নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রমকে মুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবীতে তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে পাঠানটুলী আব্বাসী মঞ্জিলের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন- তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ’র আমির এবং জৌনপুরী দরবারের পীর আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্বাসী বলেন, হিজরা বা থার্ড জেন্ডার নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আল্লাহ তা’য়ালা সৃষ্টিগত ভাবেই কাউকে পুরুষ হিসেবে আবার কাউকে মহিলা হিসেবে, আবার কাউকে হিজরা বা থার্ড জেন্ডার হিসেবে সৃষ্টি করেন।
এদেশের মুসলমান হিজরাদের বিপক্ষে নয়, বরং ইসলাম হিজরাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রংপুরে এক হিজিরা এম.পি আসনে ২২ হাজার ভোট পেয়েছে। অথচ সারা বাংলাদেশে হিজরাদের ভোটার মাত্র ৮৫২ জন। তাহলে এই ২২ হাজার ভোট তাকে কারা দিলো? বুঝা যায়, হিজরাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে।
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। এটা ইহুদীদের একটি চক্রান্ত, যা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শয়তানী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
ড. আব্বাসী বলেন, ইহুদীদের এই নিকৃষ্ট মতবাদ প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ইজারাদার হিসেবে কাজ করছে। যার কারনে ড. আসিফ মাহতাবকে তারা চাকরিচ্যুত করেছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী করে আব্বাসী হুজুর দাবী জানান,পাঠ্যবই থেকে শরীফ শরীফার গল্পসহ সকল ইসলাম বিরোধী, নাস্তিকতাপূর্ন পাঠ বাদ দিতে হবে। প্রফেসর আসিফ মাহতাবের চাকুরী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে পুনর্বহাল করতে হবে। আর ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায়ভাবে আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুত করার কারনে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুর রহিম সাহেব, হযরত মাওলানা ড. ইমরান সাহেব, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাহেব ও মাওলানা মুফতি সাওবান সাকিব।