যারা আজ জাকির নায়েক জাকির নায়েক বলে চিল্লাইতেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি… কতটুকু জানো জাকির নায়েক সম্পর্কে?? জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছে যে,সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা? জাকির নায়েক যখন কোরআনের অথবা কোন একটা আরবী শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করে তখন কি তারা জানে যে, এই শব্দের অর্থ প্রকৃত পক্ষেই এটা কিনা? জাকির তো কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি, সুতরাং সে আরবী গ্রামার সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয়। যদি থাকতো তাহলে সে কখনো বলতে পারতোনা কোরআনের মধ্যে ব্যাকরণ ভুল আছে(নাউজুবিল্লা)। আজ যারা জাকিরের ভক্তবৃন্দ আছে আমার বিশ্বাস তাদের মধ্যে ৯৬% লোক এসব ব্যাপারে অজ্ঞ। জাকির যখন টাস টাস করে কোরআনের আয়াত বলে ফেলে, এবং সেটার ব্যাখ্যাও করে ফেলে, সাথে দুই একটা ইংরেজি ছেড়ে দেয়, তখন স্বাধারন মানুষ তাকে অলৌকিক লোক ভাবতে শুরু করে। কারন-তারা কোরআন হাদীস জানেনা। এজন্য সে ভুল বললো না সঠিক বললো এটা বুঝার ক্ষমতা তাদের নেই। আর যারা জাকির নায়েকের সমালোচনা করে তারা ৯৬% আলেম। তারা জানে জাকির কোনটা ভুল বলছে আর কোনটা সঠিক বলছে। জাকির ভক্তরা কয়েকটি কথা বলে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে… ১। প্যান্ট শার্ট টাই পড়া কি হারাম? ২। মানুষ বলতেই ভুল, জাকির নায়েকও ভুলের উর্ধ্বে নয়। ৩। জাকিরের কন্ঠে সুর নেই এজন্য সে কোরআন ঠিক করে পড়তে পারে না, ইত্যাদি। এখন কথা হচ্ছে ১। প্যান্ট শার্ট পড়া হারাম নয় ঠিক আছে- সিগারেট খাওয়া ও তো হারাম না। এখন যদি আপনাদের মসজিদের ইমাম সিগারেট খায়-আপনারা কি তাকে ইমাম রাখবেন? আরেকটা কথা হচ্ছে উনিতো মানুষকে ইসলাম শিক্ষা দিচ্ছেন, তো প্যান্ট শার্ট না পড়লেই ক্ষতি কি? ধর্মীয় পোষাক পড়েই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়াটাই তো শ্রেয়। ২। অবশ্যই মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, কিন্তু একজন মানুষ যখন ধর্ম প্রচারক হয় তখন তাকে খুব সচেতন হতে হয়। আর জাকির যে ভুল করে বা বলে এটা আসলে ভুল নয়, এটা হচ্ছে তার কোরআনের জ্ঞান না থাকার পরিচয়। তার ভুলের কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলঃ ৩। একথা কেউ কখনো বলেনি জাকির সুর দিয়ে কোরআন পড়তে পারেনা। সুর এক জিনিস আর শুদ্ধ আরেক জিনিস। সবচেয়ে বড় দুঃখ এটাই জাকির এত বড় লেকচারার অথচ কোরআনের একটা আয়াতও সহীহ্ করে পড়তে পারেনা। এতে তার কোরআনের জ্ঞান যে কতটুকু আছে এটা প্রমাণ পাওয়া যায়না?? আর নামাজ ভঙ্গের প্রধান কারন কোরআন অশুদ্ধ পড়া। যে লোকের কোরআন সহীহ্ না, যার এক ওয়াক্ত নামাজও হয়না, সে কিভাবে মানুষকে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়?? শুধু বাংলা অর্থ পড়ে যদি বড় আলেম হওয়া যেত তাহলে কোন আলেমই ১২ বছর ১৫ বছর সময় নিয়ে কোরআনের জ্ঞান চর্চা করতো না। এবার আসি জাকিরের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কথায়ঃ- ১। জাকির বলেছে ওজু ছাড়া কোরআন শরীফ ধরা যাবে ২। আল্লাহকে ব্রাক্ষ্মন, বিষ্ণু ইত্যাদি নামে ডাকা যাবে। (নাউজুবিল্লাহ্) ৩। পৃথিবীতে ৪জন মহিলা নবী এসেছে(নাউজুবিল্লাহ্) ৪। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ নবী ছিল। (নাউজুবিল্লাহ্) ৫। কোরআন শরীফে ব্যাকরণের ভুল আছে। (নাউজুবিল্লাহ্)। প্রবাদ আছে-অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। জাকির হল একজন ডাক্তার-তবে হ্যা সে বাংলা বই পড়ে ধর্মীয় কিছু জ্ঞানও অর্জন করেছে, এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কিন্তু এতটুকু জ্ঞান দিয়ে ধর্ম শিক্ষা দিলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। সে মানুষকে মুসলমান বানাচ্ছে।কিন্তু তার কথা মেনে চলার কারনে তারা মুসলমান হয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
জাকির নায়েকের পাশে দাঁড়ালেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি তারিক জামিল
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বিশ্বখ্যাত দায়ী মাওলানা তারিক জামিল। তিনি বলেন, ‘আমরা জাকির নায়েককে প্রায় এক দশক ধরে শুনছি। আর আমি কখনো কোনো বক্তৃতায় তাকে সহিংসতার উস্কানি দিতে বা ঘৃণা ছড়াতে দেখিনি।’
১০ জুলাই নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
তারিক জামিল বলেন, ‘বরং তিনি (জাকির নায়েক) সব সময় যে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধেই সব ধরণের সহিংসতার বিরোধিতা করেছেন।
জাকির নায়েক সত্যের পক্ষে আছেন উল্লেখ করে এই প্রখ্যাত আলেম বলেন, ‘তিনি সত্যের পক্ষে আছেন তাই আমরাও তার পক্ষে আছি।’
কুচক্রীদের প্রতি কথিত সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগের পক্ষে একটা স্পষ্ট প্রমাণ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তারিক জামিল বলেন, আমি ১১০% নিশ্চিত আপনারা এই বানোয়াট অভিযোগের পক্ষে একটা প্রমাণও আনতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, মাওলানা তারিক জামিলের লাইক পেইজটিতে ৪৩৯,১৫৪ জন ফ্যান রয়েছেন। এখান থেকে নিয়মিত তার কার্য বিবরণী ও বয়ান আপলোড করা হয়। গতকাল ১০ টা ২২ মিনিটে পোস্ট করা ওই বক্তব্যটি এ পর্যন্ত শেয়ার করেছেন ১ হাজার ১৪৩ জন ব্যক্তি এবং কমেন্ট করেছেন ১০৭ জন। পোস্টটি লাইক করেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
আ. লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে লোক নাই, ফাঁকা!
স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সময় সোমবার বিকাল। মূল স্তম্ভের বেদিতে জুতা পায়ে অবাধে বিচরণ। তাছাড়া ব্যাপ্তি বেশিক্ষণ হওয়ায় সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই অনেক নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের চিত্র এটি।
৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষাসৈনিকদের স্মরণে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মানার্থে খালি পায়ে ওঠার নিয়ম থাকলেও প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচিতে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে এই নিয়ম।
সোমবার সে নিয়ম উপেক্ষা করা হলো আরো নগ্নভাবে। অথচ এই সমাবেশে অংশ নেয় বিভিন্ন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উদার রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এদিকে ১৪ দলের এই সমাবেশে প্রত্যেক নেতাকর্মীর হাতে জাতীয় পতাকা রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন জোটের শীর্ষ নেতারা। অথচ বাস্তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীর হাতেই পতাকা ছিল না।
অন্যদিকে বি ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও দুপুর ২টা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করায় সমাবেশস্থল অনেকটাই পরিপূর্ণ ছিল। তবে এমন চিত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
এমন অবস্থার পেছনে বৃষ্টিকে দায়ী করেন জোটের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বাস্তবে বৃষ্টি স্থায়ী হয়েছিল অল্প সময়। ওই সময় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, আমাদের নেত্রী রাত জেগে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, আর আমরা সামান্য বৃষ্টিতে থাকতে পারবো না কেন? তিনি সমাবেশে সবাইকে থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেটিও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
তবে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের অনেকেই জানান, সমাবেশের সময়কাল বেশি হওয়ায় আমাদের অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের নিয়ে এসেছেন, তারাই অল্প সময় থেকে চলে যাচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও চলে যায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সভাপতির বক্তৃতা চলাকালীন শহীদ মিনার এলাকায় লোক সংখ্যা ছিল একেবারে নগণ্য।
জঙ্গিবাদে অর্থায়ন সিঙ্গাপুরে ৪ বাংলাদেশির কারাদণ্ড
জঙ্গি অর্থায়নের ঘটনায় সিঙ্গাপুরে চার বাংলাদেশিকে ২৪ থেকে ৬০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দেশটির এক আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
কারাদণ্ড পাওয়া চার বাংলাদেশি হলেন—মিজানুর রহমান (৩১), রুবেল মিয়া (২৬), জাবেদ কায়সার ওরফে হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর (৩১) ও সোহেল হাওলাদার ওরফে ইসমাইল হাওলাদার (২৯)।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস ডটকমের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনে (আইএসএ) ওই চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর গত ৩১ মে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন।
চারজনের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থ সরবরাহ ও অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দলনেতা মিজানুরকে ৬০ মাসের (পাঁচ বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোহেলকে ২৪ মাসের (দুই বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর রুবেল ও জাবেদের প্রত্যেককে ৩০ মাসের (আড়াই বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ২৭ মে (যেদিন ওই চারজন প্রথম আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন) থেকে তাঁদের দণ্ড কার্যকর করা হবে।
আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, ওই চারজন জনমনে অস্থিরতা তৈরি করেছেন। তাঁরা অন্যতম ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) অর্থ সরবরাহ করেছেন। তাই মিজানুরের ৬০ মাস, রুবেলের ৩০ মাস আর জাবেদ ও সোহেলের ২৪ মাস কারাদণ্ড দেওয়া উচিত। আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত দণ্ডাদেশ দেন।
তক্ষক পাঁচারকারীর ৬ মাসের জেল
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ফতুল্লায় এক তক্ষক পাঁচারকারীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার বিকেলে না.গঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আকতার চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান (৪৫) বরিশালের হিজলা থানার গঙ্গাপুর এলাকার মৃত মোজাফফর মৃধার পুত্র। সে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম মনিরামপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মাহবুব মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা মুন্সিখোলা চেকপোষ্টে তল্লাশী চালিয়ে খাচায় থাকা একটি তক্ষকসহ আব্দুর রহমানকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই স¤্রাট জানান, আব্দুর রহমান মুন্সিগঞ্জ থেকে তক্ষক নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বিকেলে পাগলা মুন্সিখোলা চেকপোষ্টে তল্লাশী চালিয়ে কাপড়ে মোড়ানো একটি খাচায় থাকা একটি তক্ষকসহ রহমানকে আটক করা হয়।
ইউএনও আফরোজা আক্তার চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী আব্দুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সেন্টুকে দলে ফেরাচ্ছে না শীর্ষ নেতারা
দলীয় শৃংখলা ভঙ্গকারী বেঈমান আখ্যায়িত ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে সহজেই দলে ফিরিয়ে নিচ্ছেন না স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। সেন্টুর আবেদনের প্রেক্ষিতে মতামত জানতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহআলম ও সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের কাছে একটি পত্র পাঠিয়ে এক মাসেও এর জবাব পায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সেন্টু যে আবেদন করেছে তার এক মাস অতিক্রম হলেও কিছুই জানেন না থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। মো. মনিরুল আলম সেন্টু বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনে সেন্টু উল্লেখ করেন যে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিএনপির অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। আমি সেই মতে নির্বাচন করতে থাকি।
এ ব্যাপারে তৈমুর আলম খন্দকার যুগান্তরকে জানান, মনিরুল আলম সেন্টু তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের সম্মতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছেন। এ জন্য থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে মতামত জানতে পত্র লিখেছি। তাদের মতামত পেলে প্রতিবেদন তৈরি করে তা কেন্দ্রে পাঠাব। যদি কেন্দ্র তা গ্রহণ করেন তাহলে সেন্টু তার সিনিয়র সহসভাপতি পদ ফিরে পাবেন। এদিকে সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস যুগান্তরকে জানান, আমার সঙ্গে কেউ কোনো বিষয়ে আলোচনা করেনি। আর তৈমুর আলম খন্দকারের পাঠানো কোনো পত্র আমি পাইনি। এছাড়া দলীয় কোনো বিষয়ে মন্তব্যও করতে চাই না। উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফতুল্লার মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে কর্মিসভায় ৬ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন তৈমুর আলম খন্দকার। বহিষ্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু। এ সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলে ছিলেন, যারা দলের মধ্যে থেকে বেঈমানী করেছে এবং সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান দুর্বল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের দলে কোনো ঠাঁই নেই। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে অঢেল টাকা খরচে মনিরুল আলম সেন্টু কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে চলা ফেরা করতে থাকেন। যার ফলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেকের মুখেই আলোচনায় উঠে এসেছে মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।যুগান্তর
৪ ফুটবলারের শিরোচ্ছেদ করেছে আইএস
প্রকাশ্য দিবালোকে ৪ সিরীয় ফুটবলারের শিরোচ্ছেদ করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। নিহতরা সবাই দেশটির শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব আল শাবাবের খেলোয়াড়। তাদের বিরুদ্ধে কুর্দিদের সংগঠন ওয়াইপিজি’র হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
শুক্রবার ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের অনলাইন সংস্করণে এক রিপোর্টে এ খবর জানানো হয়। আইএস টুইটার বার্তায় এই খবর প্রকাশ করেছে। তবে ঠিক কখন এই শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
আইএসের স্বঘোষিত রাজধানী সিরিয়ার রাক্কা শহরে জনসম্মুখে ওই চার ফুটবলারকে শিরোচ্ছেদ করে জঙ্গিরা। এ সময় সেখানে অনেক শিশুও উপস্থিত ছিল। তাদের চোখের সামনেই ফুটবলারদের জবাই করা হয়।
ওই চার ফুটবলারের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহী গ্রুপ ওয়াইপিজি’র গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ এনেছে আইএস। ধারাবাহিক বেশ কয়েকটি টুইটার বার্তায় আইএস শিরোচ্ছেদকৃত ব্যক্তিদের নাম ও ছবি প্রকাশ করে।
নিহত ফুটবলাররা হচ্ছেন ওসামা আবু কুয়েত, ইহসান আল শোয়াইখ, নেহাদ আল হুসেন ও আহমেদ আহাওয়াখ। এছাড়ও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে একই সাথে।
উল্লেখ্য দুই বছর আগে সিরিয়ার রাক্কা শহর দখল করার পর সেখানে ফুটবলসহ সব ধরনের খেলাধূলা নিষিদ্ধ করে আইএস। গতবছর এশিয়ান কাপে ইরাক ও জর্ডানের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিযোগে ১৩ শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
রাজধানীতে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর সূত্রাপুরে রাজিবুল হাসান (৩৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেন সূত্রাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সমীর চন্দ্র সূত্রধর।
নিহত রাজিবুল মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক।
জানা গেছে, রাতে ধোলাইখাল এলাকার রোকনপুর রাস্তা থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজিবের মাথায় ৩টি গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নামী বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্ররা যেভাবে জঙ্গীবাদে দীক্ষা নিচ্ছে
গুলশান হামলায় জড়িতদের পরিচয় যখন প্রথম প্রকাশ পেল, তখন তা স্তম্ভিত করেছিল বাংলাদেশকে। পাঁচ হামলাকারীর তিনজনই ঢাকার উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ঢাকার নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় ধাক্কাটি এলো কয়েকদিন পর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া তিন জঙ্গীর এক ভিডিও দেখে। এদের একজনের চেহারা ঢাকার টেলিভিশনের জনপ্রিয় এক অনুষ্ঠানে অনেকেই দেখেছেন। গান পাগল তরুণটি কিভাবে জঙ্গীতে পরিণত হলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন গ্রামীণ ফোনে তারই এক সাবেক সহকর্মী।
শোলাকিয়ার ঈদের জামায়াতে হামলাকারীদের একজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। হামলার সময় নিহত এই তরুণ ছিল ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
মাদ্রাসাগুলোই ইসলামী জঙ্গীদের আখড়া বলে যারা ধরে নিয়েছিলেন, তাদের জন্য আবারও একটা বড় ধাক্কা।“বাংলাদেশে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্ররাই বুঝি শুধু জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত হয়। কিন্তু এখন আমরা দেখছি উল্টো চিত্র। সমাজের উঁচু স্তরের পরিবারের সন্তান বা নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মধ্যেই এ ধরণের উগ্র মতবাদের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে”, বলছিলেন বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব পীস এন্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান।
বাংলাদেশে যে ব্লগারকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালে জঙ্গীরা নতুন শক্তিতে এবং নতুন মাত্রায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে, সেই আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকান্ডে জড়িতদের কয়েকজন ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র।
এরপর আরও কিছু সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনাতেও এরকম নামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার বিত্তবান এবং ক্ষমতাবান পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। সচেতনভাবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা ছিল শুরু থেকে। কিন্তু সেখানে পড়তে আসা সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেনীর তরুণরাই কেন ঝুঁকে পড়ছে সন্ত্রাসবাদের দিকে?
জেনারেল মুনীরুজ্জামান মনে করেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। এজন্যে প্রথমত তিনি দায়ী করছেন বাংলাদেশের সমাজে বিদ্যমান অস্থিরতাকে।
‘সমাজে এক ধরণের অনিশ্চয়তা আছে। বাংলাদেশ এখন এক রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তরুণরা কোন রোল মডেল খুঁজে পাচ্ছে না তাদের জীবনের জন্য। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এখন মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথও আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে আসছে।’কিন্তু যে তরুণরা উগ্রবাদী কাজে জড়িত হওয়ার জন্য ঘর ছেড়েছে, তারা যে সমাজ-রাজনীতি নিয়ে সিরিয়াস চিন্তা-ভাবনা করতেন, সেরকমটি তাদের পরিচিতজনদের কেউ বলছেন না। দু-একজন বাদে এদের বেশিরভাগের আগের জীবনের যে আভাস তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইনে দেখা গেছে, তাকে এক ধরণের আমুদে এবং ভোগ-বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত বলেই মনে হচ্ছে।
এর ব্যাখ্যা তাহলে কি?
জেনারেল মুনীরুজ্জামান মনে করেন, যারা এধরণের কাজে জড়িয়ে পড়ছে, তাদের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় ব্যক্তিগত জীবনে তাদের কোন একটা হতাশার জায়গা আছে। সেই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে রিক্রুটাররা।
‘জঙ্গীবাদে এদের যারা দীক্ষা দিচ্ছে, সেই রিক্রুটাররা যখন এদের হতাশার জায়গাটা চিহ্ণিত করতে পারে, তখন সেই দুর্বলতাকে তারা এক্সপ্লয়েট করতে শুরু করে। এবং একটা পর্যায়ে তাকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। এটা হালকা ব্যাপার নয়, খুবই টেকনিক্যাল একটা ব্যাপার।’
কিন্তু তরুণরা যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এরকম জঙ্গীবাদের সংস্পর্শে আসছে, এরকম কোন প্রমাণ এখনো নেই। কিভাবে তাহলে এরা এরকম উগ্র মতাদর্শে জড়িয়ে পড়ছে ?
‘এদের র্যাডিক্যালাইজেশনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বড় ভূমিকা রাখছে। প্রাথমিক যোগাযোগটা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হচ্ছে, সেটা দেশে হোক বা বিদেশে হোক’, বলছেন জেনারেল মুনীরুজ্জামান।
গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে যতটুকু তথ্য এ পর্যন্ত জানা গেছে, তার ভিত্তিতে জেনারেল মুনীরুজ্জামান বলছিলেন, তারা কিভাবে এই কাজে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে।“এরা সম্ভবত ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রথমে যোগাযোগ স্থাপন করেছে কোন হ্যান্ডলারের সাথে। এই হ্যান্ডলারের মাধ্যমেই হয়তো তারা একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। এবং আস্তে আস্তে তারা একটা সেল গড়ে তুলেছে।”
ইসলামিক স্টেট যখন কয়েক বছর আগে ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নিয়ে সেখানে তাদের খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়, তখন ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে অনেক মুসলিম তরুণ সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ব্রিটেন থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।
পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সিরিয়ায় যাওয়া এই বাংলাদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণদের যোগাযোগের সম্ভাবনা কতটা? জেনারেল মুনীরুজ্জামান এরকম সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
‘পশ্চিমা দেশগুলো থেকে যাওয়া তরুণরা যে ধরণের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, যে ধরণের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের এই তরুণদের সম্পর্ক থাকতে পারে। একটা পিয়ার-টু-পিয়ার কমিউনিকেশনের চ্যানেলগুলো এখানে উন্মুক্ত আছে।’
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে যারা হামলা করেছিল, তাদের অনেকেই আগে থেকে নিখোঁজ ছিল। একজন হামলাকারীর বাবা জানিয়েছেন, নিজের সন্তানের খোঁজ করতে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, ঢাকার আরও বহু পরিবারের সন্তানেরা এভাবে পালিয়ে গেছে।
জেনারেল মুনীরুজ্জামান মনে করেন, এই নিখোঁজ তরুণদের হদিস খুঁজে বের করা খুবই জরুরী।
‘এদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে তরুণদেরকে জঙ্গীবাদ থেকে দূরে রাখা বা ‘ডি-র্যাডিকেলাইজেশনের’ জন্যে বিভিন্ন স্তরে কার্যক্রম চালাতে হবে। এই কার্যক্রম একেকটা স্তরে একেক রকম হবে। শহরের তরুণদের জন্য একরকম, গ্রামের তরুণদের জন্য একরকম।’
কিন্তু সেরকম কোন জাতীয় উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। সূত্রঃ বিবিসি
নারায়ণগঞ্জ বাসীকে আলহাজ্ব শামীম ওসমানের ঈদ শুভেচ্ছা
একমাস সিয়াম সাধনার পর সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