৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 162

৬৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপির অনুমোদন

ডেস্ক নিউজঃ সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এ হিসাবে এডিপির আকার দাঁড়ালো এক লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির মূল আকার ছিল এক লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বরাদ্দ কমেছে। কিন্তু সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে বেড়েছে প্রকল্পের সংখ্যা। মূল এডিপিতে প্রকল্প ছিল এক হাজার ৩০৮টি। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে এসে মোট প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৫৮টিতে। ফলে মূল এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প বেড়েছে ৩৫০টি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এই সংশোধিত এডিপির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সংশোধিত এডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের (জিওবি) অপরিবর্তিত বরাদ্দ রয়েছে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ কমে হয়েছে ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ ৫৭ হাজার কোটি টাকা থেকে কমেছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ কমে হয়েছে ৯ হাজার ২১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা থেকে বাদ গেছে এক হাজার ৫৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির বাস্তবায়ন অনেক বাড়বে। কেননা আবহাওয়া ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিসান হামলার কারণে অনেকটা সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই বৈদেশিক সহায়তা থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বাদ দিতে হয়েছে। আগামীতে যদি কোনো মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি আমি বিবেচনা করে বরাদ্দ দেব। এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন।

মুস্তফা কামাল জানান, প্রকল্প যাতে ঘন ঘন সংশোধন করা না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের মান যাতে নিশ্চিত হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পরিবহন খাতে ৩৭ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২২ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৬ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

সংশোধিত এডিপিতে অন্যান্য কয়েকটি খাতের বরাদ্দ হলো- ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৫ হাজার ২১৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১৪ হাজার ১৮৬ কোটি, স্বাস্থ্য,পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ খাতে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি, কৃষি খাতে ৫ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।

এদিকে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দহীনভাবে সংযুক্ত অনুমোদনহীন প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ২৭টি। বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির সুবিধার্তে অনুমোদন ও বরাদ্দহীনভাবে ২৬৮টি প্রকল্প যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনাশিপ) প্রকল্প রয়েছে ৩০টি। আর ৩০০টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্রঃ জাগো নিউজ

শ্রীলঙ্কা জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি

ডেস্ক নিউজঃ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কা জুড়ে আজ মঙ্গলবার থেকে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। সহিংসতায় উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সরকারের একজন মুখপাত্র জানান। খবর আল জাজিরার।

একজন বৌদ্ধ ব্যক্তিকে  হত্যা ও মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানোকে কেন্দ্র করে ক্যান্ডি শহরে বেশ কয়েকদিন ধরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। গতকাল সোমবার স্থানীয়ভাবে কারফিউ জারি করা হয়।

সরকারের মুখপাত্র দয়াসিরি জয়াসেকারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা মোকাবিলায় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যারা ফেসবুকের মাধ্যমে হিংসা ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।’

গতকাল সোমবার পুলিশ জানায়, সপ্তাহের শেষের দিকে ক্যান্ডি জেলায় দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পরে এই দাঙ্গা শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

শ্রীলঙ্কায় এর আগেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দুই কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ শতাংশ মুসলিম, ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ এবং ১৩ শতাংশ হিন্দু রয়েছে।

বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষণকারী জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ সংস্থা বদু বালা সেনা(বিবিএস)-কে চলমান সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুসলিম-বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত এবং বেশকিছু দোকানপাট ও মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে আলুথগামা দাঙ্গার পর মুসলিমবিরোধী প্রচার শুরু হয়।

কট্টরপন্থী কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, মুসলিমরা জোর করে বৌদ্ধদের ধর্মান্তর করছে এবং বৌদ্ধদের ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস করেছে।

সদর উপজেলায় অবহিতকরণ কোর্সের উদ্বোধন

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার সকালে নারায়ষগঞ্জ সদর উপজেলা মিলনায়তনে ৩দিন ব্যাপী ইউনিয়ন প্রশাসন অবহিতকরণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন কোর্সের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ।

