ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের কেওঢালায় রাস্তা পারাপারের সময় লেগুনা গাড়ির চাপায় রবিবার সন্ধ্যায় ১ শিশু ও ১ বৃদ্ধ মহিলা ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেছে।
সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ও তার নাতনী উক্ত কেওঢালায় রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা থেকে মেঘনাগামী স্বদেশ পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা গেছে।
গত ৬ মাসে এ নিয়ে উক্ত কেওঢালায় শুধু রাস্তা পারাপারের জন্যই ৫ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। মহাসড়কে ৩ চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ করার কারণে রাস্তা পার হয়ে গন্তব্যে যাবার জন্য অন্য যানবাহন ধরতে হয় বিধায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে রাস্তা পার হতে হয়, আর তাই একের পর এক এ দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে স্থানীয়দের দাবী।
এদিকে এ ঘটনার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান ‘সোনারগাঁয়ের সাদিপুর, সনমান্দী, বারদী, বন্দরের মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে এবং মহাসড়কে ৩ চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ করার কারণে যে কোন গন্তব্যে যেতে কেওঢালায় রাস্তা পার হয়ে অন্য গাড়িতে উঠতে হয় বিধায় এ দূর্ঘটনা ঘটছে।
নিত্যদিন প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজে গমন করে এবং প্রায় বিশ হাজার শ্রমিক আদমজী ইপিজেড, ওপেক্স সিনহা গার্মেন্টস, কাঁচপুর বিসিক, রহিম স্টিল, বন্দর স্টিল, পারটেক্স, সুরুজ মিয়া গ্রুপ, জামালউদ্দিন টেক্সটাইল, অলিম্পিক ইন্ডাঃ, বেঙ্গল, গাজীপুর পেপার মিলস, এসকিউ কেবলস, চৈতি গার্মেন্টস সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমের জন্য যায়।
সোনারগাঁয়ের বারদীতে অবস্থিত লোকনাথ বক্ষ্মচারীর আশ্রমে আগত হাজার হাজার ভক্তকূল আশ্রমে পৌছানোর জন্য কেওঢালার অত্র রাস্তাটকেই সহজ বলে বেছে নেয়। কিন্তু ভাল যানবাহন না থাকার কারণে সকালে কর্মস্থলে যাবার সময় হাজারও শ্রমিককে যানবাহনের অভাবে হিমশিম খেতে দেখা যায়। যার ফলে প্রায়ই শ্রমিকদের দেরীতে কর্মস্থলে পৌছানোর মাশুল হিসেবে বেতন কাটা যাচ্ছে এবং বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ‘এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নততর করণে ও দূর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে সবাইকে রক্ষার্থে মদনপুর থেকে বারদী রুটে লেগুনা সার্ভিসের দাবী জানাচ্ছি। তাহলে গন্তব্যে পৌছার কাজটি কিছুটা সহজ হবে এবং রাস্তা পার হবার মাধ্যমে দূর্ঘটনার বিষয়টি তখন হ্রাস পাবে বলে আমরা মনে করি।’