২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 66

চতুর্দিকে শকুনরা আকাশে উড়তেছে- শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, ‘সব জায়গাতেই দুই নম্বরে ভরে গেছে। দুই নম্বরের ঠেলায় এখন আর এক নম্বররা সামনে আসতে পারে না। নারায়ণগঞ্জে আমি অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধা দেখি, হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না। ঘরে খাওয়া নাই। আর যারা মুক্তিযোদ্ধার পর বেনিফেট নিয়েছে তারা ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বক্তাবলী  এলাকার লক্ষীনগর বধ্যভূমি ‘বক্তাবলী গণহত্যা দিবস’ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধারা কোনো সময় নিজের নাম বেচে না। আমার বাবা, আমার ভাই সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আজকে আমারও শহীদ পরিবার হওয়ার কথা। কিন্তু লাকিলি আমরা শহীদ পরিবার সন্তান না অথবা আনলাকিলি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে প্রথম ইয়ার অ্যাটাকে ভারতীয় বাহিনীর সাথে নিজের পিতা সামসুজ্জোহা নেতৃত্ব দিয়েছেন জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশে ঢোকার পরে, রেডিও বাংলাদেশে, হাইকোর্টে, সব জায়গায় জাতীয় পতা উঠিয়েছিলেন আমার আব্বা। এবং রেডিওতে ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে, আপনারা সবাই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে থাকেন’। এরপরই তিনি গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে মুক্ত করার জন্য। যারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আটকে রেখেছিলো তারা জানতো যে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, আমার আব্বা চুরুট খেতেন। চুরুট খেতে খেতে তিনি যাচ্ছিলেন সাদা পাঞ্জাবি পরা সাথে ছিলেন ভারতীয় জেনারেল। সে লক্ষ্য করেছিলো পাকিস্তানি মেলেটারিরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল না যেন মেশিনগান দিয়ে গুলি করেছিলো আমার বাপকে, ওই চুরুটকে লক্ষ্য করে। ওই জেনারেল বাবাকে টান দিয়ে সরিয়ে দেন, গুলিটা আব্বার বুকে লাগেনি। তারপর আমার বাবা কিন্তু ফিরে আসেননি, অই অবস্থাতেই সামনে এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা তখন ইন্ডিয়া থেকে ফিরছি। আমরা জানতাম আমার আব্বা মারা গেছেন। আমার মা অলরেডি হাতের চুড়ি খুলে ফেলেছেন। কিন্তু সাহস হারান নাই। এই ঋন কেউ শোধ করতে পারবে না। এই ঋণ শোধ হবে যদি মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকে, যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান না করে।

‘চতুর্দিকে শকুনরা আকাশে উড়তেছে’ মন্তব্য করে সাংসদ বলেন, আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব কঠিন একটা সময় আসছে। সব চেয়ে কঠিন সময়। এই সময় ছোবল মারার চেষ্টা হবে। ওয়ান বুলেট, ওয়ান টার্গেট। আর সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া একটা সম্পদ শেখ হাসিনা।

‘আমি মরে গেলে কিছু আসবে যাবে না। হয়তো কেউ দু চারদিন কাঁদবে, কেউ আবার খুশিই হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি গভীর ভাবে চিন্তা করি, রাতের বেলা উঠে নামাজ পড়ি উনার জন্য। যে, এই মহিলার যদি কিছু হয়ে যায়! বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশ ৫০ বছর পিছায়ে গেছে। আজকে আমাদের প্রতিযোগিতা থাকার কথা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উপরে, জাপানির সাথে। সেখানে আমরা কোথায় চলে গিয়েছিলাম?

তিনি বলেন, কত বড় ঈমানদার জাতি আমরা। যে লোকটা সারাজীবন সংগ্রাম করে দেশটা স্বাধীন করলো, সে লোকটাকে একরাতে সবাইকেসহ মেরে ফেললাম! আমরাইতো মারছি। বাইরের লোকতো এসে মারে নাই। পাকিস্তান সাহস পায় নাই মারতে। আমরা বাঙালিরাই মারলাম। তার পুরো বংশ নির্বংশ করে ফেললাম। দুুটি মেয়ে দেশের বাইরে ছিলেন তাই বেঁচে গেছেন। আমি তাকে (শেখ হাসিনা) ভালোবাসি কেবল আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবে না। আমি ক’দিন রাজনীতি করবো, এমপিগিরি করবো আমি নিজেও জানি না। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ। রাজনীতি করতে আসছি, ধান্দা করতে আসি নাই।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. শওকত আলী, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ও মোহর আলী প্রমূখ।

