৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 207

জঙ্গিবাদকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার: মির্জা আলমগীর

জঙ্গিবাদকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে তিনি এ অভিযোগ করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে একটি মহল কাজ করছে। একারণে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না এবং বিচারের আগেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছেন।

জঙ্গিবাদ দমনে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যে সঙ্গে অন্য জনের বক্তব্যের মিল নেই। ফলে জঙ্গিবাদ দমনের অভিযান নিয়ে রহস্য থেকে যাচ্ছে- বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সাম্প্রতিক দুটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছে। যা নির্বাচন আচারণ বিধি লঙ্ঘন এবং লেভেল প্লিয়ং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে।

বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী না- এ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখি দল। সুতরাং বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। ৫ জানুয়ারির মত আর একটি নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলেও সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

কবে নাগাদ নির্বাচনী প্রচারণার নামবে বিএনপি- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আসরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে প্রচারণার বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পরে দেখা যাবে।

আল্লামা ইকবাল রোডের শাখা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু

শহর প্রতিনিধি
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওর্য়াডের আল্লামা ইকবাল রোডের মসজিদ গলির রাস্তা ও ড্রেণ উচুকরণ কাজ ও জামতলা এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে নেয়ার জন্য টিএন্ডটি কলোনীর মধ্য দিয়ে টিএন্ডটি কলোনীর পুকুর থেকে আল্লামা ইকবাল রোডের ডীপ ড্রেন পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করেন ১৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।সকাল ১১টায় দোয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়েছে।দোয়া পরিচালনা করেন আল্লামা ইকবাল রোড জামে মসজিদের প্রধান ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম। দোয়া শেষে ১৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন,মেয়রের নেতৃত্বে ১৩ নং ওয়ার্ডকে সারা দেশের মধ্যে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য ওর্য়াডের মডেল হিসাবে গড়ে তোলা হবে।তিনি পরিস্কার পরিলন্নতা ও ড্রেন-রাস্তা ব্যবহারে নগরবাসীর সচেতনতা কামনা করেছেন।
ঊদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ইকবাল রোড নিবাসী কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ,আশরাফ হোসেন,মোঃলিটন.ইলিয়াস খান,সিরাজুল ইসলাম,মোঃরানু,হাজী সামছুদ্দিন,মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান,জামতলাবাসী ইন্জিনিয়ার আঃরাজ্জাক,ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ। উল্লেখ্য যে গত ০৫ই মার্চ নাসিক মেয়র ডাঃসেলিনা হায়াৎ আইভী একসাথে ১৩ নং ওর্য়াডের ১৪ টি প্রকল্প আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

আলোচনা আড়াইহাজার বিএনপির চার নেতা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
মন জোগাতে তৃণমুল চষে বেড়াচ্ছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির চার নেতা। এতে অবহেলিত নেতাকর্মীদের কদর কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে দাবী তৃণমুল নেতাদের। এই উপজেলায় দলটির একাধিক নেতৃত্বের দৌঁরাত্মের কারণে দীর্ষদিন ধরেই দ্বিবিদ্বিক হয়ে ছুঁটছেন সাধারণ কর্মীরা। এতে বিএনপির অবস্থান এখানে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করেন, এই মুহুর্তে সৎ, সাহসী ও কর্মী বান্ধব নেতাদের সম্মনয়ে কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তবে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে অনেকে বলেছেন, দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙে লাপাত্তা অনেক নেতাই পদ বাগাতে তৃণমুল নেতাদের নানা কায়দায় ম্যানেজে চেষ্টা করছেন। তবে গ্রহণ যোগ্য একটি কমিটি গঠনের জন্য নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ দ্ব›দ্ববিভক্তি ভুলে পরম্পরের মধ্যে সমঝোতারও চেষ্টা করছেন। অতীতের মতো আর ভুল করতে চান না তারা। মঙ্গলবার আড়াইহাজার পৌরসভায় বিএনপির নেতা অনু’র মালিকানাধীন আশিক সুপার মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে এনিয়ে সিনিয়র নেতাদের অংশ গ্রহণে কয়েক দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এতে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু প্রæগ, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর গ্রæপ, সাবেক বিআরডি’র চেয়রাম্যান ও বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন (অনু) প্রæগ ও থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর গ্রæপসহ অনেকে আগামী কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য লবিং করছেন। জানা গেছে, নানা কারণে আনোয়ার হোসেন (অনু) আলোচনায় উঠে আসছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এইনেতাকে অনেকেই সরাসরি সমর্থন দিচ্ছেন। এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং করছেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী ইউছূফ আলী ভূঁইয়া, মনিরুজ্জামান খাঁন, আব্দুল জুয়েল ও এমএ মতিন ভূঁইয়া।

থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: শহীদ উল্যাহ বলেন, বিএনপিকে এই উপজেলায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে সাহসী নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। অতীতে ঢাকায় বসে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এতে দলের চরম ক্ষতি হয়েছে। অনেকে সরকারি দলের রোষানলে পড়েছেন। কিছু নেতা ছাড়া নির্যাতিত অনেক নেতার পাশেই আঙ্গুর ও খসরু ছিল না। ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে তারা সব সময় পকেট কমিটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, জিম্মি দশা থেকে দলের নেতৃত্বকে বের করে আনতে হবে। বিএনপির প্রবীন এইনেতার দাবী সাহসী ও কর্মী বাবন্ধব নেতা হিসাবে আনোয়ার হোসেন (অনু)’র বিকল্প নেই।

এদিকে, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেছেন, নেতৃত্ব নিয়ে আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাঁধাছোড়াছুড়ি চলছে। অতীতে ত্যাগীদের কেউ মূল্যায়ন করেনি। যুবদলের এইনেতা বলেন, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুর্গ ভাংতে হলে শক্তিশালী ও গ্রহণ যোগ্য কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান বিএনপির প্রবীন নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীরকে নিয়ে একটি রুপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এনিয়ে আনোয়ার হোসেন (অনু)সহ অন্যনেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতা আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি খুব শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।

ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহ্সান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের জনপ্রিয়তা ঈশ্বানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকে নানা অপ্রচার চালিয়েছেন। আঙ্গুরকে দলের দায়িত্ব দেয়া হলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। তিনি দলীয় কর্মসূচি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পালন করেছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এই নেতার দাবী, আঙ্গুরের ডাকে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

এদিকে, আনোয়ার হোসেন (অনু) বলেন, গণন্ত্রাতিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলে; নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। সেই সাথে দলের চালিকা শক্তি তৃণমুলের নেতাকমীরাও মূল্যায়ন পাবেন। এরই মধ্যে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। বিএনপির ঘুরে দাঁড়াতে কর্মী বান্ধব ও শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করাই আমাদের মুল লক্ষ্য।

ফতুল্লায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী তৎপর

নিউজ ডেস্ক : জেলার আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমানের মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার পরেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। ফতুল্লা ও কুতুবপুরসহ আশ-পাশ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্যাডার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স ও নামধারী সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় চলছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিক ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স ও নামধারী সাংবাদিকদের কারনে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফতুল্লা ও কুতুবপুরে প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক ক্যাডার ও সোর্স মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত রয়েছে। এসব এলাকায় কেউ পর্দার আড়াল থেকে আবার কেউ প্রকাশ্যে একাধিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দাপা ইদ্রাকপুরের খোজঁপাড়া, সরদারদার পাড়া ও রিফিউজিপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে একাধিক হত্যা মামলার আসামী যুবদল ক্যাডার মুসলিম, লাদেন হারুন, মহসিন, রকি, বশির ওরফে বরিশাইল্ল্যা বশির, সরদারপাড়া এলাকার ইলিয়াস, রুবেল, টিকি মারা লিটন, সবুজ, ছাত্রলীগ ক্যাডার রাসেল ও পুলিশের কথিত সোর্স ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। মূলত এদের নেতৃত্বে খোঁজপাড়া ও সরদারপাড়া এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া শহজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ী এলাকায় মাদক স¤্রাট ফাহিম তার স্ত্রী লাকি ও ছেলে রবিনের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রদল ক্যাডার মনার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া একই এলাকায় অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা চলছে শাহজাহান ওরফে মাইচ্ছ্যা শাহজাহান, তার পুত্র সাজুল, মেয়ে স্মৃতি এবং তার স্ত্রী। দাপা ইদ্রাকপুরের ব্যাংক কলোনী, রেল লাইন বটতলা, কলাবাগান,  জোড়পুল এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে ডাকাত লিপু, তার স্ত্রী পারভীন, ডাকাত শাহীনের মাধ্যমে। ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে পুলিশের কথিত সোর্স ডাকাত রনি, পান্না, গরু নাছির, ডাকাত তুজো, কাইল্যা সুমন, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা ও তার স্ত্রী। এলাকার বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকার পূর্ব পার্শ্বের গেট সংলগ্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে মাদক স¤্রাট দিপু ও  দেলু ওরফে ভাগিনা দেলুর মাধ্যমে। দিপু থানা পুলিশের কথিত সোর্স শিপুর ভাই। স্থানীয়দের অভিযোগ সোর্স শিপুর ছত্রছায়া থেকেই দিপু ও ভাগ্নে দেলু দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ভাগিনা দেলু যুবলীগ ক্যাডার মোক্তার ওরফে কাইল্লা মোক্তারের ভাগ্নে এবং মোক্তারের শেল্টারে থেকেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের সামনের দিকে জমজমাট মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে কামাল ওরফে বোম কামাল, লিটন চৌধুরী, ওরফে হিরোইনচি লিটন, ফারুক চৌধুরী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিয়ার মাধ্যমে। সুত্রে জানা গেছে এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যদিও লিটন, ফারুককে পুলিশ মাদক সহ গ্রেপ্তার করে জেল বন্দী করে। তখন ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিয়া ও হিরোইনচি লিটনের ছেলে রিফাতের মাধ্যমে মাদক স্পর্ট অক্ষত থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি হিরোইনচি লিটন ও ফারুক জামিনে বের হয়ে এলাকায় ফিরেই তাদের জমজমাট মাদক ব্যবসা পূনরায় চালু করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তক্কার মাঠ এলাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের ভাই আয়নাল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সম্প্রতি গাজার গাছসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল আয়নাল।

অপরদিকে, ‘অপরাদ জোন’ হিসেবে খ্যাত কুতুবপুরে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। পাগলা বৌবাজার, রসুলপুর, আকন পট্টি এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগক্যাডার মীরু ও ভাগ্নে শাকিলের বিরুদ্ধে। এছাড়া রহমান, সজল,শাহনাজও এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি রসুলপুরে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ডাকা বিল্লাল মিশরী ও ইমরান বাহিনী। এই এলাকা জাকির হোসেন এসপির একটি বাহিনীও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নয়ামাটি ও নন্দলালপুরের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাকের ভাই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। একই এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে যুবলীগ ক্যাডার চশমা রিপনের বিরুদ্ধে। গত ক’দিন আগে চশমা রিপন ডিবি পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক আর যতোই শক্তিশালী হোক তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে শনিবার একটি অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করে দিয়ে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, নতুন প্রজ¥ককে রক্ষা করতে এবং মাদককে উৎখাত করতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাবধান করছি। না হলে কিলার মোক্তার, বন্দুক শাহীনের থেকেও খারাপ পরিণতি হতে পারে। আমরা চাই না আর কোন মায়ের বুক খালি হোক। সূত্র-টাইমস নারায়ণগঞ্জ

ফতুল্লায় ডক ইয়ার্ড শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

ফতুল্লা সংবাদদাতা
ফতুল্লায় ব্যবসায়ী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন এনায়েত নগরের ধর্মগঞ্জ এইচ আর ষ্টীল ডক ইয়ার্ডের শ্রমিক শাহাদাত হোসেন(৪০), সাইফুল(২৯) ও মিজান(৩০)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জাহাজ নির্মান পুন:নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েক শত শ্রমিক দুপুর ১টায় ফতুল্লা মডেল থানর সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানান। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান প্রত্যাহা করে নেয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সাগর ইঞ্জিনিয়রিংয়ের মালিক সাগর ও নাজমুল বেশ ক’জন সহযোগী নিয়ে এইচ আর ষ্টীল ডক ইয়ার্ডের শ্রমিকদের উপর হামলা করে। এসময় শ্রমিকরা বাধা দিলে হামলাকারীরা শাহাদাত হোসেন(৪০), সাইফুল(২৯) ও মিজান(৩০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত সাইফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত শাহাদাত হোসেন জানান।

আড়াইহাজারে বিএনপির হাল ধরতে চান অনু

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির অতীতের নেতৃত্ব নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা-সমলোচনা। দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের  টানাপোড়নের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা এক প্রকার অস্বস্তিতে রয়েছেন। একাধিক নেতৃত্বের দৌঁরাত্মে দ্বিকবিদ্বিক ছুঁটছেন তারা। এখন যারা পদের জন্য সরব হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই ছিলেন লাপাত্তা। কমিটি ঘোষণার খবরে সুবিধাবাদী এসব নেতারা থানা পর্যায়ের নেতৃত্বে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকের দাবী, দলের জন্য নয়; নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে কমিটির তালিকায় নিজের নাম লিখাতে উঠে পড়ে লেগেছেন তারা। অভিযোগ উঠেছে, পদ প্রত্যাশী অনেক নেতাই আওয়ামী লীগের সাথে প্রকাশ্যেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। এসব নেতাদের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না তৃণমুলের নেতাকমীরা। উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এমন অবস্থায় আড়াইহাজার থানা বিএনপির হাল ধরতে চান আনোয়ার হোসেন অনু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে লবিং করছেন, বদরুজ্জামান খান খসরু, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, সাবেক বিআরডি’র ও বিএনপির নেতা চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে।

আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি এবং থানা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বর্তমানে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম এ মতিন ভূঁইয়া বলেন, আনোয়ার হোসেন অনু’কে থানা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলে বিএনপির দীর্ঘদিনের ধন্যদশা দূর হবে। আস্থার সাথে নেতাকর্মীরা দলের জন্য কাজ করতে পারবেন। এইনেতার দাবী অনু দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে একজন জ্বলন্ত নক্ষত্র হয়ে আছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে তিনি অন্তত্র প্রহোরীর মতো পাহাড়া দিচ্ছেন। তিনি একজন বলিষ্ট ও সাহসী নেতা। তাকে কমিটির দায়িত্ব দেয়া হলে আমাদের পূর্বাঞ্চলের বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।

বিএনপির নেতা রুপ চাঁন বলেন, আনোয়ার হোসেন নানা কারণে বিএনপির থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি (অনু) দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন। তার ওপর নানা চাপ থাকার পরও তিনি একটুও বিচলিত হননি। তাকে বিএনপির তৃণমুলের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপির রাজনীতিতে সরব রয়েছেন। তিনি বিপদে-আপদে হামলা, মামলার শিকার নেতাকমীদের সাথে ছিলেন।

এ প্রতিবেদককে আনোয়ার হোসেন (অনু)বলেন, মামলা, হামলার শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ছাঁয়া দিয়ে যাচ্ছি। দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাকা বসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে তাদের এলাকায় দেখা যায়নি। বিএনপির কার্যক্রম চালানোর মতো আড়াইহাজারে একটি বসার জায়গা ছিল না। আমার মালিকানাধীন আশিক সুপার মার্কেটে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে ১১ বছরে দলের কার্যক্রম চলছে। এখানে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে আমার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা দেয়া হলেও; আমি দল ত্যাগ করেনি। সাবেক এমপি আঙ্গুর ও খসরু’র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক একটি মামলাও হয়নি।

সামান্য বৃষ্টিতে আড়াইহাজারে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
আড়াইহাজারে পৌরসভায় থানার পূর্বপার্শে¦ সম্প্রতি প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০০ ফুট লম্বা একটি ফুটপাথের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। কাজটি পৌরমেয়র হাবিবুর রহমানের তত্ত¡াবধানে সম্পূর্ণ করা হয়। কিন্তু কাজের মাত্র এক মাসের মাথায় এতে পানি লেগেছে। উপজেলার পূর্বাঞ্চল থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যাত্রী সিএনজিতে করে আসা আড়াইহাজার পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আসা-যাওয়া করেন। পৌরসভায় ঢুকার পরই পানির দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্ট্যান্ডে চালকরা সিএনজি রাখতে পারছে না। দেখা গেছে, প্রতিদিন নিজেদের উদ্যোগে পানি সরিয়ে তারা গাড়ী পাকিং করতে হচ্ছে। কিন্তু পৌর মেয়রকে বারবার অবহিত করার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চালকদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তবে আশার বাণী শোনালেন পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী। তিনি দাবী করেছেন অপরিকল্পিতভাবে কোনো কাজ করা হয়নি। বভিষ্যতে রাস্তাটি উঁচু হবে। তাই এক ইঞ্চি নিচু করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই পৌরবাসী এর সুফল পাবেন।

বোরবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সিএনজি স্ট্যান্ডে পানি জমে রয়েছে। যাত্রীরা গাড়ীতে উঠতে পারছে না। একদিন বৃষ্টির পানি জমে জমে থাকে সাতদিন। পানির জন্য গাড়ী রাখা কষ্ট হয়ে পড়েছে। চালকদের অভিযোগ, পৌরসভার মেয়রকে বারবার অবহিত করার পরও তিনি কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়নি। তবে একবার এসে দেখে গেছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তাদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে কয়েক গুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান, প্রকল্পের পানি জমে গেছে। এতে জনমনের নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মেয়র কোনো প্রকার পরিকল্পনা ছাড়াই মোটা অংকের টাকা খরচ করে প্রকল্প নির্মাণ করেছেন।

স্ট্যান্ডের সুপরাভাইজার মো: জামাল হোসেন বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য বেশ কয়েকবার মেয়রকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে চালকদের গাড়ী রাখা কষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যাত্রীদের গাড়ী থেকে উঠা-মানা করা কষ্ট হয়ে গেছে।
সিএনজি চালক নজরুল বলেন, গাড়ীতে উঠা-নামা অনেক সমস্যা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পুরো স্ট্যান্ডে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। অতি শিঘ্রই পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার উচিত।

জানতে চাইলে রোববার প্রতিবেদককে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী আলী আকরব আবির বলেন, মাটি ভরাটসহ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৬ লাখ টাকা। পৌরবাসীর কষ্ট লাঘবে এরই মধ্যে আরো ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফুটপাথের উন্নয়ন কাজে পরিকল্পনার কোনো ঘাটতি ছিল না। বভিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কোনো কারণে সড়কটি উঁচু না হয়। তাহলে আগামী একমাসের মধ্যে সমস্যাটি লাঘব করা হবে।

সোনারগাঁয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা

সোনারগাঁ প্রতিনিধি:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের আয়োজিত পথসভায় যোগ দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধূরী। তিনি রোববার ল²ীপুরে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় মোগরাপাড়া চৌরাস্থায় পথসভায় যোগ দেন। পথসভায় সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম নান্নুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলী হায়দার, সনমান্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী,  যুবলীগ নেতা প্রকৌশলী আহাম্মেদ আলী তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ, যুবলীগ নেতা আরিফ হোসেন সহ যুবলীগের  নেতাকর্মীরা।

পথসভায় অংশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধূরী বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে  সোনারগাঁয়ের যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকার আহবান জানান তিনি।

সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান আবারও বরখাস্ত!

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দ্বিতীয় বারের মতো সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়। আজহারুল ইসলাম মান্নান কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক।

গত ৮ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপজেলা-২ শাখার উপ-সচিব জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা দুটি মামলা নম্বর ৩৯ (১১) ১৩ ও মামলা নম্বর ৪০ (১১) ১৩ এর অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (সংশোধন) আইন ২০১১ দ্বারা সংশোধিত এর ১৩ খ (১) ধারা মোতাবেক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এর আগে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারী তার বিরুদ্ধে দুটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল হওয়ায় তাকে প্রথম বার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

মন্ত্রনালয়ের এ আদেশের বিরুদ্ধে আজহারুল ইসলাম মান্নান হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (নম্বর ৩৯৪৫/ ২০১৬) করেন। পরে বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন ও বিচারপতি একে এম শহীদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মন্ত্রনালয়ের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।

এ ব্যাপারে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, প্রথমবার আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর মন্ত্রনালয়ের আদেশ উচ্চ আদালতে স্থগিত করার পরও স্থানীয় প্রশাসন আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার দল সমর্থকরা আমাকে দায়িত্ব পালন করা থেকে দুরে সরিয়ে রাখছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সোনারগাঁয়ের জনপ্রিয় নেতা আজহারুল আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখছে। আমরা আবারও বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি আদালতের কাছে আমরা ন্যায় বিচার পাব।

সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে শনিবার বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশাত্মবোধক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনীর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (সাচিবের) সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহেল রানা, সাংগঠনিক কমান্ডার সিরাজুল হক ভ‚ঁইয়া, অর্থ কমান্ডার আব্দুল বাতেন মোল্লা, সহকারি কমান্ডার মফিজুল ইসলাম খাঁনসহ উপজেলার সকল মৃক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু নাইম ইকবাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, বারদী ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক, জামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শীপলু, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ, সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ উপজেলার অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।