২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 237

নাঃগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত-৩

কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বিল্ডিংয়ে’র পর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকার একটি তিনতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

`অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` নামের ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

এ অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে অভিযানে নিহত হওয়া অন্যদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে শহরের পাইকপাড়া এলাকার নুরুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ জঙ্গি আস্তনার সন্ধান পেয়ে ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবনে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ সময় জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে ব্যপক গোলা-গুলি চালায় আভিযানিক দল।

এর আগে ভবন থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে আনেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৯টার দিকে তারা অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছূঁড়তে শুরু করে।

পরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সদর থানার পুলিশ, জেলার গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব-১১ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিপুল সংখ্যক সদস্য এই অভিযানে অংশ নেয়।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, একজন জেএমবি সদস্য গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এই আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সন্ধান পাওয়ার পর সেখানে অভিযান শুরু চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এদিকে গুলশান হামলার মূল হোতা তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে গত ০২ আগস্ট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের গরুর হাট দখল করলো সন্ত্রাসীরা

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ইজারা নেয়া ৮নং ওয়ার্ডে ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলিস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মাঠের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাঁটের চতুর্দিকে বাঁশ ও অন্যান্য সরজামাধী স্থাপন করে। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী ইফতেখার আলম খোকন ও কাজী আমির বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দিলে সন্ত্রাসী কাজী আমির মুক্তিযোদ্ধারের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর আগে গত ৪দিন ধরে সন্ত্রাসীরা গোদনাইল ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল নিতে ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড, বাজার ও হাটের আশপাশে চিহৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী , দূর্ধর্ষ ক্যাডার, দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী এ মহড়া দেয়। এ ব্যাপারে জাতীর বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনাসহ যাতে সুষ্ঠভাবে স্বাভাবিক পরিবেশে হাট পরিচালনা করতে পারে এর ব্যবস্থা করা আহবান জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঈদুল আয্হা উপলক্ষে ৮নং ওয়াডের্র ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলস্ বালুর মাঠের কোরবানীর হাটের ইজারা পার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিঃ। এ হাটটি দখল নিতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী আমির বাহিনী ও ফতুল্লা নয়ামাটির অস্ত্রধারী ক্যাডার, মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জাল হোসেন চুন্নু বাহিনী হাট এলাকায় মহড়া দেয়। এর পেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সাথে কথা বললে সন্ত্রাসী খোকন, কাজী আমির ৫০% শেয়ার দাবি করেন এবং হাট তাদের নামে হস্তান্তর করতে বলেন। অন্যথায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে হাটের সকল ক্ষমতা। এটা মুক্তিযোদ্ধারা মানতে না পারায় সন্ত্রাসী খোকন ও কাজী আমির শুক্রবার সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হাটটি দখল নিয়ে বাঁশ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করেছে। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্ত্রাসীদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কোন মুহুর্তে ৭১ বীর সন্তানদের সাথে সন্ত্রাসীরেদর রক্তক্ষই সংঘর্ষ হতে পারে।
এ ব্যাপারে ইফতেখার আলম খোকন জানান, এ মাঠে পালাগান করা হবে। তাই পেন্ডেল করা হয়েছে। আমরা কোন হাট দখল করিনাই। আমাদের নামে মিথ্যা অপবাধ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ভুইঁয়া (জুলহাস) জানান, খোনক ও হাজী আমিরসহ আরো অনেক হাটের শেয়ার থাকতে চাইছে। আমি বলেছি থাকবে। তারা ৫০% শেয়ারসহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। দিতে রাজি না হওয়ার তারা হাটে বাশ দিয়ে স্থাপনা নির্মান করছে। পাশাপাশী গত মঙ্গলবার থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ আশপাশের কয়েকশ ছেলেপেলে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছে । তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আহবান করছি সুস্থ্য সুন্দরভাবে যাতে মুক্তিযোদ্ধারা হাট পরিচালনাসহ হাট করতে পারে তা ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

আপনি ভারতের প্রতি এত দুর্বল কেন?-এমাজউদ্দীন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আপনি ভারতের প্রতি এত দুর্বল কেন? দিয়েছি তো বহু, আর কত দিতে হবে?

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সুন্দরবন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, ভারতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার কোনো সীমা নেই। ভারতের সবকিছু তার কাছে পবিত্র মনে হয়। এই মানসিকতা আপনি পরিত্যাগ করুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা করায় আপনাদের জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এর একটা মূল্য আছে। এটা আমরা বহুদিন ধরেই শোধ করছি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমাদের ৭৫-৮০ শতাংশ মানুষ ভারতবিরোধী। ভারতবিরোধী এই কারণে যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক। অথচ সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তো সেটাই বলে।

ভারতের উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের জনস্বার্থে সংশোধন হোন। আমাদের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে সচেতন হোন।

ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানিকে (এনটিপিসি) ‘মায়ে তাড়ানো বাপে খেদানো কোম্পানি’ বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, এই কোম্পানির স্থান বাংলাদেশে হবে না। দুর্নীতিপরায়ণ, দূষণপ্রিয় কোম্পানির কাছে আমরা আত্মবিক্রয় করার চেষ্টা করছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল।

এমাজউদ্দীন আহমদ নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প আখ্যা দিয়ে তা বাতিল এবং সৌরবিদ্যুতের দিকে নজর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম। তিনি বলেন, ছোট জাহাজে করে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নদীপথে রামপালে কয়লা পাঠানো হবে। এতে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়বে। প্রতিদিন জাহাজে করে আসবে ১৩ হাজার টনের বেশি কয়লা। এই পরিমাণ কয়লা সুন্দরবনের ক্ষতি করবেই।

সংগঠনের উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।

অসাধু পুলিশ আর কথিত সাংবাদিকদের মদদে নারায়ণগঞ্জে মাদকে সয়লাব

একের পর এক অভিযানেও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা। জেলায় র‌্যাব, পুলিশসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের অব্যাহত অভিযান সত্ত্বেও মাদকের আগ্রাসী থাবা বন্ধ হচ্ছে না। সরকারি কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে, সচল রয়েছে তাদের সরবরাহব্যবস্থাও। মাদক আমদানি, সরবরাহ ও বিপণনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে একের পর এক কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। এসব নিত্যনতুন কৌশলে পাচার হওয়া মাদক ধরতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। জেলায় বিশাল পরিমান মাদক যানবাহন ও ট্রেনে অবাধে আনা-নেওয়া চললেও খুবই সীমিত পরিমাণ মাদক আটক করতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রই মাদক ব্যবসায়ী আর নেশাখোরদের চলছে দাপুটে তৎপরতা। গত বছরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেকর্ড পত্রে সবচেয়ে বেশি অঘটন ঘটেছে মাদকের সমস্যাকে কেন্দ্র করে। ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা গ্রেফতার ও হাজতবাস করলেও তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যায়নি। জানাগেছে, কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, কথিত সাংবাদিক ও সোর্স এর কারনেই এ জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। ঐসকল অসাধু পুলিশ কর্মকর্ত নারায়ণগঞ্জ থেকে একাধিবার বদলি হলেও তারা পুনরায় আবারও নারায়ণগঞ্জে এসে পড়েছে। এদিকে গত বছর বিশেষ গোয়েন্দা শাখার তথ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জরিত নারায়ণগঞ্জের ২২জন পুলিশ কর্মকর্তা না উঠে এসেছিল। শুধু পুলিশ নয়, ক্ষমতাশীন দলের একাধিক নেতারও নাম ছিল সেই তথ্যে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্যে কথিত সাংবাদিকের নাম সম্প্রতি উঠে এসেছে। তারা সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা করছে। তারা দামি মটর সাইকেলে চড়ে মাদক ব্যবসা করছে আর প্রকৃত সাংবাদিকরা পায়ে হেটে সংবাদ সংগ্রহ করে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরছেন। প্রায় ছয় মাস পূর্বে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কম্পানী কমান্ডার শাহ্ শিবলী সাদিক টানবাজার এলাকা থেকে মাদকসহ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী দুইজনকে গ্রেফতার করে। এরপর প্রায় ছয় ভূয়া সাংবাদিকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে,  গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাষাড়ার রাইফেস্ ক্লাবে সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার মাঝে মাদকের আগ্রাসটাকেই প্রাধান্য দিয়েছে বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, নারায়নগঞ্জে মাদকে সয়লাব্। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তারা আরো বলেন, থানা-পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন মাদক ব্যবসায়ী। নিজ এলাকার কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে মেম্বারদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয় না বলে জানান মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের কাছে। তাদের এই বক্ত্যব্যের পরিপেক্ষিতে শামীম ওসমান বলেছেন, দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসকে প্রতি অনুরোধ করেন। আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ: মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ইয়াবার ভয়াবহতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বশীল সব মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ সুযোগে জেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অপ্রতিরোধ্য নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সূত্রমতে, প্রতিদিন শুধু নারায়ণগঞ্জে লক্ষাধিক পিস ইয়াবা বিক্রি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা, প্রচুর ইয়াবাও উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও মরণঘাতী এ মাদকটির দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, থাই ভাষায় ইয়াবা মানে ক্রেজি মেডিসিন বা পাগলা ঔষুধ। ইয়াবা এক ধরনের মাদক যা হেরোইনের চেয়ে ভয়াবহ এবং হেরোইনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইয়াবার মূল উপাদান মেথ্যাম ফিটামিন ও সঙ্গে থাকে উত্তেজক পদার্থ ক্যাফিন। ২৫ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম মেথ্যাম ফিটামিনের সঙ্গে ৪৫ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফিন মিশিয়ে তৈরি এ ট্যাবলেটের রং সাধারণত সবুজ বা লালচে কমলা হয়ে থাকে। নথিতে বলা হয়, ইয়াবা ট্যাবলেটের স্বাদ যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে এবং সেবনের পর ধরা পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। ইয়াবা ব্র্যান্ডের এসওয়াই, এনওয়াই ও ডব্লিউওয়াই নামের তিনটি ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এবিষয় র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কম্পানী কমান্ডার শাহ্ শিবলী বলেন, মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান চলছে। এইর মধ্যে অনেক ভূয়া সাংবাদিক যারা মাদক ব্যবসা করে আসছিল তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মাদক ব্যবসায় জরিত একাধিক সাংবাদিদের আমরা পর্যবেক্ষন করছি। তথ্য পেলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এজন্য আমরা প্রকৃত সাংবাদিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

গিয়াসের ‘ঐক্যের চিঠি’তে সাড়া দেয়নি বিএনপি,র ১০ নেতা

মুখে অনেকে ঐক্যের কথা বললেও এবার সেই ‘ঐক্যে’র ডাক দিয়ে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ নেতাকে চিঠি প্রেরণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত সেই নেতাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সাড়া পায়নি ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। তবে এখনো আশাহত হননি গিয়াস, বরং প্রতীক্ষায় আছেন একটু দেরীতে হলেও চিঠি প্রাপ্ত ১০ জন নেতা দলের স্বার্থে শীঘ্রই তার ঐক্যের আহবানে সাড়া দিবেন। কেননা, দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন যে এবার সত্যিই নারায়ণগঞ্জে দলকে সুসংগঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন, তার একটি অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তিনি। গত ২২ আগষ্ট দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার মাজারে নবগঠিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ জন নেতা- খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান খসরু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক রেজাউল করিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা রূপগঞ্জের দীপু ভূইয়া ও আড়াইহাজারের এ এফ ইকবাল পৃথক ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন এক ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া ১১ জন নেতার নাম লিখে ঢাকায় যোগদান করেন। যা দলের মধ্যে ঐক্য সুষ্টির একটি অনন্য উদাহরন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। তবে দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গিয়াসউদ্দিন দলে ঐক্য ফেরাতে জেলার শীর্ষস্থানীয় ১০ নেতাকে চিঠি দিলেও সেই সকল নেতারা এখন জেলা ও মহানগর কমিটিতে নিজেদেরসহ সমর্থকদের নিযুক্ত করতে লবিংয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তাই তারা মুখে ঐক্যের বুলি আওরালেও এখন পদ বাগাতে ব্যাস্ত আছেন বলেই মূলত ঐক্যের আহবানে সাড়া দিচ্ছেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার ১১ নেতা যদি এক টেবিলে বসতে পারেন তাহলে নানা ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। এব্যাপারে ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার অপর ১০ জন নেতাকে দলীয় ঐক্যের স্বার্থে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত কারো কাছ থেকে সাড়া মিলেনি। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, যদি আমরা ১১ জন নেতা একটেবিলে বসে একসাথে প্রয়োজনে নিজেদের টাকা খরচ করেই এক কাপ করে চা পান করি, তাহলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে। আর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে। আমি আশাবাদী চিঠি প্রাপ্ত নেতারা শীঘ্রই আমার আমন্ত্রনে একসাথে বসে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হবেন।