বক্তাবলী শহীদ দিবসে আলো‌কিত বক্তাবলীর’ বি‌ভিন্ন কর্মসূচী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৯ নভেম্বর ‘বক্তাবলী শহীদ দিবস’ দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন-আলোকিত বক্তাবলী। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সকালে শোকর‌্যালী ও কানাইনগরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আলোকিত বক্তাবলী’র সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আ‌লো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌ন সকাল ৮ টায় শোক র‌্যালী শে‌ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হ‌বে। ক‌মি‌টির সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদ‌কের নের্তৃ‌ত্বে সাধারণ সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্য‌ক্তিবর্গদের নি‌য়ে দিবস‌টি পাল‌ন করা হ‌বে।

আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.না‌জির হো‌সেন বলেন, আলোকিত বক্তাবলী সামা‌জিক সংগঠন হি‌সে‌বে নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি আলোকিত নাম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষীনগ‌রের পূর্বপাড়ায় গণকবরটিকে বধ্যভূমি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। এই স্বীকৃতি আদায় ও এ দিন‌টিকে “বক্তাবলী দিবস হি‌সে‌বে জাতীয় স্বীকৃ‌তির জন্য আলোকিত বক্তাবলী নিরলস কাজ করে যাবে। সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার ম‌ধ্যে বক্তাবলীকে একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সেই সাথে সংগঠনের সকল কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাধারণ সদস্য ও সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

‘বক্তাবলি শোক দিবস’পালনে বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন প্রস্তুতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৯শে নভেম্বর ‘বক্তাবলি শোক দিবস’পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

১৯৭১ সনের ২৯শে নভেম্ববরের এই দিনে বক্তাবলিতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনির এক সমরাস্ত্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। সেই মুখোমুখি সংঘর্ষে বক্তাবলি পরগনার ১৩৯ জন লোক শহিদ হয়েছিলেন। সেই থেকে এই দিনটিকে বক্তাবলির মানুষ তাদের শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রতি বছর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষে দোয়া মিলাদ ও শহিদ বেদিতে পুষ্প অর্পন করা হয়।

দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন দিন ব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তাদের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে অসহায় শহিদ পরিবারকে আর্থিক সন্মাণনা প্রদান, শহিদদের জন্য মিলাদের মাধ্যমে দোয়া প্রার্থনা ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পন করার সিদ্বান্ত গৃহিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ২৭ নভেবর (বুধবার) বাদ মাগরিব বক্তাবলীর লক্ষীনগর নিজস্ব কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি জামালউদ্দিন বারি, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি এম এ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ আলী ও সহ সাধারন সম্পাদক রাজিব হোসেন সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অটোরিক্সা চালক খুন

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে হারুন (২৮) নামের এক অটোরিক্সা চালক খুন হয়েছে। ২৩ নভেম্বর(শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় বক্তাবলীর ফেরীঘাটের কাছে মুড়ির কারখানার সামনে এই হত্যাকান্ড ঘটে।

পুলিশের ধারনা রাত সাড়ে নয়টার দিকে হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে। নিহত হারুন, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন বাসাটি গ্রামের ইমান হোসেনের ছেলে। সে ফতুল্লার এনায়েতনগরের শাসনগাঁও এলাকার গণি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত।

নিহতের স্ত্রী শারমিন জানায় , তার দুই মেয়ে লামিয়া (৩), মীম (৮)। সে অটো রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাত। হত্যাকান্ডের  কয়েক ঘন্টা আগে তার এক বন্ধু তাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে ।  তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাাতে যুবকটি নিহত হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে পরে জানাতে পারবে। আসামী যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুজে বের করা হবে।

না:গঞ্জ কারো বদলামের দায়িত্ব নিবে না ডিআইজিকে শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান  বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি  হাবিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইতিহাসের সময় থেকেই রাজনীতিতে মসজিদের ঈমাম, পীর সাহেব আরম্ভ করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে ভালো খারাপ থাকবেই।

নারায়ণগঞ্জে আমরা ভালো মানুষ নিয়ে চলি। নারায়ণগঞ্জ কারো বদনামের দায়িত্ব নিতে চায় না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভালো কিন্তু বদনাম অন্য কেও এসে দিয়ে যায়। এটা আমরা হতে দিবো না। কারণ নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম, এখানেই আওয়ামীলীগের সৃষ্টি। নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর ছিল, নারায়ণগঞ্জ শেখ হাসিনার আছে, নারায়ণগঞ্জ শেখ হাসিনার থাকবে। আশা করি এই ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নিবেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ফতুল্লা ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ জাতীয় স্কুল কাবাডি (বালক-বালিকা) প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলা মনকে আনন্দ দেয়। আমি যখন এখানে আসছিলাম আমার মনটা ভালো ছিল না কিন্তু এতোক্ষণে এই খেলা মনটাকে ভালো করে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করেছেন। ওনি বেশ কিছুদিন যাবৎ এখানে আছেন। অনেক ময়লার মধ্যে থেকেও নিজেকে পরিষ্কার রেখেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ।

তিনি কাবাডি খেলোয়ারদের বলেন, কাবাডি খেলাটা হইলো মূলত প্রতিপক্ষকে ঠিক মতো ধরা। আশা করি তোমরা ঠিক মতো ধরে ভালো করে খেলবা। জাতীয় খেলা কাবাডির সম্মান রাখবা। নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়া সংস্থা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক বছর যত খেলা হবে সবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে হবে, তার সম্মানে হবে।

নারায়ণগঞ্জের সকল সাংসদ ও মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা নারায়নগেঞ্জর জন্য সবাই এক সাথে কাজ করব। আমরা নারায়ণগঞ্জের ৫ জন এমপি জেলার ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য কাজ করব।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি  হাবিবুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ।

নারায়ণগঞ্জে মহানবীর(সা:) পবিত্র দাড়ি মোবারক প্রদর্শন

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ চত্বরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর পবিত্র দাড়ি মোবারক প্রদর্শন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমআর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে এ প্রদর্শনী শুরু হয়। আসর নামাজের পূর্ব পর্যন্ত এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয় সর্বসাধারণের জন্য। এ সময় মহানবী (সা.) এর দাড়ি মোবারক দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। এসময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘মহানবী (সা.) এ দাড়ি মোবারক সুদূর মিসর থেকে মাদানি চ্যানেলের আয়োজনে বাংলাদেশে আনা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর আমন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শওকত চেয়ারম্যানের ছায়াতলে থেকে রাজনীতি করতে চাই- খোরশেদ আলম মাস্টার

পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক খোরশেদ আলম মাস্টার।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত খোরশেদ আলম মাস্টার।

খোরশেদ আলম মাস্টার ১৬ বছর যাবৎ ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর ছায়াতলে এসে আশ্রয় নেন। সেই থেকে আছেন শওকত আলীর সাথে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

খোরশেদ আলম মাস্টার শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় মানুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক আদর্শ মাটি ও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

খোরশেদ আলম মাস্টার ১৯৮৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। ২০০৩ সালে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের ছায়াতলে থেকে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু। সেই থেকে আজো পর্যন্ত আছেন এই দলে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির সভাপতি,৫৫ নং কানাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, কানাইনগর দক্ষিন জামে মসজিদের মোতোয়াল্লী ও সাধারণ সম্পাদক, কানাইনগর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য, বক্তাবলী ফরায়েজি জামায়াত কার্যকরী কমিটির সদস্য, কানাইনগর কবরস্থান কমিটির সহ সভাপতি ও রাজনগর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

এ ছাড়াও কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভাণিং বডির সদস্য  হিসেবে ইতিপূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন।

খোরশেদ আলম মাস্টার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে তার কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী  সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনায় আগামীর পথ চলতে চাই। আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরা  আমাকে যদি বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন তাহলে সততার সাথে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করে তুলবো।

বক্তাবলীতে রোগী রেখে পালিয়ে গেল রাজিয়া নাসিং হোমের মালিক

নিউজ প্রতিদিন: অভিযানের খবর পেয়ে রোগী রেখে পালিয়ে গেল ফতুল্লার বক্তাবলী বাজারস্থ চাঁন প্লাজায় রাজিয়া নাসিং হোমের মালিক রাজিয়া আক্তার। বক্তাবলী বাজার এলাকায় ওই ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ক্লিনিকটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। কিন্তু দলটির বক্তাবলী এলাকায় আসার খবর পেয়েই পালিয়ে যায় রাজিয়া আক্তার।

