নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে থাকবে ১৪ প্লাটুন বিজিবিসহ অতিরিক্ত আইশৃঙ্খলাবাহিনী। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইসির প্রস্তাবিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্র ভিত্তিক ২২ থেকে ২৪ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২৭ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ২৭টি, বিজিবি’র ১৪ প্লাটুন ও কোস্টগাডের্র ৩ প্লাটুন সদস্য টহলে থাকবে। ২২ ডিসেম্বর ভোট হবে।
স্ট্যাটিক ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম ও বিজিবি’র ৮ প্লাটুন রিজার্ভ ফোর্স সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবও রেখেছে ইসি।
এদিকে, ইতোমধ্যে বিএনপি’র পক্ষ থেকে ভোটের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েনের দাবি করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, কমিশন সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা করা দরকার সে পদক্ষেপ নেবে।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি মিলনায়তনে শৃঙ্খলা বৈঠক হবে। ঐ বৈঠকে প্রধান নির্বাচন, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই, স্পেশাল ব্রান্সের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ প্রশাসন ও ইসির কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন।
সেনা মোতায়েনের দাবি’র বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, ভোটার ও প্রার্থীদের আস্থায় রাখতে হবে তাদের। ইসির আইন শৃঙ্খলা বৈঠকের আগে মেয়র প্রার্থী, সুধীজন, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন ও একজন নির্বাচন কমিশনারের (জাবেদ আলী) উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা করবেন তারা।
তিনি জানান, প্রার্থীদের আস্থায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হবে। এজন্যে পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত রাখা হবে। সব ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে নিরাপত্তা সদস্য রাখা হবে। টহলে রাখা হবে অনেক সদস্যকে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৩০৪টি ভোট কক্ষ রয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার আরো জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় অস্ত্রসহ ৭জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, অস্ত্রসহ দুইজন অঙ্গীভূত আনসার, লাঠিসহ ১২জন আনসার/ভিডিপি সবমিলিয়ে ২৪জন নিরাপত্তা কর্মী থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে ওই সংখ্যা হবে ২২জন। এতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তা কর্মী দুইজন কম থাকবে।
তবে সব ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় ২৪ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত রাখা হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৫৬ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।