নাসিক নির্বাচনে চমক আসছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মেয়র আইভী সংশয়, শামীম ওসমানের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র ও আনোয়ার হোসেনের মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর নিয়ে নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে এ নিয়ে বিএনপি এখনো প্রকাশ্যে তেমন কথা না বললেও নিরবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করাসহ নির্বাচনে কী ভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে তার কৌশল আঁটছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাকে সমর্থন দিবে এবং ভোটারদেও কাছে কার বেশী গ্রহনযোিগ্যতা রয়েছে তার খোঁজ নিতে শুরু করেছে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। তবে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন খোদ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিগত দিনেও তিনি নিজেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। এদিকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা থেকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে। এর পর থেকে নড়েচড়ে বসে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নগরবাসী। তৎপর হয়ে ওঠে বর্তমান মেয়র আইভীও তার ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে জামাত এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেনি। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে এবার বড় ধরনের চামক থাকতে পারে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে নানা নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন তারা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনামুখোর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর। এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান অংশ নিবেন না। কিন্তু, তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন। ইতোমধ্যে শামীম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। শামীম ওসমানের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে আনোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র করারও একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে হৈচৈ পরে যায়। এদিকে, সাংসদ শামীম ওসমান ও কর্মীদের সমর্থন পেয়ে নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আনোয়ার হোসেন মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে। তার দাবি, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও নাসিকবাসী চাইলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র হবে। বিএনপির একাধিক নেতা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান। তবে মেয়র আইভী এ নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেনি। তবে তিনি কিছিদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে গিয়ে আসন্ন নাসিক নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তারও নির্বাচনী তৎপরতা থেমে নেই। তার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে নিয়েও তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমে পরেছেন। তবে অনেকটা নিরবতা পালন করছেন মেয়র আইভী ঘোর সমর্থক হিসেবে পরিচিত বাম নেতারা। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেকটা কাছিম গতিতে চলতে শুরু করেছে। বিত দিনের ন্যায় এখন আর বিএনপি নেতাদের সরব হতে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপি। তবে প্রকাশ্যে তাদেও তৎপরতা না থাকলেও নিরবে তৎপর রয়েছে বিএনপি। এছাড়া নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে বিএনপির একাধিক নেতা লবিং-গ্রæপিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে বিএনপির হাই কমান্ডের দৃষ্টি সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামের দিকে। এনিয়ে বিএনপিতে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, শেষ পর্যন্ত এড. কালামকেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের চমক অপেক্ষা করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে।

২৪ ঘন্টার মধ্যে মাদক গুড়িয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখি- শামীম ওসমান

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে মাদক গুড়িয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে শামীম ওসমান। আমি বারবার তাদের হুসিয়ারী করছি। তবে মাদক ব্যবসায়ীরা যদি তাদের ব্যবসা বন্ধ না করে, তাহলে আসন্ন samim-osman-1কোরবানী ঈদের (ঈদ উল আজহা) এর আগেই মাদক ব্যবসায়ীদের কোরবানী দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে অনুষ্ঠিত ফতুল্লা থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংসদ শামীম ওসমান মাদকের বিরুদ্ধে এই হুশিয়ারী প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধূরী, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নাহিদা বারিক, মাসুম আলী বেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, ফতুল্লা মডেল থানার সার্কেল এএসপি শরফুদ্দিন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) মামুনুর রশিদ মন্ডল, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরাফত আলী ও ফতুল্লা থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, মাদকের কারণে আমাদের সমাজটা নষ্ট হয়ে গেছে। সমাজে পঁচন ধরে গেছে। উন্নয়নের আগে সমাজকে ঠিক করতে হবে।

সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের তালিকা চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, শুধু আমাকে তালিকা দেন আমি ওর বাড়ির ইট খুলে ধরে আনবো।

তিনি বলেন, আমার ভীমরুলের চাক আছে, ছেড়ে দিলে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের খালি করে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, ‘জাস্ট গো ফর দ্যা অ্যাকশন’

তবে নিরীহ কোন ব্যক্তিকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ করেন তিনি।

না:গঞ্জে অনুভুত হলো ৫ দশমিক ৩ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প

n-ganj

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ১১ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

উৎসস্থলে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো মায়ানমারের মাওলাইক থেকে ৪০ কি. মি উত্তর পূর্বে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০৬ দশমিক ৩ কি. মি. গভীরে।

রাজধানী ঢাকা থেকে এর উৎসস্থলের দুরত্ব ছিলো প্রায় ৮শ’ কি. মি.। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানায়।

এদিকে মৃদু ভূমিকম্প হলেও অনেকটা চাঁপা আতঙ্ক বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে

বিএনপি-২
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়াতে ওইসব নেতাদের কর্মী সমর্থকরা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দলের নিস্ক্রীয় নেতারাও দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে যে সমস্ত নেতারা স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে এখন তারা জেলা,মহানগর ও থানা পর্যায়ের কমিটিতে স্থান পেতে তৎপর হয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নাসিক নির্বাচনে আে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলোকে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কারনে পদ প্রত্যাশিরা নতুন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পদের আশায় যারা রাজনীতি করে তারা দলের দুর্দিনে মাঠে থাকে না। অথচ পদ পদবীর প্রতিযোগীতায় এসব নেতারাই সবার আগে থাকে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যে সময় নেতাকর্মী বিগত দিনে আন্দোলনে সংগ্রামে মাঠে ছিল তাদের যথাযথ মূল্যায়নে ভুল করলে আগামীতে বিএনপিকে কঠির সময়ের মুখোমুখি হতে হবে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১জন নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আর যে সমস্ত নেতা জেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের পদ পত্যাশি সে সমস্ত নেতারাও তাদের কর্মী সমর্থকদেও নিয়ে তৎপর হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণঞ্জ বিএনপিকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপির হাই কমান্ড। কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর বিএনপির পর নারায়ণগঞ্জ জেলাকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। রাজধানীর পাশের জেলা হিসেবে বরাবরই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলাকে আলঅদা দৃষ্টিতে দেখেন। কারণ হিসেবে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ দিয়ে দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের পায় ৩৬টি জেলার যাতায়াতের পথ গেছে। যে কারনে এ জেলা গুরুত্ব দেয়া হয় বেশী। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিএনপির হাই কমান্ড। দীর্ঘদিন ধওে বিএনপির অংশিক কমিটি থাকায় নারায়নগঞ্জ বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ প্রায় পাঁচ বছর ধরে সিটি করপোরেশন হলেও শহর বিএনপি ভেঙ্গে মহানগর বিএনপিতে রূপ নিতে পারেনি। এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি গঠনে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। নারায়ণগঞ্জ সদর-সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর নিয়ে মহানগর কমিটি গঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হওয়ায় মহানগর কমিটির গুরুত্ব বেড়েছে। যে কারনে এ কমিটি গঠনের আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিএনপির হাই কমান্ড। এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বওে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর এ বারের নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিএনপি মাঠে থাকার চিন্তা করছে। তার আগে নারায়নগঞ্জ মহানগর কমিটি ঘোষণা দিতে চাচ্ছে বিএনপির হাই কমান্ড। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নারায়নগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের তাগিদ রয়েছে। আর এ বিষয়গুলোকে আচ করতে পেরেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা তাদেও প্রত্যাশিত পদ পেতে লবিং গ্রæপি শুরু করেছে। তবে বিগত দিনে যারা দলের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে নানা ভাবে নির্যাতিত নীপিরিত হয়েছে তাদেও যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলে বিএনপির রাজনীতি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অনলাইনে শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন

আবুল কালাম আজাদ: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে অনলাইনে অবমাননা করলে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবনের বিধান রেখে নতুন একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

সমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।

নতুন এ খসড়া আইনটির নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এরপর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেটি আবারও মন্ত্রীসভায় ফিরে আসবে।

মন্ত্রীসভায় এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সেটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদীয় কমিটির যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি সংসদে তোলা হবে।

সুতরাং এই আইনে আরও সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই আইনের ১৫ নং ধারায় ৫ এর উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেকোন প্রকার প্রপাগান্ডা, প্রচারণা বা তাহাতে মদদ প্রদান করে; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বিদেশী নাগরিক ডিজিটাল সন্ত্রাসী কার্যসংঘটনের অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হবে।

এই একই ধারায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয়াবলীর বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোন প্রপাগান্ডা বা প্রচারণা করে তাহলে সেটিও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এ ধরনের অপরাধকে ‘ডিজিটাল বা সাইবার সন্ত্রাসী কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

এই আইনটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা বলছেন বাংলাদেশে অনলাইনে অপরাধ তৎপরতা বেড়ে যাবার কারণে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে এরই মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ নামে আলাদা আরেকটি আইন রয়েছে। এই আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। এই ৫৭ ধারাকে অনেকে ‘নিপীড়নমূলক আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করা হলো।সূত্র : বিবিসি