৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 123

হলুদ সাংবাদিকতা কি?

আবুল কালাম আজাদ: “হলুদ সাংবাদিকতা” শব্দটা আমাদের সমাজে খুব প্রচলিত একটা শব্দ।যেটা বলতে আমরা সাধারণত মিথ্যা অপপ্রচার,কা-পুরুষোচিত সংবাদকেই বুঝে থাকি।

হলুদ সাংবাদিকতার জন্ম হয়েছিল সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দুই ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জোসেফ পুলিৎজার আর উইলিয়াম রুডলফ হার্স্টের মধ্যে পেশাগত প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে। এই দুই সম্পাদক তাদের নিজ নিজ পত্রিকার ব্যবসায়িক স্বার্থে একে অপরের অপেক্ষাকৃত যোগ্য সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কর্মচারীদের অধিক বেতনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত কেলেংকারির চাঞ্চল্যকর খবর ছেপে তারা পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। পুলিৎজারের নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ও হার্স্টের নিউ ইয়র্ক জার্নালের মধ্যে পরস্পর প্রতিযোগিতা এমন এক অরুচিকর পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে,সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার পরিবর্তে পত্রিকার বাহ্যিক চাকচিক্য আর পাঠকদের উত্তেজনা দানই তাদের নিকট মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। হলুদ সাংবাদিকতা বলতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপনকে বোঝায়।

এ ধরনের সাংবাতিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। হলুদ সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য হল সাংবাদিকতার রীতিনীতি না মেনে যেভাবেই হোক পত্রিকার কাটতি বাড়ানো বা টেলিভিশন চ্যানেলের দর্শকসংখ্যা বাড়ানো। অর্থাৎ হলুদ সাংবাদিকতা মানেই ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন,দৃষ্টি আকৰ্ষণকারী শিরোনাম ব্যবহার করা, সাধারণ ঘটনাকে একটি সাংঘাতিক ঘটনা বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা, কেলেংকারির খবর গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা,অহেতুক চমক সৃষ্টি ইত্যাদি। ফ্র্যাঙ্ক লুথার মট হলুদ সাংবাদিকতার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন:সাধারণ ঘটনাকে কয়েকটি কলাম জুড়ে বড় আকারের ভয়ানক একটি শিরোনাম করা। ছবি আর কাল্পনিক নক্সার অপরিমিত ব্যবহার।

ভুয়া সাক্ষাৎকার,ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে এমন শিরোনাম, ভুয়া বিজ্ঞানমূলক রচনা আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞ কর্তৃক ভুল শিক্ষামূলক রচনার ব্যবহার। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরানো পরাজিত নায়কদের প্রতি নাটকীয় সহানুভূতি। বস্তুনিষ্ঠতা,যা সত্য তাই সুন্দর। সৎ সাংবাদিকতা এ সত্যেরই আরাধনা করে। নৈতিকতা বলে সাংবাদিকতায় একটি বিষয় আছে যা না থাকলে সাংবাদিকতা আর সাংবাদিকতা থাকে না। সেই নৈতিকতা এ পেশায় এখন বিরল।

ইতিহাসঃ
সংবাদপত্র জগতে ইয়েলো জার্নালিজম শব্দটি এসেছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে। সেই সময়ের দুই বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিকের নাম জড়িয়ে আছে এ ইতিহাসের সঙ্গে। জোসেফ পুলিৎজার এবং উইলিয়াম র‌্যানডল্ফ হার্স্ট লিপ্ত হন এক অশুভ প্রতিযোগিতায়। পুলিৎজার নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ক্রয় করেই ঝুঁকে পড়লেন কিছু কেলেঙ্কারির খবর, চাঞ্চল্যকর খবর, চটকদারি খবর ইত্যাদির দিকে। তিনি একজন কার্টুনিস্টকে চাকরি দিলেন তার কাগজে। তার নাম রিচার্ড ফেন্টো আউটকল্ট। ওই কার্টুনিস্ট ‘ইয়েলো কিড’বা‘হলুদ বালক’নামে প্রতিদিন নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের প্রথম পাতায় একটি কার্টুন আঁকতেন এবং তার মাধ্যমে সামাজিক অসংগতি থেকে শুরু করে এমন অনেক কিছু বলিয়ে নিতেন,যা একদিকে যেমন চাঞ্চল্যকর হতো,অন্যদিকে তেমনি প্রতিপক্ষকে তির্যকভাবে ঘায়েল করত। জার্নাল এবং নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের বিরোধ সে সময়কার সংবাদপত্র পাঠক মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। এক সময় হার্স্ট পুলিৎজারের কার্টুনিস্ট রিচার্ড ফেন্টো আউটকল্টকে ভাগিয়ে নিলেন তার ‘জার্নাল’ পত্রিকায়। শুধু তাই নয়, মোটা অঙ্কের টাকা-পয়সা দিয়ে পুলিৎজারের নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের ভালো সব সাংবাদিককেও টেনে নিলেন নিজের পত্রিকায়।

ওদিকে পুলিৎজার তার পত্রিকায়‘ইয়েলো কিড’চালাতে শুরু করলেন জর্জ চি লুকস নামে আরেক কার্টুনিস্টকে দিয়ে। লুকসও চালালেন‘ইয়েলো কিডস’। দু’জনই পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য স্ক্যান্ডাল কেলেংকারি চমকপ্রদ ভিত্তিহীন খবর ছাপা শুরু করলেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে।

এতে মানগত দিক থেকে দুটি পত্রিকাই ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকল। এর ফলে একটা নষ্ট পাঠক গোষ্ঠী গড়ে উঠল, যারা সব সময় স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারি, চটকদারি, ভিত্তিহীন চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সংবাদ প্রত্যাশা করত। এভাবেই জোসেফ পুলিৎজার এবং উইলিয়াম হার্স্ট দু’জনেই হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে অভিযুক্ত এবং ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রইলেন।

নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংর্ঘষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক।

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ইপিজেডে বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে রপ্তানিমুখি একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা  সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশত শ্রমিক।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে প্রথমে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় সোয়াদ ফ্যাশন নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। সেখান থেকে শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়া হলে আবার ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সাথে আবারও সংঘর্ষ হয়।

এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অর্ধশত শ্রমিক।

সেখান থেকে সাত শ্রমিককে আটকের অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। আহত শ্রমিকদের বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসপি জাহিদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো শ্রমিককে আটক করা হয়নি। তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতন, ছুটি ও ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করায় এবং শ্রমিকদের না জানিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয়া হয়। এতে তারা সড়কে বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভকারী পোশাক শ্রমিকরা জানান, সোয়াদ ফ্যাশনে সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। ৫-৬ মাস ধরে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করছে না কারাখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বোনাস, ছুটি ও রিজার্ভ ফান্ডের টাকাও দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় এসব পোশাক শ্রমিকরা বাসা সংসার চালাতে পারছেন না।

সোয়াদ ফ্যাশনে কর্মরত আরিফ হোসেন ও শ্রমিক সবুজ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। শুনতে পেরেছি মালিক অন্যত্র কারাখানা বিক্রি করে দিয়েছেন। একই সাথে বিগত চার বছরের ছুটি, ফান্ড ও রিজার্ভের টাকাও আমাদেরকে পরিশোধ করা হয়নি। আমরা বেপজার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বলছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।

সোয়াদ ফ্যাশনের অপর শ্রমিক নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ কারাখানা বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। আমরা ঘর ভাড়া দেব কোথায় থেকে আর খাবার জোগাড় করব কোথায় থেকে? আমরা এই মুহূর্তে কোথায় চাকরি পাব? আমাদের পরিবার নিয়ে হতাশায় আছি। আমরা আমাদের সব পাওনা চাই। আমাদের ৫ মাসের বেতনের দাবিতে বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছি।

পোশাক শ্রমিকরা বলেন, অথচ এর আগে মালিক পক্ষ বেতন নিয়ে গড়িমসি করলে আমরা বেপজার কাছে গেলে এই সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ তারা বলছেন তারা কিছুই জানেন না।

এদিকে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা সকাল থেকে ইপিজেড গেট সংলগ্ন আদমজী-ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখায় সকাল থেকেই সড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটিতে একেবারেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের মায়ের মৃত্যুতে সাংবাদিক শাহাদাতের শোক প্রকাশ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদা হক (৭০) এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক যায়যায়দিন ও জাগো নিউজ২৪.কমের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো: শাহাদাত হোসেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহশত নসিব করেন।(আমিন)।

তিনি শোক বার্তায় জানান, ছাত্রলীগ নেতা আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মাহমুদা হক একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। মানুষের সাথে ভাল আচরন করতেন। অসহায় দরিদ্র মানুষকে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করতেন। কখনো তিনি মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলতেন না।

ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদা হক রোববার সন্ধা ৬.৪৫ মিনিট তার নিজ বাড়ি ফতুল্লায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার ছেলে মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগাহি রেখে যান।

নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের পরিচয় সনাক্ত, দুটি মামলা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় চার যুবকের গুলি করে হত্যার ঘটনায় হত্যাসহ পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া চারজনের পরিচয় সনাক্ত হলেও পুলিশ মামলায় চার যুবকের অজ্ঞাত পরিচয় দেখানো হয়েছে। নিহতরা লুৎফর মোল্লা, সবুজ সরদার, ফারুক প্রমানিক ও জহিরুল হক।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে লাশের পোশাক দেখে চারজনের পরিচয় সনাক্ত করেছে নিহতের স্বজনরা। আর নিহত সবুজ সরদার, জহিরুল ও ফারুক প্রমানিক তিনজনই পাবনার আতাইকুলা থানাধীন ধর্মগ্রাম পুষ্পপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আর লুৎফর মোল্লা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার উত্তর আকনবাড়িয়ার কালিবাড়ীর মনসুর মেল্লার ছেলে। সে ঢাকার রামপুরার বাগিচারটেকের এলাকায় বসবাস করে গাড়ি চালাতো।

নিহত লুৎফর মোল্লার স্ত্রী রেশমা আক্তার বলেন, তার স্বামী বাস চালক। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামেন। রাত ১টায় স্বামীর সাথে তার শেষ বারের মতো কথা হয়। এরপর থেকে স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পান। রোববার সকালে টেলিভিশনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৪ জনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে ছুটে আসেন তিনি। পরে লাশ দেখে স্বামীকে সনাক্ত করে।

নিহত ফারুকের বাবা জামাল প্রমানিক বলেন, ১৫ বছর যাবত রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস চালাতো। গত সোমবার ১৫ অক্টোবর ডিবি পরিচয়ে গাউছিয়া থেকে একই গ্রামের ৪ জনকে ধরে নিয়ে যায়। যার মধ্যে ২জনের লাশ আড়াইহাজারের অজ্ঞাতদের মধ্যে পাওয়া গেছে। সবুজ সরদার ও ফারুক প্রমানিক।

সবুজ সরদারের স্বজনরা জানান, খাইরুল সর্দার পেশায় অটোরিকশা চালক। সবুজ ঢাকায় বেকারিতে চাকরি নেয়ার কথা বলে ২ সপ্তাহ আগে গ্রাম ছাড়ে। তার সাথে আরও দুইজন নিখোঁজ আছে কিন্তু মর্গে রাখা দুইজন তারা না বলে খাইরুল সর্দারের ভায়রা জানান।

জহিরুলের শ্বশুর নজরুল বলেন, জহিরুল বেকারীতে কাজ করতো। জহিরুলকে বেকারিতে কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিল ফারুক। ফারুক ছিনতাইতারী চক্রের সাথে জড়িত বলে শুনেছি। ফারুকই গ্রাম থেকে তিনজনকে শহরে নিয়ে এসেছে কাজ করানোর জন্য।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ৪ যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি লাশের মধ্যে তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে চারজনেই মাথার পেছন থেকে আঘাত করা হয়েছে এবং ভারী কোন বস্তু দিয়ে মাথা ও মুখমন্ডল থেতলে দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতের কোন এক সময়ে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে চারজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আর পুলিশের এক অফিসার বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক দুটি মামলা দায়েরের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার ভোরে এলাকাবাসী মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে চার যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি লাশের মাথায় ও কপালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের তথ্য সূত্রে জানা গেছে চারজনের তিনজনের মাথায় গুলি করা হয়েছে। নিহত যুবকদের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। লোক মুখে শুনেছি চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখে সনাক্ত করেছে। নিহতের স্বজনরা এখনো আমাদের কাছে কেউ আসেনি।

ওসি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথায় থেকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের নিকট থেকে ২ টি দেশীয় পিস্তল, ১রাউন্ড তাজা গুলি ও ১টি প্রাইভেট কার (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো চ ১৩-০৫০১) উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়েকের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ৪ যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এইসময় লাশের পাশ থেকে দুটি পিস্তল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ লাশ গুলো নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের মায়ের মৃত্যুতে রাশেদুলের শোক প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদ হক (৭০) ইন্তেকাল করেছে(ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সুুুমন। রাশেদুল ইসলাম ইসলাম সুমন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। মরহুমা চৌধুরী মাহমুদা হক মরহুম ফজলুল হকের স্ত্রী।

সাংবাদিকদের দিকে তাকালে ইয়াবা কারবারীদের চোখ তুলে নেয়া হবে: র‌্যাব ডিজি

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন,
কক্সবাজারের সাংবাদিকরা সাহসিকতার সাথে ইয়াবা কারবারীদের খবর প্রচার করে আসছেন। সাংবাদিকরা ইয়াবা পাচারের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সাথে সাথেই র‌্যাবকে জানাবেন।

এসময় ইয়াবা কারবারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দিকে তাকালে ইয়াবা কারবারীদের চোখ তুলে নেয়া হবে।

শনিবার বিকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন র‌্যাব ডিজি।

বেনজীর আহমদ বলেন, কক্সবাজারের জনসংখ্যা ২৩ লাখ। কিন্তু গুটি কয়েক ইয়াবা কারবারীর জন্য ২৩ লাখ মানুষের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। কক্সজারের অল্প সংখ্যক মানুষের সারাদেশে পাচার করা ইয়াবা ট্যাবলেট ১৬ কোটি মানুষকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। ইয়াবার কারণে আজ যুব সমাজ ধ্বংশের মুখে। তিনি দেশের স্বার্থে কক্সবাজারের ২৩ লাখ মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলে একের পর এক আলিশান বাড়ি তৈরি হচ্ছে। নব্য কোটিপতি দেখা যাচ্ছে। ইনকাম ট্যাক্স আর দুদককে অনুরোধ করব, এই টাকা কোথা থেকে পেল এবং কীসের ওপর ভিত্তি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছেন সেটি খতিয়ে দেখার জন্য।

প্রেমিকের পিস্তলসহ প্রেমিকা আটক।

নিউজ প্রতিদিন:  ফতুল্লায় প্রেমিকের ফেলে যাওয়া একটি বিদেশ পিস্তলসহ নাসিমা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ফতুল্লার দক্ষিণ মাহামুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান প্রেমিক লিটন।

আটক নাসিমা আক্তার দক্ষিণ মাহামুদপুর এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে। আর লিটন ফতুল্লার পূর্ব ভূইগড় ওলাকার নবী উল্লাহর ছেলে। লিটন একাধিক মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তিনি আরও জানান, লিটনের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নাসিমার বাড়িতে অবস্থান করে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় লিটন ও নাসিমার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লিটনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যে ছবি হার মানাচ্ছে মানবতাকে!

ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতালের সামনের সড়কে পড়ে আছে  প্রাণহীন শিশু। নিথর ছোট্ট দেহকে ঘিরে রয়েছে  হতভম্ব জনতা।

উল্লেখ্য,  হৃদয়বিদারক শিশুহত্যার এ ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে মাত্র চার দিনের  নবজাতককে ফেলে দেয় সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ। পরে নিজেও লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

শহরের পুরনো জেলরোডের দ্য ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মা-সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

এ নিয়ে সৈয়দ মো. মহসিন নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখিছেন, ‘এমন মৃত্যু কারো কাম্য নয়। আয়লান কুর্দির মৃত্যু দুনিয়ার বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিস্পাপ শিশুকে নিয়ে দি ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে পরে গৃহবধূর মৃত্যর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা বাংলার মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়ে গেল। এমন মৃত্যু কারও কাছেই প্রত্যাশিত নয়। পরপাড়ে ভালো থেকো প্রয়াত মা ছেলে।’

ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে প্রকাশ দাস নামে একজন লিখেছেন, ‘জীবন চলার টাকা নামক কাগজের কাছে পরাজিত নবজাতকের মরদেহ। নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ, নিথর। যেখানে সকল শব্দেরাই ইতি টানলো। জীবনের কাছে কতটাই না অসহায় আত্মসমর্পণ ছিল সেই মায়ের, যে মা তার চার দিনের নবজাতককে বহুতল ভবন থেকে ফেলে দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল। পরে নিজেও সেই ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে জীবনের শেষ অধ্যায়ের রচনা করে গেল। পেছনে রেখে গেল নানা প্রশ্নের ঝুলি।’

মর্মান্তিক ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে পলাশ নামে একজন লিখেছেন, ‘আজ যে শিশুর থাকার কথা ছিল পরম আদরে, বাবা-মায়ের মান-অভিমান তাকে নিয়ে গেল লাশকাটা ঘরে।

সরকারী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা জানান তার আবেগ ও অনুভূতির কথা। এসময় তিনি আরও বলেন- এই ছবিটি কাদিঁয়েছে আমাদের।

এভাবেই অনেকে ফেসবুকে শিশুটির ছবি নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন ছবিটি শুধু মানুষকে কাঁদিয়েছে না। হার মানিয়েছে মানবতাকে।

ঘটনাটির ভিডিও আপলোড করেছেন কেউ কেউ।

মা-সন্তানের মৃত্যু ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়নি।

মামলার তদন্তে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এই বিষয়ে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ কোন গাফলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ‘শিশুর ছবিটি দেখে আমরাও মর্মাহত। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সাথে অভিমান করেই সীমা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর প্রসব বেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সীমা।

এদিন রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। শুক্রবার সকালে সীমা ও তার সন্তানের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল।

মাদকের কারণে যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউজ প্রতিদিন: আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি শতভাগ আস্থাশীল মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যারা পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারাই নির্বাচনে সেনাবাহিনী চাইছেন। আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করে না বলেই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন মনে করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি শতভাগ আস্থাশীল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা মেরি এন্ডারশনে নৌ-পুলিশের আয়োজনে ইউএনডিসির অর্থায়নে চারটি পেট্রলবোট এবং জেটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। বিদেশ থেকে মাদক এসে সারাদেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিদেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশের পথ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। মাদকের অবক্ষয় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মাদক নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

খান কামাল বলেন, যারা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এখনো সময় আছে তওবা করে মাদক ব্যবসা ও সেবন বন্ধ করে দেন। না হয় কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না। মাদক ব্যবসায়ী যে যত বড় শক্তিশালী হন না কেন কোনোভাবে ছাড় পাবেন না। ৭০ হাত মাটির নিচে থাকলেও খুঁজে বের করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই আমরা ছাড় দেই না। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ যেই দলেরই হোক তাদের চেহারা দেখি না। নৌপথে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনই যথেষ্ট। নৌপথে চাঁদাবাজি রোধে নৌ-পুলিশের ডিআইজিকে বলছি- আপনি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

নৌ-পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, পুলিশের ডিআইজি মহসীন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহাবুব হাসান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি রুহুল আমিন, নৌ- পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হারুন অর রশিদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রমুখ।

আমি নিজে ভিকটিম-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগে অফিসে বোমা বিস্ফোরণের অতীত স্মৃতি তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশে একমাত্র আরডিএস আমার উপর ফুটেছে। সব চেয়ে বড় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যেটির বিচার আমি এখনও পাইনি।’

ফতুল্লার পাগলা মেরি এন্ডারসনে ইউএনওডিসি কর্তৃক বাংলাদেশ নৌ পুলিশকে চারটি পেট্রোল বোট ও জেটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বিশজন ছেলে এক সেকেন্ডের মধ্যে নাই হয়ে গেছে। আমি পঙ্গু হয়েছি। আমার বহু ভাইয়ের হাত পা নাই। ওই শকুনরা বাংলাদেশের আকাশে এখনও উড়ছে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের একই প্রশ্ন, আবার কি আগুন দিবে? আবার কি মানুষ মারবে? আবার কি বোমা ফাটাবে? আমি নিজে একজন ভিকটিম।’

বিএনপি, জামাত ও জাতীয় ঐক্যের নেতাদের নাম উল্লেখ না করে শামীম ওসমান বলেন, ‘ওরা আমাদের ছিড়ে খেতে চায়। ওরা বিভিন্ন নামে আসে। কোনো সময় ডক্টর নামে, কোনো সময় শিক্ষিত নামে। যারা আসে তারা দেশটাকে বেচে খেতে চায়’।

‘তারা সেনাবাহিনীকে নিয়ে কথা বলে। যে সেনাবাহিনী আমাদের দেশে সম্মান নিয়ে আসে। সেনাবাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি, ২৭ তারিখ আমরা আমাদের প্রস্তুতি দেখাবো। অনেকেই ভাবছে ক্ষমতার টাইম শেষ। আমরা জানি সংবিধান অনুযায়ী সরকারের ধারাবাহিকতা থাকবে’।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরির্শক জাবেদ পাটোয়ারি, নৌ পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম বীনা, ইউএনওডিসির প্রোগ্রাম অফিসার সানাকা জয়া সাকারা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী প্রমুখ।