর হোসেন শামীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন জুয়েল কুমিল্লা উত্তরের ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা প্রমূখ।

বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করবেন না: দিহানের মা 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তে সময় কাটাতে বাসায় আনুশকাকে ডেকেছিল বলে গণমাধ্যম বরাবর পাঠানো খোলা চিঠিতে অভিযুক্ত দিহানের মা সানজিদা সরকার দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

খোলা চিঠিতে দিহানের মা বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি আমার বাসায় আমার ছেলে দিহান ও ওর বান্ধবী অরনা আমিনের ঘটনায় আমি হতবাক। একজন মা ও নারী হিসেবে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। গত দুদিন আমি কোনো সংবাদমাধ্যমে কথা বলিনি।

কারণ, আমি পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেছি। দিহানের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার ছেলের ধর্ষণ এবং হত্যার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা মা হিসেবে জানার চেষ্টা করেছি। একজন নারী হিসেবে কোনো কিশোরীর অসম্মান হোক বা ধর্ষিত হোক- কখনো চাই না।

৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আমি আমার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাওয়ার জন্য দিহানকে বাসায় একা রেখে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমার অন্য ছেলে নিজের কর্মস্থলে ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি মডার্ন হাসপাতালে দিহানের বান্ধবী মারা গেছে। দিহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

দ্রুত ঢাকায় এসে দেখি পুলিশ আমার বাসায়। জানলাম মেয়েটি আমার বাসায় দিহানের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষিত হয়েছে এবং মারা গেছে। মা হিসেবে আরও আগে থেকেই একটু আন্দাজ করতে পেরেছি, আমার ছেলে কোনো একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে।

কিন্তু কোন মেয়ের সঙ্গে, তা জানা ছিল না। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মেয়েটির ‘Aurna Amin’ নামের ফেসবুক আইডিতে দিহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, দিহানকে নিয়ে কবিতা লিখা ইত্যাদি দেখে মনে হলো এই মেয়েটির সঙ্গেই দিহান সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি ধারণা করছি, আমি বাসা থেকে বের হওয়ার পর দিহান মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটি আমার বাসায় আসে।

দিহানের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ছিল বিধায় মেয়েটি আমার বাসায় এসেছিল। আমি মনে করি, ধর্ষণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে দিহান মেয়েটিকে বাসায় ডাকেনি। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। সেই হিসেবে একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্যই হয়তো ডেকেছিল। উভয়ের বয়স কম। একজন নাবালিকা এবং আমার ছেলেরও বয়স ১৮ বছর ৭ মাস অর্থাৎ কিশোর। আবেগের বশে উভয়েই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল এবং অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে।

আমার ছেলে ধর্ষক বা হত্যাকারী হলে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত কিন্তু সে তা করেনি। সে নিজে গাড়ি করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েটির মাকে ফোন করেছে, পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। আমার ছেলে যদি মেয়েটির সঙ্গে অন্যায় করে তাহলে একজন নারী হিসেবে আমিও আমার ছেলের যথাযথ বিচার হোক সেটা চাই।

কিন্তু মেয়েটির ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা এবং একমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই রক্তক্ষরণ ও মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমি বিশ্বাস রাখতে চাই এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে চাই। বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক বা হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত না করার জন্য সমাজের সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বলেন, ধর্ষণ এবং হত্যার আগে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং বয়স নির্ধারণের জন্যও তার নমুনা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে।

  1. এর আগে গত ৮ জানুয়ারি দিহান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবিন্দ দিয়েছে। বর্তমানে দিহান কারাগারে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন।