২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 254

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে সবর রাজনৈতিক অঙ্গন

মো. আব্দুর রহিম :   নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সব দলেই চলছে এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

সূত্রমতে, যে পুরনো শহরটি নিজের ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে মাঝে মাঝেই সহিংস রাজনীতি, হত্যা-গুম-আর-খুনের কারণে সারাদেশের ঘুম হারাম করে দেয় তার নাম নারায়নগঞ্জ। প্রায় পাঁচ বছর আগে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির ঘরে-বাইরে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিলো সেটা আজও মনে আছে অনেকের। সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছকে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে কে হবে সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থিত প্রার্থী এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশী শোনা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে যখন সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে, তখন বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। তাই ক্ষমতাসীনদের দন্ধকে পুঁজি করেই এবারের নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তবে বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে।

নির্বাচন নিয়ে শামীম ওসমানের অভিমত, তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে সিটি নির্বাচন করবেন না, তবে নৌকা প্রতীক আইভিকেও পেতে দেবেন না। তিনি আরও যোগ করেন,‘সেলিনা হায়াত আইভি দলের থেকে নমিনেশন চাইবেন বলে আমার মনে হয়না। নৌকা প্রতীক নিয়েই এবারের নির্বাচন করবেন মেয়র আইভী। এ ব্যাপারে তিনি তার সিদ্ধান্ত অটঁল রয়েছেন। নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ৭০ ভাগ কাজ করেছেন জানিয়ে আইভি বললেন, নৌকা প্রতীক নিয়েই তিনি নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। যেহেতু এখন নৌকা এবং ধানের শীষের খেলা হবে অবশ্যই দলের মতামত থাকবে, দলের কর্মীদের মতামত থাকবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে চমক থাকবে বলে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দিকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীতা দেয়া নিয়ে জাপা নেতাদের চাপ থাকতে পারে বলেও বোদ্ধা মহলের ধারনা।

আজ সারা দেশে চলছে দখল – লুটপাট ও দমনের মহোৎসব, দখল হয়ে গেছে প্রেসক্লাবও : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। এদের কাছে দেশি বিদেশে বিপুল পরিমানে অস্র ও গোলাবারুদ আছে। কিন্তু জঙ্গির নাম করে ধরেন সাধারণ মানুষ। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে।
রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সারা দেশ কি চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেসক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গারে জোরে সব দখল করছে।
তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এব একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো। সেই নির্বাচনের আসলে তারা যে কাজ করতো তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের এক কাজ করছে তা বৈধ নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। তাই ভালো আইনজীবি থাকা স্বত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। যেসব কাজ করছে তার কোনো বৈধতা নেই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাইকো মামলা এক সঙ্গে হয়েছে। ফকরুইদ্দন- মঈনউদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিলো ১৫টি মামলা। আমরা ছিলো ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কিভাবে চলে। হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিলো সেই মামলা প্রত্যেক নেতাকর্মীর হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের কোনো এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিবাগের নিদের্শ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবেনা। কিন্তু এথন তা প্রতিনিতই গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খটেছে। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছে, গণগ্রেফতার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইসচেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরৗ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।

 

ইতিকাফকারী জানাজার নামাজে অংশ নিতে পারবে কি?

২০ রমজান (রোববার) আসর নামাজের পর থেকে শুরু হয়েছে সুন্নত ইতিকাফ। সুন্নত ইতিকাফকারী জানাজার নামাজের জন্য মসজিদের বাইরে গেলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আয়েশা রা. বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য নিয়ম হলো, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে না এবং (মসজিদের বাইরে) জানাজার নামাজে শরিক হবে না। [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ২৪৬৫]

প্রকাশ থাকে যে, ইতিকাফকারীর জন্য কোনো কারণে বাইরে অনুষ্ঠিত জানাজায় শরিক হওয়া আবশ্যক হলে সে যেতে পারবে তবে এ কারণে তার ওই দিনের ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে এবং সুন্নত ইতিকাফও থাকবে না। এক্ষেত্রে তাকে একদিন রোজা অবস্থায় ইতিকাফের কাযা করতে হবে।

সুত্র : আলমুহিতুল বুরহানী ৩/৩৮০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১২

সাংবাদিকতার শিক্ষা ও পুলিশের বে-আক্কেলেপনা

আবুল কালাম আজাদ:‘সাংবাদিকতায় শেখার কোনো শেষ নেই। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় গণমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যমে যা হলো, তা আমাদের  বড় একটা ঝাঁকুনি দিলো, শিক্ষা দিলো। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শিক্ষাটা কি আমরা নেবো? নাকি আবারও কোনো ইভেন্ট এলে, সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো মানুষের চরিত্র হননে?’

গত শনিবার রাতে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি নোটিফিকেশনে সয়লাব। শতাধিক মন্তব্যে আমাদের মানে সাংবাদিকদের তুলোধুনো করা হয়েছে। সাংঘাতিক, ধান্দাবাজ, হলুদ, সুশীল, টাউট, মূর্খ, অশিক্ষিত- হেন কোনো বিশেষণ বাকি নেই ডিকশেনারিতে। আমি কারও মন্তব্যেরই প্রতিবাদ করিনি। লজ্জায় মাথানত করে রেখেছি। তবে ভাববেন না আমি সবগুলো গালি মেনে নিয়েছি। কোনো কোনো সাংবাদিকের জন্য এই বিশেষণগুলো হয়তো ঠিক, তবে সবার জন্য নয়। কিন্তু বাবুল আক্তারের ঘটনার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে ঢালাওভাবে সাংবাদিক সমাজকে ধোলাই করা হচ্ছে। তবে আমি যদি একটু উল্টো করে দেখি। বাংলাদেশে এখন ২৬টি টেলিভিশন, গোটা পঞ্চাশেক রেডিও, শ’খানেক পত্রিকা, হাজারখানেক অনলাইন আছে। বাবুল আক্তারকে নিয়ে গল্পটা সবাই শুনেছেন। কিন্তু ‘বিশ্বস্ত সূত্র’এর বরাত দিয়ে রিপোর্ট করেছে হাতেগোনা কয়েকটি গণমাধ্যম। বেশির ভাগ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম যে নজিরবিহীন সংযম দেখিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত ও আশ্বস্ত। না, সবাই যতই গালিগালাজ করুক, আমাদের পেশার বস্তুনিষ্ঠতা ও এথিক্স এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বেশিরভাগই এমন একটি রসালো গল্প পেয়েও ধৈর্য্য ধরে সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছে, যেটা দারুণ প্রশংসার। যারা সংযম দেখাতে পারেননি, তাদেরও খেসারত দিতে হবে। একদিনের হিট নয়। টেকসই হিট পেতে হলে বস্তুনিষ্ঠ হতেই হবে।

আমার স্ট্যাটাসে একটা প্রশ্ন ছিল, এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো কিনা? আমার ধারণা নেবো না। ইতিহাসের শিক্ষা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। অতীতে এমন শিক্ষামূলক ঘটনা অনেক ঘটেছে, আমরা শিক্ষা নিইনি। এমনকি প্রিয় সহকর্মী সাগর-রুনীও আমাদের নোংরা কলম থেকে রক্ষা পায়নি, তাদেরও মরণোত্তর চরিত্র হনন করেছি, এই আমরাই। তাই আমি নিশ্চিত, আবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবারও কেউ না কেউ এ ধরনের নিউজ করবে। আশার কথা হলো সংখ্যাটা কমছে, ভবিষ্যতে হয়তো আরও কমবে।

সংখ্যায় অল্প হলেও, এবার সাংবাদিকদের পদস্খলনে উস্কানি দিয়েছে পুলিশের বে-আক্কেলেপনা। কেউ ভাববেন না, আমি আমাদের ভুলটাকে জাস্টিফাই করছি বা আমাদের ভুলের দায়, পুলিশের উপর চাপাতে চাইছি। নিজেদের ভুল স্বীকার করেও বলছি, আসলেই বাবুল আক্তারের ১৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নাটকে প্রমাণিত হয়েছে পুলিশের বুদ্ধি মাথায় থাকে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ অফিসার্স মেসে ২৪তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন মিতুর স্মরণে এক শোকসভা ও ইফতার পার্টির আয়েজন করে। সে আয়োজনে বাবুল আক্তার মা হারা দুই সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি, কমিশনারের সঙ্গে তার দেখাও হয়েছে। কিন্তু বাসায় ফেরার পর মধ্যরাতে মতিঝিলের ডিসি আর খিলগাঁওয়ের ওসি গিয়ে আইজির কথা বলে বাবুল আক্তারকে নিয়ে আসেন। তখন বলা হয়েছিল, তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন, কিন্তু ফিরেছেন ১৫ ঘণ্টা পর। নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার আগে সরকার বা পুলিশের কেউ বাবুল আক্তারের অবস্থান নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তথ্য প্রবাহে বাধা দেয়ার কারণেই গুজব ডালপালা মেলেছে দ্রুত। কোনটা সত্য আমরা এখনও জানি না। বাবুল আক্তার একজন দক্ষ পুলিশ কর্তা। স্ত্রী মিতু খুন হওয়ার পর সারাদেশের সবাই তাকে চেনেন, তার প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি এখনও পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় চাকরি করছেন। ফোন করে ডাকলেই নিশ্চয়ই তিনি ছুটে যাবেন। সেখানে কেন তাকে মধ্যরাতে ডেকে নিতে হবে? কেন তাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হবে না। বাবুল আক্তারের সাথেই যদি পুলিশ এই আচরণ করে, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হয়, একটু ভাবলেই ভয় লাগে। এ কারণেই পুলিশকে মানুষ বন্ধু মনে করে না। যদি রাতে বা সকালে পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ বাবুল আক্তারের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতো, তাহলে আর এই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতো না। আমরা চাই পুলিশ সবার সাথেই আইনানুগ আচরণ করবে। দ্রুত মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচন করবে, দায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে এবং সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় মেসির

তিন দিন আগেই লিওনেল মেসি পা দিয়েছেন ২৯ বছরে। পেশাদার ফুটবলাররা এই বয়সে কোনোভাবেই চিন্তা করেন না অবসরের কথা। কিন্তু একের পর এক ফাইনালে হারের হতাশা মেনে নিতে না পেরে বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। জানিয়েছেন, আর কোনো দিনই আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবেন না জাতীয় দলের জার্সি গায়ে।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার পর আরো একবার ফাইনালে উঠে হতাশ হতে হয়েছে মেসিকে। গত বছরের মতো এবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা।

টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মেসি। এই আক্ষেপটা যে তাঁকে অনেক দিন তাড়া করে বেড়াবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু তাই বলে বিদায়ই বলে দেবেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে? বিস্ময়-জাগানিয়া এই সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর মেসি বলেছেন, ‘জাতীয় দল শেষ হয়ে গেছে আমার জন্য। যা করতে পারতাম, সবই আমি করেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা সত্যিই খুব পীড়াদায়ক।’

নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ ওনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পলি ক্লিনিকের কনফারেন্স রুমে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  নিউজ প্রতি দিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হাসান জুয়েল,দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহিম,নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর সহ-সম্পাদক রশীদ আহমেদ, এবি টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ সময় এর জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান কাউছার,দৈনিক ডান্ডিবার্তার বিভাগীয় সম্পাদক জাহাঙ্গীর ডালিম, সিনিয়র রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, রাজু, শাহীনসহ আরো অনেকেই।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কে হচ্ছে মেয়র প্রার্থী ?

বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল ততই বাড়ছে। সকলেরই প্রশ্ন কে হচ্ছে আগামী নির্বাচনে বড় দুই দলের প্রার্থী। ইতিমধ্যে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেয়র নির্বাচনে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। অপরদিকে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ইতিমধ্যেই আগামী নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আওয়ামীলীগ থেকে আনোয়ার হোসেন মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত হলেও গতকাল মঙ্গলবার সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী করে মেয়র আইভীকে উপ-মন্ত্রীর পদ মর্যাদা দেয়ার পর আনোয়ার সমর্থকরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে আইভীর সমর্থকরা শুধু আনন্দ উল্লাসই নয় মিষ্টি বিতরণ পর্যন্ত করেছেন। খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আইভীর আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। গত সোমবারও যাদেরকে আইভীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার তারাই বোস কেবিনের সামনে আতেলদের আড্ডায় আইভীর মনোনয়ন নিয়ে পক্ষেই মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে শহরের বাম পন্থিদের মধ্যে যেন নতুন করে উৎসাহ বেড়ে গেছে। সাংবাদিকদের একটি অংশকে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির পর অতি উৎসাহী মন্তব্য করতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমের অনেকেই গোপনে গতকাল রাতে মেয়র আইভীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও সাক্ষাৎকারী একজন গণমাধ্যমকর্মী নিশ্চিত করেছেন। এমনকি ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও মেয়র আইভীকে মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে ফেইসবুকে আইভী সম্পর্কে তার বিরোধী পক্ষ আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করলেও যুবলীগের ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মেয়র আইভীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আওয়ামীলীগ থেকে আইভীই মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা অনেকেই নিশ্চিত বলে মনে করছেন। তবে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা এখনো হাল ছাড়ে নি। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও এখনো পর্যন্ত সাবেক এমপি আবুল কালাম অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। আবুল কালাম নির্বাচন না করলে সেক্ষেত্রে বিএনপি হাইকমান্ড বিকল্প হিসাবে জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড: সাখাওয়াত হোসেনকে তাদের প্রার্থী হিসাবে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। এড: আবুল কালাম নিজেও আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাশাপাশি এড: সাখাওয়াত হোসেনও প্রার্থী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া এটিএম কামাল ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী না দিলে সে নিজেই স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিবে। তাছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান ও বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের স্ত্রী নাসরিন ওসমানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত আইভী ছাড়া সকলের নামই গুঞ্জন হিসাবে শোনা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আইভী ও আনোয়ার হোসেনই আনুষ্ঠানিকভাবে নাসিকের মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেন নি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চলতি বছরের প্রথমদিক থেকেই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম বেশ জোরে সোরে শোনা গেলেও এবার দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার মেয়র আইভীকে উপ-মন্ত্রীর পদ মর্যাদা দেয়ার পর এ দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী চুনকা পরিবারের বিপক্ষে থাকলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘নৌকা’র মাঝি হতে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা জানান, আওয়ামীলীগের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবারের সাথে আইভীর দ্বন্দ থাকলেও গোয়েন্দা সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে দলীয় প্রতীক নয় নারায়ণগঞ্জ বাসীর কাছে ব্যাক্তি আইভীর বেশ জনপ্রিয়তা আছে। আর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও আইভীকেই মেয়র হিসেবে পেতে আগ্রহী সাধারন জনতা। তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করেই আইভীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের ইচ্ছে আছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয়তা আইভীর তুলনায় অনেক নীচে বলে জানিয়েছে। অপরদিকে ইতিমধ্যেই সিটি নির্বাচনে জেলা বিএনপির হেভীওয়েট নেতা গত সিটি নির্বাচনে বসে পড়া মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ মেয়র পদে নির্বাচন না করার অভিমত ব্যাক্ত করলেও ইচ্ছে পোষণ করা নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামালের ভাগ্যেই নাকি জুটছে ‘ধানের শীষ’। তবে দলীয় হাইকমান্ড সুত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে তাদের তালিকায় এড: আবুল কালাম ও এড: সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়া অন্য কেউ নেই। আইভীর সাথে প্রতিদ্বন্দী হিসাবে কামালকে প্রার্থী দেয়া সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপি হাস্যকর হয়ে পড়বে বলে জানা গেছে। অপরদিকে সিটি নির্বাচনে এবার জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন ওসমান পরিবারের পুত্রবধূদ্বয় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের স্ত্রী নাসরীন ওসমান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। যদিও এব্যাপারে এখন মুখ খুলছেনা জাতীয় পার্টি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই দুই পুত্রবধুকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা রয়েছে। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তার শূণ্য আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার কথা ছিল তার সহধর্মিনী পারভীন ওসমানের। কিন্তু এপদে নির্বাচন করেন নাসিম ওসমানের মেঝ ভাই সেলিম ওসমান। তাই আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করে, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের জনপ্রিয়তাকে পুজি করে পারভীন ওসমান নির্বাচনে প্রার্থী হলে আইভীর সাথে পারভীন ওসমানেরই মূলত প্রতিদ্বন্দীতা হবে।

ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে অপরাধীরা সক্রিয়

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে জেলায় অপরাধ বাড়ছে। মৌসুমী অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাইকারী, জাল টাকা চক্র, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির সদস্যদের। ঈদকে ঘিরে জেলা জুড়ে এসব অপরাধীরা ছদ্ববেশ ধারন করে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরেছে। এসব অপরাধের সাথে অনেক ভদ্রবেশী অপরাধীরাও রয়েছে। বেড়েছে পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতাও। ঈদকে ঘিরে অপরাধীদের তৎপরাতায় শঙ্কিত হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে, ঈদকে ঘিওে মাদক ব্যবসায়ীরাও সক্রিয় রয়েছে। গুঞ্জন চলছে, ঈদের আগে মাদক মজুদ করার চেষ্টা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে। পোশাকি ছাড়া সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পাগলা এলাকায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকার বাসেত কাকন এর ছেলে মাসুম ও উত্তর ডেমরার কাজলা পুরানা রোড এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন নামে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে পথচারীরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকা গামী একটি যাত্রীবাহি বাস ফতুল্লার আলীগঞ্জ তালতলা এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্যে থামানো হলে রমজান নামে একজন টাইল্স ব্যবসায়ী ওই বাসে উঠেন। এসময় প্রায় ৭-৮ জনের একটি ছিনতাইকারীদের দল ওই বাসে উঠে রমজানের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল ছিনিয়ে নেয়। তবে রমজান উল্লেখিত ছিনতাইকারী মাসুমকে ধরতে সক্ষম হয়। পরে বাকি ছিনতাইকারীরা বাস থেকে নেমে পালিয়ে গেলেও আক্তার নামে উল্লেখিত ছিনতাইকারী মাসুমকে ছাড়াতে চেষ্টা করেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা দুজনকে আটক করে। এর আগে এক স্বর্নের দোকানে ক্রেতা সেজে স্বর্ণ চুরির সময় দুই মহিলা গ্রেফতার হয়েছে। এর একদিন পর কালিবাজার স্বর্নপট্টি এলাকায় এক পুলিশ সোর্সকে নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক এ এস আই গণরোষের শিকার হলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে আইড়াইজাহারে বদলি করে দেয়।

অপরদিকে, ঈদকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীদেও সিন্ডিকেটগুলো পৃথক পৃথক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে। ঈদের আগে অভিনব কৌশলে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে আসা হয় নারায়ণগঞ্জে। বিত দিনের ন্যায় এবারও মাদক ব্যবসায়ীদেও মধ্যে প্রস্তুতি চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে অপরাধীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিহস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের সেতু বন্ধন হিসাবে গড়ে তোলা হবে।সে ব্যাপারে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।বাংলাদেশের আকাশ, নৌ ও সড়ক পথে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেট্টোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে দেয়া বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেল-নৌ-সড়ক পথ নির্মাণের ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি  বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় অনেক মানুষের বসবাস। ‍আমাদের লক্ষ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে তাদের যাতায়াত আরও সহজ করা।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায়। আর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে গাজীপুর বাস ডিপো।

বাস্তবায়নাধীন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এটি উত্তরা থেকে শুরু হয়ে পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল  সোনারগাঁও-শাহবাগ- টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে। মেট্রোরেল চালু হলে ঘণ্টায় উভয়দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

মিতু হত্যার ঘটনায় ওয়াসিম ও আনোয়ার গ্রেফতার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আনোয়ার ও ওয়াসিম। এই দুই জনকে গতকাল শনিবার রাতে আটক করা হয়েছে।আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।

পরে দুপুর তিনটার দিকে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ও ওয়ামিস সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘কিলিং মিশনের এদের সম্পৃক্তা পাওয়া গেছে।মিতু হত্যায় এরা দুই জনই সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এদের দুজনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে ওয়াসিম নিজে মিতুকে গুলি করেন। আর আনোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যাকআপের জন্য।’ আদালতে তারা দুজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তবে কার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকার করে সিএমপি কমিশনার বলেছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তদন্ত শেষ হওয়ার পরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো। তিনি বলেন, ‘এটা যে টার্গেট কিলিং সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।তবে এর নেপথ্যে কারা সেটা বলার সময় এখনো আসেনি।হতে পারে জঙ্গিদের কাজ।তবে এখনই উপসংহারে যেতে চাই না।আমরা সব দিক বিবেচনা করেই তদন্ত করছি।’

মিতু হত্যার ঘটনায় এসপি বাবুল আক্তারকে দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরই আনোয়ার ও ওয়াসিম আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো।