১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 11

নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে শিক্ষাক্রমকে মুক্ত করার দাবি জানালেন ড.আব্বাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রমকে মুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবীতে তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে পাঠানটুলী আব্বাসী মঞ্জিলের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন- তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ’র আমির এবং জৌনপুরী দরবারের পীর আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্বাসী বলেন, হিজরা বা থার্ড জেন্ডার নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আল্লাহ তা’য়ালা সৃষ্টিগত ভাবেই কাউকে পুরুষ হিসেবে আবার কাউকে মহিলা হিসেবে, আবার কাউকে হিজরা বা থার্ড জেন্ডার হিসেবে সৃষ্টি করেন।

এদেশের মুসলমান হিজরাদের বিপক্ষে নয়, বরং ইসলাম হিজরাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রংপুরে এক হিজিরা এম.পি আসনে ২২ হাজার ভোট পেয়েছে। অথচ সারা বাংলাদেশে হিজরাদের ভোটার মাত্র ৮৫২ জন। তাহলে এই ২২ হাজার ভোট তাকে কারা দিলো? বুঝা যায়, হিজরাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে।
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। এটা ইহুদীদের একটি চক্রান্ত, যা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শয়তানী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
ড. আব্বাসী বলেন, ইহুদীদের এই নিকৃষ্ট মতবাদ প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ইজারাদার হিসেবে কাজ করছে। যার কারনে ড. আসিফ মাহতাবকে তারা চাকরিচ্যুত করেছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী করে আব্বাসী হুজুর দাবী জানান,পাঠ্যবই থেকে শরীফ শরীফার গল্পসহ সকল ইসলাম বিরোধী, নাস্তিকতাপূর্ন পাঠ বাদ দিতে হবে। প্রফেসর আসিফ মাহতাবের চাকুরী ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে পুনর্বহাল করতে হবে। আর ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়া ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায়ভাবে আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুত করার কারনে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুর রহিম সাহেব, হযরত মাওলানা ড. ইমরান সাহেব, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাহেব ও মাওলানা মুফতি সাওবান সাকিব।

সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ পিতাকে মারধর-পিতার সংবাদ সম্মেলন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তির লোভে মারধর এবং বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বৃদ্ধ পিতা সাইজুদ্দিন মিয়া।

২৫ই জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগার প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমার রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় একটি মিল ফ্যাক্টরী আছে। সেই ফ্যাক্টরী এতোদিন যাবৎ প্রথম স্ত্রীর ৩ ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া এবং তারিকুল ইসলামের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছিলাম। তবে তাদের হাতে ব্যবসা পরিচালনা করায় প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছিলো। এক সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরি হয়। এই বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তেমন কোন সদত্তোর দেয় না। উল্টো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট এবং আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। এরপর আমি তাদেরকে ব্যবসা থেকে পৃথক করে দেই এবং আমি নিজে ব্যবসা পরিচালনা করি। এর সাথে তাদেরকে মাসিক টাকা দিয়ে থাকি।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ আমার নিজ নামের একটি জমি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হলে আমার প্রতিষ্ঠানের মেশিন পত্রাদি বিক্রি করে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এদিকে আমাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়। আমি এবং আমার স্ত্রী, সন্তান এবং আমাদের কাজের মেয়েকে তিনদিন আটকিয়ে রেখে কাঞ্চন বাড়ীর মধ্যে। এসময় ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পর রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়ে একটি মামলা করি। বর্তমানে আমি সিদ্ধিরগঞ্জে আমার স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে বসবাস করছি।

সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমাদের থেকে জায়গা লিখে না নিতে পেরে, আমাদেরকে তৈমুর নামে এক ছেলে এলাকার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান লিখনের অফিসে আমার স্ত্রী, পুত্র সহ আসতে বলে। আমার শরীর অসুস্থ্য থাকার কারনে আমার স্ত্রী পারভীন ওসমানের সাথে দেখা করে এবং আমার কথা বলে। এরপর আমি পারভীন ওসমানের অফিসে আসলে আমার ১ম স্ত্রীর সন্তান সহ জৈনিক রিপন ভাওয়াল এবং তৈমুর আমাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারা বলে ‘এটা আইনে আছে, আমার ছেলে মেয়েকে জমি লিখে দিতে হবে’। আমি তখন রাজি হই না এবং আমার উপর হওয়া নির্যাতনের কথা তাদের জানাই। পরবর্তীতে আমাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি আইনজীবী নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন তাই আমি আর সে অফিসে যেতে চাইনা। গলাচিপার সেই অফিসে সবাই মিলে আমাদের সাথে খুব বাজে আচরণ করেছে। আমি ভয়ে আছি আমার এই সন্ত্রাসী ছেলে মেয়েরা আমার বর্তমান স্ত্রী এবং আরেক ছেলে শান্তকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে।

সাইজুদ্দিন মিয়া আরো উল্লেখ করেন, আমার জীবদ্দশায় প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করার পর আমি পুনরায় বিয়ে করি। ১ম স্ত্রীর ঘরে ৬ মেয়ে, ৩ ছেলে সহ মোট ৯ জন সন্তান আছে। ২য় স্ত্রীর ঘরে ১ ছেলে আছে। তার নাম আতিকুল ইসলাম শান্ত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাইজুদ্দিন মিয়ার ২য় স্ত্রী গুলনাহার বেগম, তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী ।

বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজির হোসেন পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ে পূনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নাজির হোসেন। এ নিয়ে এই বিদ্যাপিঠের চতুর্থ বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সারে ১১ টায় স্কুলের অফিসকক্ষে নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন জানান, স্কুল পরিচালনায় গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ১ জন দাতা সদস্য ১ জন, অভিভাবক সদস্য পদে ৪ জন,সংরক্ষিত মাহিলা সদস্য পদে ১ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ২ জন, মহিলা শিক্ষিকা পদে ১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিতরা হলেন-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজগর আলী,দাতা সদস্য মোহাম্মদ নাজির হোসেন, অভিভাবক সদস্য গণ,মো.আবুল বাদশা,মো.সিরাজুল ইসলাম মিন্টু,আবু তাহের জাহাঙ্গীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধিগণ তাপস কুমার মন্ডল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষিকা জেসমিন আরা জুই।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি তোলারাম কলেজ ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে আলোর দিশারি যুব উন্নয়ন সংসদের উপদেষ্টা, আলোকিত বক্তাবলী’র সভাপতি, খিদমাতুল উম্মাহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। এছাড়া একজন সৎ -স্বজ্জন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি থাকায় এলাকায় জুড়ে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এতদিন অত্র স্কুলে সভাপতি হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ নাজির হোসেন বলেন, তিরি পূর্ব চরগড়কূল উচ্চবিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব চরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনের লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারুিখ ছিলো ২১ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর। জমাদান পর্ব শেষ হওয়ার পর গত ২৭ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ করা হয়। তফসিলে ২৯ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং তফসিল ‍অনুযায়ী গত ১৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভূয়া ডাক্তারকে এক বছরের কারাদণ্ড

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নীলফামারীতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম-পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখার দায়ে ফারুক হোসেন রুবেল (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক এক মাসের জন্য সিলগালা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী জেলা শহরের মাধার মোড় এলাকার মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসককে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন রুবেল রংপুর নগরীর ময়নাকুঠি নীলকন্ঠ এলাকার মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ফারুক অন্য এক চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে চেম্বার করে আসছেন- মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। আজ দুপুরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে খবর দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ সাজা দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ২০১০ এর আইন অনুযায়ী ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ভুয়া চিকিৎসককে বসার জায়গা দেওয়ার অভিযোগে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক এক মাসের জন্য সিলগালা করা হয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার ৪২ লাখ টাকাসহ আটক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভুমি শাখায় দায়িত্বরত সার্ভেয়ার ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সাথে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক  অফিসের সার্ভেয়ার মো. কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত,এর আগে গত ১০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে কার্টনটিসহ এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে(ডিসি) অবহিত করা হলে তার নির্দেশে কার্টনসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দকৃত ওই কার্টন খুলে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এরপর টাকা গণনা শেষে জব্দ করা হয়। টাকার কার্টন জব্দের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

জব্দকৃত ৪২ লাখ টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দুদককে একটি চিঠি দেন।

এ ঘটনার বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, গত ১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আউটসোর্সিংয়ের সাবেক কর্মচারী মো. জাহিদুল ইসলাম সুমনের কাছে একটি কার্টন পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রিফাত হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কার্টনে নগদ টাকা থাকার কথা স্বীকার করেন।

দুদক সচিব জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দ তালিকা তৈরি করে দেখা যায়, কার্টনে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়, এতে এক হাজার টাকার ৩ হাজার ৭০০টি নোট এবং ৫০০ টাকার এক হাজারটি নোট পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে ওই টাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জব্দকৃত  ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অর্থ এবং ধারণা করা হচ্ছে এ কার্যক্রমের সঙ্গে আরও অধিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর এ ঘটনায় গত ১৬ ডিসেম্বর দুদকের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার আমেদকে আসামি করা হয়।

এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আসামি সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি জাহিদুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা পলিটিশিয়ানদের তৈরি-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সব সময় পথ দেখিয়েছে। চলুন, আমরা সারা বাংলাদেশকে পথ দেখানোর আহবান জানালেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান এমপি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহবান জানান।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা শুধু নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করতে চাই। এমন একটি নারায়ণগঞ্জ দেখতে চাই, যেখানে রাত ১২টায় আমাদের মেয়েরা যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।

শামীম ওসমান বলেন, এক্ষেত্রে ‘আমাদের প্রশাসনের দরকার নেই। আমরাই এ জন্য যথেষ্ট। তখন দেখবেন, পুলিশ অযথা কাউকে ধরবে না। আর ধরলে কাউকে সহজে ছাড়বে না। কারণ আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করবো। আমি মনে করি, আমাদের সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সমাজের অল্পসংখ্যক খারাপ মানুষের কাছে ৯০ বা ৯৫ শতাংশ খারাপ মানুষ জিম্মি হয়ে থাকে। তবে এই প্রশ্নে আমি আল্লাহ ছাড়া কারও সঙ্গে আপস করবো না। মাথা নত করবো না।

তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা বন্ধ করতে হবে। মূলত মাদক থেকে এই চারটি বিষয় এসেছে। এই মাদক থেকে কিশোর গ্যাং, কিশোর গ্যাং থেকে সন্ত্রাস আর সন্ত্রাস থেকে চাঁদাবাজি ও ভূমিসদ্যুতা এসেছে। এগুলো কারা তৈরি করেছে? পলিটিশিয়ানরা তৈরি করেছে। হয়তো আমার আশেপাশের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। হয়তো অনেক সাংবাদিক জড়িত রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন পেশার হোয়াইট কালারের লোকেরা জড়িত রয়েছে। তারা সরাসরি কাজ করে না, পেছন থেকে কাজ করছে। পুলিশ- প্রশাসন জড়িত রয়েছে।’

সাংবাদিকদের নিয়ে মাঠে নামতে চান উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি মাঠে নামতে চাইছি। আমাকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিকরা কথা দিয়েছিলেন তারা আমার উদ্যোগে থাকবেন। আমি এই কাজটি করছি শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য। আমি আমার কাজ শুরু করতে চাই। আমি কোনও দল দেখবো না এ কাজে, সব দলকে এতে আমন্ত্রণ জানাবো। আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাবো। প্রথমে আমরা নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনে কাজ শুরু করবো। এই দুই আসনে ৮৪টির মতো ওয়ার্ড আছে। আমরা যদি প্রতি ওয়ার্ড থেকে এক হাজার করে লোক নিই তাহলে ৮৪ হাজার লোক হয়। এর সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের যোগ করলে চার লাখ লোক হবে। তারা যদি চান নারায়ণগঞ্জে মাদক বিক্রি হবে না। আমার তো মনে হয় না, কেউ সাহস করতে পারবে।’

শামীম ওসমান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রত্যাশা সংগঠনের ক্লাব করে ‘আমি একা কাজ করে যাবো। আর আমি যখন ভালো কাজ করবো তখন অনেকে এগিয়ে আসবেন। এর মধ্যে অনেকে রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করবে। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে চাই, এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।

শামীম ওসমানের মতে, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও শিক্ষক সমাজ যদি একসঙ্গে এগোয়– আমি বিশ্বাস করি, এক মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কোথাও মাদক বেচা সম্ভব হবে না। আমার মুখ যদি সত্য কথা বলে, আমার ক্যামেরা যদি সত্য কথা বলে এবং কলম যদি সত্যি লেখে তাহলে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নারায়ণগঞ্জকে কলুষিত করার ক্ষমতা কারও নেই।

‘এটি আমাদের নারায়ণগঞ্জ, এটি আমাদের জন্মভূমি– আমরা এখানে মারা যাবো। সুতরাং চলুন, আমরা সবাই সামনের দিকে এগোই। আমি প্রথম দাওয়াতটা প্রেসক্লাবকে দিলাম। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমরা প্রত্যাশা সংগঠনের ক্লাব করবো। এটির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল,রুমন রেজা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম এবং জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।

কে কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলেন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এলো দলটি। ভোটের পর গত ১০ জানুয়ারি দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ হয়। আর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

এদিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

যে মন্ত্রী যে দপ্তর পেলেন-

১. আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

২. ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়

৩, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন- শিল্প মন্ত্রণালয়

৪. আসাদুজ্জামান খান- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৫. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

৬. মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

৭. আনিসুল হক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৮. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৯. সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়

১০. ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

১১. ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

১২. মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৩. স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

১৪. মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

১৫. আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়

১৬. মো. আব্দুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়

১৭. র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

১৮. মো. আব্দুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়

১৯. নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়

২০. আব্দুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

২১. মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়

২২. সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

২৩. জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়

২৪. নাজমুল হাসান- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

২৫. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রীরা কে কোন দপ্তর পেলেন-

১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ

২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জে ৪টিতে নৌকা ১টিতে লাঙ্গল বিজয়ী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকরি ভাবে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহার ভূঁইয়া কেতলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। তৃনমূল বিএনপি তৈমূর আলশ খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পাটির আলমগীর সিকদার লোটন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২শ ৫৬ ভোট। এর আগেও নজরুল ইসলাম বাবু এ আসনের এমপি ছিলেন।

বিজয়ী হয়ে নজরুল ইসলাম বাবু আড়াইহাজারবাসীকে অভিন্দন জানান। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরও অভিন্দন ও শুচ্ছো জানান। অপরদিকে, ভোট শুরুর ১৫ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী কে এম আবু হানিফ হৃদয়।

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী লোকজন তার এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে ভয়ে কেউ তার পোলিং এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না। তাই এমপি বাবুর বলয়ের কাছে আত্মসমর্পন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন তিনি।

আড়াইহাজার উপজেলা, আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ ২ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৪১। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ১৩৯ জন। এখানে হিজড়া ভোটার আছেন ৩ জন।

নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন— নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা, আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (সোনালী আঁশ, তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (গোলাপ ফুল, জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (লাঙ্গল, জাতীয় পার্টি), শরিফুল ইসলাম (ঈগল, স্বতন্ত্র)।

এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন— মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (জাকের পার্টি) ও শরিফুল

ইসলাম (স্বতন্ত্র)। এখানে বাবু ও লোটন ছাড়া বাকীদের প্রচারণা তেমন একটা ছিল না বললেই চলে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাত নৌকা প্রতিকে ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি লিয়াকত হোসেন খোকা লাঙ্গল প্রতিক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট পান। নির্বাচনে কায়সার হাসনাত ৭৬ হাজার ৯২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম মাসুদ দুলালের ঈগল প্রতিক পেয়েছে ২১৪ ভোট, বিএনএম ওয়ারিউল রহমান খাঁন নোঙ্গল পেয়েছেন ২৬৬ ভোট, নারায়ণদাস বিকল্পধারা কুলা প্রতিক পেয়েছেন ১৯১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিমপার্টির আসলাম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আরিফ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট ও তরিকত ফেডারেশনের মুজিবুর রহমান মানিক ফুলের মালা পেয়েছেন ২৮৯ ভোট।

সোনারগাঁয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৬৭ হাজার ১৪৯ জন মহিলা ভোটার ১লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৯জন।  এবার ভোটারদের ভোটার দেওয়ার জন্য ১৩১টি কেন্দ্র করা হয়েছে এসব কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য বুথ তৈরী করা হয়েছে ৭৭১টি।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শামীম ওসমান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৭৫টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল অনুযায়ী লাঙ্গর প্রতীকে সেলিম ওসমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী ফ্রন্টেন চেয়ার প্রতীকের একরামুল হক ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আজ সারাদিন কোথাও বের হইনি। আমি সারাদিন কবরস্থানেই ছিলাম। তারপর পৌনে তিনটার সময় আদর্শ স্কুলে গিয়ে ভোটটা দেই। জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্টের কেউ কেউ চেষ্টা করেছে আমার এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি করে দিতে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার থেকে এসেছে। প্রশাসনে তারা আছে চাকরি করতে পারে। তবে তারা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে ত্রুটি রাখেননি। সিনিয়র নেতাদের সাথে এমন আচরণ করেছেন সামরিক আমলে এমনটা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে যেত।

আমি গতকালই নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলাম উস্কানি দেওয়া হতে পারে। এগুলো না হলে ভোট আরও সাত আট পার্সেন্ট বাড়ত। রোববার রাতে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হবার পর গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচিত প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী ভোটের মাঠে শোচনীয়ভাবে ধরাশায়ী হয়েছেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী উল্লেখযোগ্য।

গতকাল রবিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত এসব প্রার্থীদের বেশিরভাগই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দলের বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে যেসব হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজিতের তালিকায় জায়গা হয়েছে, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তাদের অন্যতম। তিনি পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। আসনটিতে সাতবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া মঞ্জু এই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হারলেন। একইভাবে পরাজিতদের তালিকায় রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত হোন। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, কাস্টিং ভোটের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। এদিকে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশার। তাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। আর ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের নির্বাচনী ফলে পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি কেন্দ্রের ফলে দেখা গেছে, মসিউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা আসাদুজ্জামানের থেকে ২৪ হাজার ২২০ ভোটে পিছিয়ে যান। মসিউর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৬৮ ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮৮ ভোট। এদিকে কুষ্টিয়া-২ (৭৬) (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বড় ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন টানা গত তিনবারের প্রভাবশালী এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এবারের নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে নেমে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। আর আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এক লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কামারুল আরেফিন। ২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হাসানুল হক ইনু।

এছাড়া পরাজিতদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তাকে ধরাশায়ী করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

জানা গেছে, সিলেট-৬ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট। অন্যদিকে হেরে গেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী ড. তৈমূর আলম খন্দকার। এই আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে তিনি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৫০ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গাজী গোলাম দস্তগীর। তিনি ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী।

ঢাকা-১৮ আসনে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিক লাঙ্গল প্রতীকের শেরীফা কাদের। তিনি পেয়েছেন ৬৫৫৫ ভোট। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলে বিজয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরী। মোট ২১৭টি কেন্দ্রের ফলাফলের মধ্যে কেটলি প্রতীকে মো. খসরু চৌধুরী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৮৩১ ভোট। ঢাকার এই আসনটিতে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকে এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৯ ভোট। এছাড়া পরাজিত হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের কাছে হেরে যান। তিনি ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, গামছা প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট পেয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে হেরেছেন রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের একাংশের ঢাকা-১৯ আসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনবারের সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেছেন তিনি। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১৯৩। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (নৌকা) মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। ফলে ৬ হাজার ২৫৬ ভোট বেশি পেয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও হেরেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি ফখরুল ইমাম। তিনি ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলী) জয় পেয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৭৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম সরোয়ার ফোরকান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ এবং টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (নৌকা) পেয়েছেন ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

 

ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী মৃণাল কান্তি পরাজিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।

ফয়সাল বিপ্লব ৬৮৩৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এ এফ এম রফিকুল্লাহ সেলিম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৬ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়াামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

অন্যদিকে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গত দুইবারের টানা সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তাকে নৌকা প্রতীকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এর আগে, মৃণাল কান্তি দাসের নামাজের বিষয় কটুক্তির প্রতিবাদে সোমবার (১ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের ফটকের সামনের গেটে ওলামায়ে মুন্সীগঞ্জ ও তৌহিদী জনতা খতমে নবুওয়ত মারকাজ ইজতিমা নগর, মুন্সীরহাটের পক্ষ থেকে নূর হোসেন নুরানীর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস ১৮ ডিসেম্বর সোমবার প্রতীক বরাদ্দের দিন একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন, তখন মসজিদে যোহরের নামাজ চলছিল। মিছিলের আওয়াজে মুসল্লিদের নামাজে বেঘাত ঘটবে ভেবে তারই একজন দলীয় কর্মী মসজিদে নামাজ চলছে বলে মিছিলের আওয়াজ বন্ধ করতে বলে, এতে মৃণাল কান্তি দাস প্রচণ্ড ক্ষীপ্ত হয়ে পবিত্র ইসলামের প্রতি চরম অবজ্ঞা করেন। তারই দলীয় কর্মীর প্রতি ও নামাজের বিষয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি এবং অশালীন শব্দ ব্যবহার করে নামাজ ও নামাজীদেরকে গালি ও ধমকি দেন।