খালেদা জিয়া ছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না-এড. তৈমুর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় রায়ের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে এই কর্মসূচী পালন শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম,জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মহানগর শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন, বিল­াল হোসেন, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি হাজী নাছির,জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন প্রধান,আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুর হামিদ ভুইয়া ভাষানী, বিএনপি নেতা হাজী শাহিন,আবুল কালাম আজাদ,বন্দর থানা যুবদল সভাপতি আমির হোসেন,জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মহানগর মহিলা দলের নেত্রী নাহার সুলতানা, বন্দর থানা মহিলা দলের সভানেত্রী নাজমা হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা বেগমসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

লিফলেট বিতরনের সময় জনগনের সাথে মত বিনিময় কালে এড.তৈমূর বলেন,মনে রাখা দরকার এই সরকারই শেষ সরকার নয়।খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে,তারেক রহমানের নামে বানোয়াট সাজা দিয়ে একদলীয় নির্বাচন এদেশের জনগন মেনে নিবে না।তিনি বলেন অচিরেই খালেদা জিয়া ও গনতন্ত্র মুক্তি পাবে ইনশাল্লাহ।

লিফলেট বিতরণের সময় দুই দফা পুলিশের বাধা অতিক্রম করেও সাধারন মানুষ, শ্রমিক, পথচারীসহ দোকানে দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দিনে-দুপরে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে  দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তালতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দারালো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।  এরা হচ্ছে শান্ত(২৫) ও স্বপন(৩৫)।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহীন মন্ডল জানান, উপজেলা তালতলা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২০-২৫জনের একটি ডাকাত দল এক বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  ইন্সপেক্টর কুতুবুল আলম ফোর্স নিয়ে ডাকাতদের ঘিরে ফেলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পালানোর সময় দুই ডাকাত পুকুরে ঝাপ দেয়। দুই ঘন্টা চেষ্টার পর এলাকাবাসীর সহায়তা দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

এসময় ডাকাতদের ফেলে রাখা ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যগে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দারালো অস্ত্র রামদা, চাকু, কিরিজ, ও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারকৃত শান্ত একই উপজেলার ধামগড় ইউপি মালামত গ্রামের আব্দুল জাব্বার মিয়ার ছেলে, স্বপন একই ইউপি রামনগর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

সিলেটে সুন্নি-ওহাবি সংঘর্ষে নিহত ২

সিলেটের জৈন্তাপুরে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা নিয়ে সুন্নি ও ওহাবি নামে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার আমবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

নিহতদের মধ্যে মোজাম্মিল হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি হরিপুর মাদ্রাসার দাওয়ারা হাফসির শেষ বর্ষের ছাত্র । তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি এলাকায়।

আরেকজন সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ৩০ জন একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমবাড়ি এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে ওহাবি সম্প্রদায়। এ সংবাদ পেয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকেরা ওই ওয়াজ বন্ধ করতে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওয়াজে আগত শত শত মুসল্লি আতঙ্কিত হয়ে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

প্রথম দফা সংঘর্ষে ওহাবি পক্ষ সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় সুন্নি পক্ষের মাদ্রাসাছাত্র মোজাম্মিল ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।

পরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা । তখন ওহাবিপক্ষের লোকেরা স্থানীয় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সুন্নিরা সেখানেও হামলা চালান।

বিক্ষুব্ধ সুন্নিরা চারটি গ্রামে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর চালান। এভাবে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সহিংসতা চলে। পরে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি ময়নুল জাকির জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরা টহলে রয়েছেন।পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সম্মেলন পণ্ড

দলীয় অন্তর্কোন্দলের রেশ, ককটেল বিস্ফোরণ আর বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতিতে ভন্ডুল হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।

মঙ্গলবার দীর্ঘ নয় বছর পর নগরীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে বেলা ১১টার দিকে এ সম্মেলন শুরু হয়। কিন্তু সম্মেলনের শুরু দিকেই সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়া ছুরির মতো ঘটনা ঘটলে তা ভন্ডুল হয়ে যায়। পাশাপাশি সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।

বেলা ১১টার পরপরই মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এ সময় সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে বসা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা চট্টগ্রাম নগরীর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের নাম উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে জাকির হোসাইন তাঁদের স্লোগান দিতে বারণ করে বলেন, শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো নামে স্লোগান দেওয়া যাবে না। কিন্তু স্লোগান দাতারা তাঁর কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি। পরে তিনি অসমাপ্ত রেখেই বক্তব্য শেষ করেন।

জাকির হোসেনের পর বক্তব্য দিতে মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাকিব হোসেন। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে স্লোগানের পাশাপাশি শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের নিষেধ সত্ত্বেও এই সাংঘর্ষিক অবস্থা চলতে থাকে। এ সময় কক্ষের পেছনের দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বিস্ফোরণে শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সবাই সম্মেলন কক্ষ থেকে দৌড়ে বাইরে চলে যান। এ অবস্থার মধ্যেই দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনে আসা অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ এসে সবাইকে সম্মেলন কক্ষের বাইরে বের করে দেয়। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের বাইরে এখনো দফায় দফায় বিভিন্ন গ্রুপ স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দুপুরের পর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল পর্ব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া অতিথিদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

আল্লামা আব্বাসী হুজুরের মাহফিলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কন্টাক এবং ব্যক্তিগত বডিগার্ড নিয়ে নিউজের প্রতিবাদ ও দাঁতভাঙ্গা জবাব

বিজ্ঞপ্তি:গত রবিবার আল্লামা আব্বাসী হুজুরের নাটোরের মাহফিলকে পুঁজিকরে কিছু হলুদ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে ভাতেমরা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় অপপ্রচারে চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আব্বাসী সাইবার টিমের কর্মীদের নিকট প্রশ্ন আসায় তার সঠিক ঘঠনাটি জানানোর লক্ষে কিছু কথা……………….

১.হলুদ গুটিকয়েক সাংবাদিকদের প্রথম মিথ্যাচার ছিল- আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি নাটোর, সিংড়ার,শালমার দাখিল মাদ্রাসা মাহফিল করার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার এবং ১ ঘন্টা ওয়াজ করার নামে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন..!
তার জবাবে প্রথমেই বলে নিচ্ছি- এই হলুদ সাংবাদিক ভাইটা কতটা গাঁজাখোরী লেখা লেখেছে, তা সেই ভাল জানে। কারণ আল্লামা আব্বাসী হুজুর মাহফিলে কন্টাক করেন এটা একটা পাগলকে বললেও বিশ্বাস করবেনা কারণ সাড়া বাংলার মানুষ জানে দিবালোকের ন্যায় এটা স্পষ্ট যে আব্বাসী হুজুর কন্টাক করেন না বরং তিনি কন্টাক বিরোধী। কন্টাক তো দূরের কথা পরিচিত কেউ যদি মাহফিলে কন্টাক করে যায় তাহলে তাকে সমচিন জবাব দেন। আর সেখানে তিনি ১ লাখ টাকা কন্টাক করেছেন ? এই ধরণের গাঁজাখুরি কথা একমাত্র মাতালরাই লিখতে পারে।
তবে হেলিকপ্টার ভাড়া যেটা আসে সেটা মাহফিল কমিটি বহন করে থাকে। তবে সেটার সাথে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নাই বরং সেটা হুজুরের পি. এস এবং মাহফিল কমিটির মাধ্যমে হেলিকপ্টার কোম্পানিকে শিডিউল দেওয়া হয়। যা সরাসরি কোম্পানির সাথে মাহফিল কমিটির যোগাযোগ। যেখানে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নেই। এখন এই মহাসত্যকে মিথ্যার ছাইদিয়ে যারা ঢাকতে চায়। আমি তাদেরকে বলবো তারা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর বিস্তারিত জানতে নাটোর মাহফিল কমিটির সভাপতির কাছ থেকে জানতে পারেন-০১৭৭৪৭২৯১৪৭

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি।

এছাড়াও হেলিকপ্টার এভিয়েশনে যোগাযোগ করতে পারেন। সঠিকটা জেনে যাবেন। ‎মনে রাখবেন আল্লাহ যার সম্মান দেন,তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারেনা।

২….. সেখানে ২য় মিথ্যাচার করা হয়েছে- হুজুর নাকি প্রতি ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। আমি বলবো আপনার মিথ্যাচার নম্রুদ,ফেরাউনকেও হার মানায়..!!!
এই বিষয়ে আমি কিছু না লিখে প্রথমেই সেই সমস্ত মিথ্যাবাদীদেরকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম।আল্লামা আব্বাসী হুজুর ১ ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা কন্টাক করেন, কিংবা তিনি কন্টাক করেন এই ধরণের কথা প্রমান করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যদি প্রমান না করতে পারেন তাহলে আপনার বিপক্ষে দূত মানহানি মামলা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

‎৩….. আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি বিলাসিতার জন্য হেলিকপ্টার এবং বডিগার্ড ব্যবহার করে থাকেন। আরো কত উদ্ভট কথা। প্রথমেই আমি বলতে চাই বিলাসিতা কাকে বলে????? সেই সংজ্ঞাটি কি জানা আছে?? নাকি মাথায় বিলাতি গোবর তাই আলেমদের বিরোধী করাই চিরাচরিত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়ে ??
‎কোন এমপি,মন্ত্রী, নায়ক,নায়িকা,শিল্পী, বা শিল্পপতি যদি হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে তাহলে কোন এলার্জী নাই। কিন্তু কোন আলেম ওলামা হেলিকপ্টারে মাহফিলের মত মহানকাজে গেলেই চোখটা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়! আল্লামা আব্বাসী হুজুর কোরআনের দাওয়াত নিয়ে দেশ,দেশের বাহিরে থাকেন সাড়া বছর। আর প্রতিদিন ১/২/৩ টি মাহফিল দিনে রাত্রে থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয় নিয়মিত চার মাস। দেখা যায় আজকে দুইটি মাহফিল দিনে ফরিদপুর আর রাত্রে সিলেট। এখন একদিনে দুইটি মাহফিল করাকি সম্ভব..??
তাই ‎শুধু মাত্র সময় সেভ করার জন্যই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয় এটা বিলাসিতা হয় নয় বরং এটা হুজুরের জন্য প্রয়োজন।

‎৪. হুজুর কেন ব্যক্তিগত বডিগার্ড রাখেন এটা নিয়েও তাদের এলার্জী। আবার কত ফতোয়া তিনি কেন সাথে বডিগার্ড রাখেন??? রাসুল (সা) কি বডিগার্ড রেখেছিলেন ? বাহ এ যেন ফেসবুক মুফতী !

প্রথমেই বলে নেই রাসুল (সা) আমাদের মত সাধারণ মানুষ নন। ওনার সাথে কোন কিছুরই তুলনা করা যাবেনা। তবে ওনার দেখানো পথকে অনুসরণ করতে হবে। সেখান থেকেই দৃষ্টান্ত দিচ্ছি একবার এক সাহাবী এক উটের রশিছেড়ে দিয়ে বলল্য ইয়া রাসল্লাল্লাহ (সা)।আমি উটের রশি ছেড়ে দিয়েছি আর আমি আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুলে বিশ্বাসী। তখন রাসুল (সা) বললেন তুমি আগে উটের রশি বাধো তারপর তাওয়াক্কুল কর।
‎এখন যারা কুরআনের দাওয়াত দেয় কাফের মুশরেকরা তাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাচালায় যেমনটি করেছে শহীদ ফারুকি(রহঃ) কে.।
‎আজ সাড়া বাংলায় যখন কথিত কিছু আলেম নামের জালেমরা ইহুদি খৃষ্টানদের টাকা খেয়ে উম্মতের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ঠিক তখনই কোরআন, হাদিসের সঠিক বাণি যখন প্রচার করে যাচ্ছেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব।তখনই একদন হিজলাসদৃশ, মুনাফেকরা আল্লামা আব্বাসী হুজুরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় যখন এতেও কোন কাজ হচ্ছেনা তখন তারা তাঁকে বারবার হত্যার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে।বিশেষ করে ২৫ মের ঐতিহাসিক বাহাসের পর তারা যেন পাগলা কুকুর হয়েগেছে। আজ তারা হিটলার নীতিতে চলেগেছে।
‎অতি ভক্তি কিন্তু চোরের লক্ষণ। তাহলে কি শহীদ ফারুকির মত আরেকটি ঘঠনা ঘঠাতে মরিয়া এই চক্রটি
‎।তারা হয়তো ভুলে গেছে সব মাওলায়ে কারীমের পক্ষ থেকে ফায়সালা হয়। তারা যতই হত্যার চেষ্টা করুক না কেন তা কাজে আসবেনা।
‎পরিশেষে ঐসকল হলুদ সাংবাদিকদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে ইতি টানছি-

১…আপনারা আব্বাসী হুজুরের বিপক্ষে রিপোর্ট করলেন অথচ তার অফিসিয়াল ফেইসবুক আইডিই জানেন না??

২…. উনি কন্টাক্ট করে হাদিয়া নেয় এমন একটি প্রমাণ দিতে পারলেন না, আবার মিথ্যাচার ????

৩….আব্বাসী হুজুর মাহফিলে ১লক্ষ টাকা হাদিয়া নেয় আর হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার বাহ ভালইতো!! হেলিকপ্টার ভাড়া কিভাবে করা হয় তাকি জানা আছে ??

৪…আপনি কি চোখে কম দেখেন নাকি মিথ্যাশ্রিত বিদ্যাই আপনাদের প্রধান পুজি! আব্বাসী হুজুরের দুই পাশেইকি বডি গার্ড নাকি এক পাশে???
আর পুলিশ কি হুজুরের নিরাপত্তার জন্য নাকি হেলিকপ্টার দেখার জন্য..????

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি। বাহ..!!!!এক রবট সুফিয়ার জন্য যখন ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিলেন????
তখন অপচয় হয়নি…..!!!!!
আব্বাসী হুজুরের পিএস মাওলানা আহমদ হাসান সাথে নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কেউ যদি প্রমান দিতে পারে হুজুর টাকা কনটাক্ট করে টাকা নিয়েছেন বাংলাদেশের কোথায় তাকে আমরা পুরস্কৃত করবো। এটা ওয়াহাবী লা-মাজহাবীদের অপপ্রচার করে হুজুরের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এসব হুলুদ সাংবাদিকদের মিথ্যা নিউজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুজুর হচ্ছেন কনটাক্ট আ চুক্তিবাদী বিরোধী। কখনো প্রোগ্রামে হুজুর অগ্রীম কোন টাকা নেন না। আর হাদিয়ার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলেন না যার মনে যত চায় তত দেন। যারা হুজুরে প্রোগ্রাম করেছে তাদের সাথে কথা বলেন সকল সন্দে দুর হয়ে যাবে।
আশাকরি জবাব দিবেন…..
এব্যাপারে ড. সাইয়েদ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী হুজুরের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি চ্যালেঞ্চ দিয়ে বলছি কাহার সাহসা তাকে আমার সামনে এসে একবার প্রমান করুক আমি চুক্তি করে কোন জায়গায় মাহফিল করেছি। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার ও অপ-প্রচার করছে আল্লাহর গজব তাদেরকে একদিন ধ্বংস করে দিবে। এসব আজগুবি সংবাদে তৌহিদি জনতা কোন সময় কান দিবেন না।যারা বলে আমি কন্টাক করে মাহফিল করি তারা ইহুদিদের দালাল ছাড়া আর কিছু না। আমার প্রতিটি মাহফিলে খোঁজ নেন তখন যদি মাহফিল কাহার কাছে বলে আমি কন্টাক করে টাকা নিয়েছি তখন আমাকে প্রশ্ন করবেন আর না হয় এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আমি বাংলাদেশে একমাত্র বক্তাদের একজন চুক্তি করে ওয়াজের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। আমার ওয়াজে আমার ব্যক্তি আর্কষনের কেউ আসে না। সবাই আল্লাহর কোনআন হাদিসের আকর্ষনে সবাই ওয়াজ শোনতে হাজার হাজার জনতা আসে। যারা তৌহিদের দাওয়াত দেয় তারা কখনো টাকার এসব কাজ করে না। আমার বিরুদ্ধে যে সব অপপ্রচার করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে মাহফিল বন্ধ করা হচ্ছে কেউ কেউ আবার আড়ালে থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা অপ-প্রচার করছে তাদেরকে বলবো সাহস থাকলে একবার আব্বাসীর মুখাবেলা করে দেখেন কে সঠিক। আমি সত্যের পথে আজীবন অটল থাকবো এতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবো না। আমি তৌহিদের দাওয়াত দিতে আর আল্লাহর রাসুলের কথা বলতে গিয়ে যদি প্রান চলে গেলেও হাসি মুখে বরণ করবো। এসব অপ-প্রচার অপেক্ষা করে তৌহিদের দাওয়াত চলবে এক চুল পরিমান সত্যের পথ থেকে সরে আসবো না।

প্রচারে মাওলানা আহমদ হাসান গাজীপুরী
আব্বাসী সাইবার টীম বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীর ডালিমের “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কবি জাহাঙ্গীর ডালিমের “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” কাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমী লিটল মেঘ চত্তরে বাংলাদেশ রাইর্টার্স ক্লাবের স্টলের সামনে এই বইয়ের মোড়গ উন্মোচিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার জলুল হায়দার, কবি সোহাগ সিদ্দিকী, কবিা  ও উপস্থাপিতা নাহিদা আশরাফি,সাংবাদিক মাইদুর রহমান রুবেল,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কবি আবদুর রহিম, কবি শহিদুজ্জামান ফিরোজ, দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক কবি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, দৈনিক সংবাদ চর্চার সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়াত উল্লাহ্, কাজী আনিসুল হক হিরা, কবি কাজী রাকিবুল রকি, মাসুদ রানা, বাপ্পি সাহা, প্রছদ শিল্পী শিপন আহমেদ, জুবায়ের রিংকু, মোঃ আলাল, অপু ভূইঁয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া চাদাঁবাজী

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া চাদাঁবাজী ও ঘাট দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এ ঘাট দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ট্রলারঘাটটি বিআইডব্লিউটিএ থেকে ইজারা নিয়েছেন বৈদ্যেরবাজার এলাকার রামগঞ্জ গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া। এ ঘাটটি দিয়ে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার প্রায় শতাধিক ট্রলার প্রতিদিন আসা যাওয়া করে।

বিআইডব্লিউটিএ থেকে ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপারের সময় জনপ্রতি দুই টাকা করে নির্ধারন করা হলেও সেলিম মিয়া ও যুবলীগ নেতা হামিদুল মিয়ার নিয়োজিত বাহীনির লোকজন মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস মিয়া, সোলমান মিয়া, হানিফা মিয়া, জুনায়েদ মিয়া জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে আদায় করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরন করা হয় এবং নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে। তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এ বাহিনীর সদস্যরা।

ভুক্তভোগী আড়াইহাজার এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তা, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের কারণে এ ঘাটে যাত্রী আশংকাজনক হারে কমে গেছে। যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি দুই টাকা নেওয়া কথা থাকলেও ভাংতির অযুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে পাচঁ টাকা আদায় করে নেয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে অশালীন আচরন ও নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এধরনের কর্মকান্ড চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এ ঘাটে যাত্রী আরো কমে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতে চাইলে সেলিম মিয়া বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর নির্ধারিত ফি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। কারো কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছেনা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। চাদাঁবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।