তবে দুইদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র দাখিল করতে না পারলে ক্লিনিকটি সীলগালা করা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছে মেডিক্যাল টিম। ক্লিনিকটি ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর জিম্মায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

অভিযান টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন-টেকনোলজিস্ট আবুল হাশেম, পরিসংখ্যানবিদ আনোয়ার হোসেন।

ইতোপূর্বেও কয়েক দফা এই ক্লিনিকটি সীলগালা করা সহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজন কারণে এসব অভিযানের পরেও ক্লিনিটকি সচল ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ বলেন, মালিকপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেছে। তাদের না পাওয়া যাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে ভবন মালিককে বলা হয়েছে, যদি এ প্রতিষ্ঠানের কোন বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা দাখিল করতে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বক্তাবলী বাজারের পপুলার সেন্টারটিও পরিদর্শন করা হয়। তাদের কাগজপত্র ঠিক আছে।

তারেক জিয়ার জন্মদিনে বক্তাবলীতে ছাত্রদলের মিলাদ ও দোয়া

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বাদ এশা বক্তাবলীর কিং বার্গার চাইনিজে এই আয়োজন করা হয়।

মিলাদ ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.মিলন মেহেদী,ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো.রাসেল প্রধাণ,বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মো.হৃদয় ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মো.রাহাত প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তাবলীতে দুই হাজ্বী গ্রুপের সংঘর্ষে গ্রেফতার ৩

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীর এলাকার আকবরনগরে  সামেদ আলী হাজ্বী ও আব্দুর রহিম হাজ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে। রহিম হাজ্বীর ভাইয়ের বাড়ীর পাশের পরিত্যক্ত জায়গা হতে ৩০ টি টেটা উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

সামেদ আলী হাজ্বী ও রহিম হাজ্বীর  গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার ( ক -অঞ্চল) ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার  অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী বাহিনীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টার ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

রহিম হাজ্বীর লোকজনের দাবী রহিম হাজ্বীর ভাতিজা জিহাদ ও  আল আমিন তার দোকান থেকে মাল সরিয়ে আনতে গেলে সামেদ আলীর লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে রহিম হাজ্বী ঘটনাস্থল গেলে তাকে মারধর করে সামেদ আলীর লোকজন।রহিম হাজ্বীর ইটভাটার শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ইটভাটা হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আকবর নগর পুলিশ বক্স সামেদ আলীর পক্ষে কাজ করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

সামেদ আলীর স্ত্রী জানান,জসিম নামে আমার এক আত্বীয় গাছ কাটতে গেলে রহিমের লোকজন জসিমকে মারধর করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সামেদ আলীর পুত্র গনি,রাজিবের নেতৃত্বে আলমগীর, হৃদয়,গফুর,জালাল,আলাউদ্দিন, জসিম সহ আরো ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়। পরে রহিম হাজ্বীর রাজু,কবির ও নবীর নেতৃত্বে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে তেমন রক্তক্ষয় না হলে ও উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়। এরা হলেন রাজু ও ইউসুব আলী।

রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,আজ সামেদ আলী ৫ লাখ টাকা রহিম হাজ্বীকে দেয়ার কথা ছিল। টাকা না দেয়ার জন্য মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।

পুলিশ রহিম হাজ্বীর পুত্র মিলন,বোনের ছেলে এরশাদ, আনোয়ার হোসেন ও সিয়ামকে আটক করে। তবে আকবরনগর এলাকার অনেকেই জানান,জয়নাল হত্যা মামলার আসামীরা সবাই জামিনে বের হয়ে এগেন আবারো পুরো এলাকাতে তান্ডব চালাচ্ছে যা স্থানীয়রাসহ পুলিশও দেখছেন। কিন্তু পুলিশ সামেদ হাজীর লোকদেরকে আটকের পরিবতে নিরাপত্তা দিচ্ছেন আর রহিম হাজীর লোকদেরকে দেখলেও আটক করছেন। পুলিশের এমন ভুমিকা স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ ধারনা দেখা দিচ্ছে।

সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি সাংবাদিকদের জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে।