২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 220

জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযানঃ২ শিশুকে নিয়ে ২ নারীর আত্মসমর্পণ : পুলিশ

রাজধানীর আশকোনায় হাজিক্যাম্পের কাছে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিনতলা একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে দুই শিশুকে নিয়ে দুজন নারী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, দুই শিশুকে নিয়ে দুজন নারী আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা হলেন, ‘জাহিদের স্ত্রী ও মেয়ে । তাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছে নব‌্য জেএমবির এখনকার অন‌্যতম প্রভাবশালী নেতা মুসার স্ত্রী ও মেয়ে।’ তাদের মাইক্রোবাসে করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তার ভাষ্য, তিনতলা ওই ভবনের নিচতলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ রয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তারা অস্ত্র জমা দিয়েছে। ভেতরে আরও ‘জঙ্গি’ রয়েছে।

সকালে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িটিতে ‘নব্য জেএমবির শীর্ষ এক নেতা’ রয়েছে। এ ছাড়া নারীসহ একাধিক জঙ্গি রয়েছে। জঙ্গিদের কাছে শক্তিশালী গ্রেনেড রয়েছে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। তবে তারা শরীরে গ্রেনেড বেঁধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিচ্ছে।

ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত যোগ দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় ইসির ধন্যবাদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নাসিক) সুষ্ঠু হওয়ায় নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দলসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রকিব উদ্দীন বলেন, আমরা সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত সকল টেলিভিশনের খবর পর্যবেক্ষণ করেছি যাতে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। তবে আমরা কোথায় কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাইনি। আর যেগুলো পেয়েছি তার জন্য আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ সমূহ তুলে ধরেছেন সিইসি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে ছিলাম। আমাদের ৯ জন কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। আমরা প্রচুর সংখ্যক সাংবাদিককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সুযোগ দিয়েছি। তিনজনকে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ফল মেনে নেওয়ার আগাম ঘোষণা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জনগণ যদি রায় মেনে নেয়, তাহলে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ থাকে না। আশা করব, দেশের পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও সবাই এভাবেই রায় মেনে নেবে।

নিজ কেন্দ্রেই হারলেন বিএনপি’র প্রার্থী সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন নিজ কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে এ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫০৬টি ভোট।

একই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন এক হাজার ২৫২ ভোট।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজ কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। আইভীর নির্বাচনী এলাকার শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্র তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৫৯১ ভোট। একই কেন্দ্রে সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৬২৮ ভোট।

আমি নিজে রক্তাক্ত হয়ে অন্যকে খুশি করতে প্রকাশ্যে প্রতীকে সিল দিয়েছি

নাসিক নির্বাচনের ফলাফল নৌকার পক্ষে যাবে জানিয়ে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আইভীকে নয় আমি আমার দলকে ভোট দিয়েছি। নারায়নগঞ্জ বার একাডেমি কেন্দ্রে বিকেলে ভোট দানের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন।

নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের লক্ষ নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এরকম শান্তিপূর্ণ হবে।

ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে প্রতীকে সিল দেয়া আইনের লঙ্ঘন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি নিজে রক্তাক্ত হয়ে অন্যকে খুশি করতে এই কাজ করেছি।

বিশাল জয়ে আবারো নারায়ণগঞ্জের নগর মাতা হলেন আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন।

সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের চেয়ে ৭৮ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

নাসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন পুরুষ আর ২ লাখ৩৫ হাজার ২৬৯ জন নারী।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। প্রায় ৫ লাখ ভোটারের ভোটগ্রহণের এ বিশাল কর্মযজ্ঞে কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটানার খবর পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। আর ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নাসিক নির্বাচন‍ঃ- মোট কেন্দ্র ১৭৪ : প্রাপ্ত ফলাফল ১৬৯টির আইভী ১,৭৩,৮২৬ : সাখাওয়াত ৯৬,৪৬৮

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন শেষে চলছে গণনা। এরই মধ্যে কিছু কেন্দ্রের ফলাফল আসতেও শুরু করেছে। মোট ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬৯টি কেন্দ্রের প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১,৭৩,৮২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬,৪৬৮ ভোট।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। প্রায় ৫ লাখ ভোটারের ভোটগ্রহণের এ বিশাল কর্মযজ্ঞে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটানার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রধান দু’দলের প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সন্তুষ্ট ভোটাররাও।

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। আর ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নাসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে গুলি : (ডিআইজি)মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর পুলিশ লাইন এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, ‘আইনে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর বিধান রয়েছে। নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়বে। যদি কোনো পুলিশ সদস্য গুলি না ছোড়ে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে আরও দেওয়া হবে।

নির্বাচন ঘিরে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে নয় হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কে সরকারি দল বা কে বিরোধী দল—এটা দেখার সময় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব পদক্ষেপ নেবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই—মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের বলা হয়েছে, কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে সবাইকে সম্মান দিয়ে কাজ করুন।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জে ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে ধরা পড়ল ভূমি কর্মকর্তা জানে আলম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায়।

দুর্নীতি দমন কমিশনার (দুদক) ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ার জানান, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব ভূমি কার্যালয়ের উপসহকারি (ভূমি) কর্মকর্তা জানে আলম কাঁচপুরের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার কাছ থেকে তার মালিকানাধীন ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ জমি নামজারি করতে ৪৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। জমির মালিক ৪৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করার পর দুদক কর্মকর্তারা ফাঁদ পেতে উৎকোচের অবশিষ্ট ২ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে জানে আলমকে প্রথমে আটক করে সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় সোপর্দ করে।

পরে দুদকের উপসহকারি পরিচালক দুর্নীতি দমন আইনে জানে আলমকে একমাত্র আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। মামলার পর তাকে পুলিশ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদাতে পাঠায়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি দেওয়া হাস্যকর : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে বিজিবি মোতায়েনকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন।

সোমবার সকালে শহরের মিশনপাড়া ও চাষাঢ়া এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুনেছি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে; এটাকে আমি হাস্যকর বলে মনে করি।

ঢাকার লাগোয়া এই সিটি করপোরেশনে বৃহস্পতিবার ভোট সামনে রেখে সোমবার ২২ প্লাটুন বিজিবি নামার কথা রয়েছে। অন‌্য এলাকার বাসিন্দাদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে সোমবার মধ্যরাত থেকে।

সাখাওয়াত বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স মানে কী? কোথাও কোনো ঘটনা ঘটার পরে তারা সেখানে উপস্থিত হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উপস্থিত হলে সেটা তো কার্যকর হল না।  ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সেই ব্যবস্থার দাবি ছিল আমাদের।

সাখাওয়াত অভিযোগ করেন, নির্বাচন প্রভাবিত করতে ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে ক্ষমতাসীন দল বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে; বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ নির্বাচন জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচন করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। সেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি না।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রথম থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি ছিল বিএনপির। প্রচারে সেই দাবি আবারো তোলেন সাখাওয়াত।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে আমার পূর্বের যে দাবি ছিল- সেনাবাহিনী মোতায়েন। সেই সেনাবাহিনী মোতায়েন দরকার। এখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসত। আমি মনে করি সেটা এখনো সম্ভব, সেটা অবিলম্বে করা উচিত।

নাসিক নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই উৎসবের আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাষন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম জাকারিয়া, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি ঘোষণা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বিএনপির তো অভ্যাস আছে নির্বাচনের আগেই হেরে যাওয়া। কাল থেকেই দেখবেন শুরু হয়ে গেছে। এই ভোট নিয়ে গেল। এই ভোট কেটে নিলো। এটাতো তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা তো এখন নালিশ পার্টি হয়ে গেছে। আমরা এখনো নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি কেউ লঙ্ঘন করি নি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা তা লঙ্ঘন করবো না।

বিএনপি অতিতের ভুলের খেসারোত দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোনো কাজেই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিএনপি সেটা নিতে পারেনি। তাইতো তারা এখন ভুলের খেসারোত দিচ্ছে। ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই আমন্ত্রন গ্রহণ করেনি। শুধু গ্রহণ করেননি তা না, তারা সেদিন নেত্রীর আমন্ত্রণকে অত্যন্ত নোংরাভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলে। সেদিন যদি তারা এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান না করতো তাহলে দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। আজ তাদের সংসদে অস্তিত্ব থাকতো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আশা করি বিএনপি আগামী নির্বাচনে আর এই ভুল করবে না। তারা নির্বাচনে আংশ নেবে। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি এটা আমাদের দোষ না।

তিনি আরো বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপ্রতি সংলাপ শুরু করেছেন। প্রথম দিন বিএনপির সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তারা সংলাপে অংশ নিয়েছে। বিএনপি রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ করে খুব খুশি হয়েছে। অতিতেও তারা এমন খুশি হয়েছিলো। কিন্তু সার্চ কমিটি গঠনের পর তাদের এই খুশি ভাব আর থাকেনি। এবার দেখা যাক তাদের খুশি খুশি ভাব কত দিন থাকে? তাদের এই খুশি ভাব যেন শেষে বিশাদে পরিণত না হয়।